লিবিয়ায় মানবপাচারকারী চক্রের মূল হোতা ফখরুদ্দীন গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
লিবিয়ায় মানবপাচারকারী চক্রের মূল হোতা ফখরুদ্দীন গ্রেপ্তার
সংগৃহীত ছবি

লিবিয়ায় মানবপাচার ও মুক্তিপণ আদায় চক্রের মূল হোতা ফখরুদ্দীনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। গতকাল বিকেল পৌনে ৬টার সময় মিসরের কায়রো থেকে ঢাকায় অবতরণের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় বিমানবন্দর থেকে তাকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ট্রাফিক হেলপার শওকত আলীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। 

অভিযোগ আছে, দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশিদের লিবিয়া পাচার করত ফখরুদ্দীন ও তার চক্র।

পরে বন্দিশিবিরে আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন চালানো হতো তাদের ওপর। মুক্তিপণ আদায়ের পর ভুক্তভোগীদের মুক্তি না দিয়ে অন্য চক্রের কাছে বিক্রি করে দিতেন ফখরুদ্দীন। 

নির্যাতনের ভয়াবহতা সম্পর্কে পাচারের শিকার এক ভুক্তভোগী আশিকুর রহমান সুমন (২১) বলেন, আমাদের ছোট্ট একটি অন্ধকার কক্ষে আটকে রাখা হয়েছিল। দিনে একবার পচা খাবার দিত।

আমাদের খাবার পানিও দিত না। যারা পরিবারের থেকে টাকা আনতে ব্যর্থ হতো তাদের লোহার রড দিয়ে পেটানো হতো। অনেককে বিদ্যুতের শক দিত তারা।  

সুমন জানান, অমানবিক নির্যাতনের এই দৃশ্য সরাসরি দেখানো হতো পরিবারের সদস্যদের।

স্বজনকে বাঁচাতে বাধ্য হয়ে মুক্তিপণের টাকা পাঠাতো ভুক্তভোগীর স্বজনরা। তবে টাকা দেওয়ার পরও মুক্তি মিলত না ভুক্তভোগীদের। তাদের আবার নতুন মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হতো। একইভাবে মুক্তিপণ আদায়ের পর সুমনসহ কয়েকজনকে অন্য একটি চক্রের কাছে বিক্রি করে দেয় ফখরুদ্দীন। সুমন সেখান থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও তার ১৬ সহযাত্রী এখনো সেখানে বন্দি রয়েছে।
 

জানা গেছে, কায়রো বিমানবন্দরে হঠাৎ ফখরুদ্দীনকে দেখতে পান সুমন। চিনতে পেরে দ্রুত তার ছবি তুলে ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছে পাঠান তিনি। পরে বিষয়টি  আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হলে বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে ফখরুদ্দিন ও তার সহযোগীকে বিমানবন্দর থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। চক্রের বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।  

মুক্তিপণ আদায় করে ১৬ বাংলাদেশিকে অন্য একটি চক্রের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে ফখরুদ্দিন। ভুক্তভোগীরা বর্তমানে লিবিয়ার বেনগাজির একটি বন্দিশিবিরে রয়েছে। তাদের পরিবারের সদস্যরা ঢাকার বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন—
আমাদের সন্তানদের মুক্তির জন্য লাখ লাখ টাকা দিয়েছি, কিন্তু তারা এখনো বন্দি! ফখরুদ্দিন আমাদের সর্বনাশ করেছে, ওর কঠোর শাস্তি চাই!

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সাবেক আইজিপি সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম আর নেই

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সাবেক আইজিপি সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম আর নেই
রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে সৈয়দ সিরাজুল ইসলামের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম (৭৫) আর নেই (ইন্নালিল্লাহে......রাজেউন)। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে নয়টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন পুত্র এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী ও আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।

আরো পড়ুন
কিডনি সুস্থ রাখার উপায়

কিডনি সুস্থ রাখার উপায়

 

মঙ্গলবার বাংলাদেশ পুলিশ-এর এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল দশটায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আইজিপি বাহারুল আলম, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

সৈয়দ সিরাজুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার তার নিজ এলাকা বালিয়াডাঙ্গাতে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে। 

আরো পড়ুন
ঈদে সড়কে অবৈধ যানবাহনে অভিযান পরিচালনার দাবি

ঈদে সড়কে অবৈধ যানবাহনে অভিযান পরিচালনার দাবি

 

জানাজা শেষে আইজিপি বাহারুল আলম কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

পরে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে মরহুমের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। পরে প্রয়াত এ মুক্তিযোদ্ধাকে ‘অফিসিয়াল ফিউনারেল’ প্রদান করা হয়।

সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম ১৯৪৯ সালে মাগুরা জেলার সদর থানাধীন বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন।

তিনি রাজশাহী ও খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এবং রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার ছিলেন। কর্মজীবনে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মন্তব্য

রাখাল রাহাকে এনসিটিবির কারিকুলাম কমিটি থেকে অপসরণের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
রাখাল রাহাকে এনসিটিবির কারিকুলাম কমিটি থেকে অপসরণের দাবি

রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদুর রহমানকে এনসিটিবির কারিকুলাম কমিটি থেকে দ্রুত অপসরণের দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলন।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর। এ সময় তিনি ৮ দফা দাবি তুলে ধরেন। সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের সভাপতি কাজী সাইফুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন, জেসমিন, ডা. রিপা, তানিয়া আক্তার, কামাল হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, সম্প্রতি এনসিটিবির চেয়ারম্যান বিতর্কিত রাখাল রাহাকে নিয়ে দায়সারা বক্তব্য দেওয়ায় তার প্রতিবাদে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন। গত স্বৈরশাসকের আমলে চালু করা গণবিরোধী নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলে আমাদের অংশগ্রহণ ছিল আপোষহীন লড়াইয়ের। ২০২৩ সালে শুরু করে দীর্ঘ সংগ্রামের এই পথ পাড়ি দিতে আমাদেরকে অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ন্যায়ের পক্ষে থেকেও আমরা তৎকালীন সরকারের রোষানলে পড়েছিলাম।

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আমাদের অনেকের জেল খেটেছি। আন্দোলনের শুরুটা দুএকজন করলেও পরবর্তীতে গণমানুষের আন্দোলনে রূপ নেয়। ধীরে ধীরে আন্দোলন দানা বাঁধতে থাকে, দেশের শিক্ষিত জনসাধারণ সোচ্চার হয় সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্তে। আমাদের আন্দোলনটি কোনো একক ব্যক্তির ফসল নয়।
আমরা আন্দোলনে সম্মিলিতভাবে লড়েছি। তারই ধারাবাহিকতায় আন্দোলনের নামকরণও হয়েছিল সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলন। 

তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সংবাদ সম্মেলনে রাখাল রাহাকে শুধুমাত্র লিখিত বক্তব্য দিতে দেওয়া হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করতে দেওয়া হলে পরবর্তীতে তিনি এই আন্দোলনে তাকে নিয়ে কমিটি গঠন করতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে গুম হওয়া, গ্রেপ্তার হওয়ার ভয় দেখিয়ে তার অফিসে ডেকে আগের কমিটির অনুমোদন ছাড়াই নতুন কমিটি ঘোষণা করতে বলেন।

আগের কমিটির ১১ জনের মধ্যে মাত্র দুজনের উপস্থিতিতে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হলে মেজোরিটির তোপের মুখে কমিটি স্থগিত করা হয়।

সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর কবীর ও কাজী সাইফুল হক পনিরকে এনসিটিবির দায়ের করা মতিঝিল থানার মামলায় গ্রেপ্তার করে ডিবি। তাদের সাথে আরো গ্রেপ্তার হয় আবুল হাসনাত ও গোলাম রাব্বি। আন্দোলনে সামনের সারিতে নেতৃত্ব দেয়ায় মডারেটর তাপসী তাজ খানকে গ্রেপ্তার করার অভিযান চালায় ২৩ নভেম্বর। ২৪ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ২৯ নভেম্বর আন্দোলনের আরেক নেতা আল আমিন হোসেনকে গ্রেপ্তার করলে আন্দোলন নেতৃত্ব শূন্য হয়ে পড়ে এবং সচেতন অভিভাবক সমাজের ব্যানারে এডভোকেট মুসলিম বিন হাইয়ের নেতৃত্বে আন্দোলন চলতে থাকে। এই সময় রাখাল রাখার কোনো ভূমিকা আমরা দেখতে পাইনি।

তিনি বলেন, পরবর্তী সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের নেতারা ফেনীর বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ দিতে গেলে রাখাল রাহা সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের অথরিটিকে অবগত না করেই এই সংগঠনের নামে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিনের কাছে স্মারকলিপি দেন এবং এই আন্দোলন তার নেতৃত্বে হয়েছিল বলে উপদেষ্টাকে জানায়। পরবর্তীতে এই সংগঠনের নাম ব্যবহার করে তিনি এনসিটিবির পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন কমিটির সদস্য সচিব নিযুক্ত হন এবং এনসিটিবিতে একক আধিপত্য কায়েমের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসী গ্রাফিতি, জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা বইয়ের পেছনে ছাপা, টেন্ডার কেলেঙ্কারি ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানাসহ একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করতে থাকেন। 

রাখাল রাহা আমাদের সঙ্গে শেষ দিকে যুক্ত হলেও তিনি উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা পালন করেননি। উপরন্তু তিনি ঐতিহাসিক এই প্ল্যাটফর্মকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করেছেন যা শুধু আমাদের সাথেই না, পুরো জাতির সাথে প্রতারণা করা হয়েছে বলে জানান জাহাঙ্গীর কবীর।

তিনি বলেন, সম্প্রতি এনসিটিবি চেয়ারম্যান রিয়াজুল হাসান এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন, রাখাল রাহার নেতৃত্বে অভিভাবকরা আন্দোলন করেছেন এবং সে কারণেই শিক্ষাক্রম পরিবর্তন হয়েছে। তার এই বক্তব্য দুরভিসন্ধিমূলক। এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহবান জানাচ্ছি এবং আমরা মনে করছি, বিতর্কিত রাখাল রাহাকে জাতির নায়ক বানিয়ে এনসিটিবি তাদের ব্যর্থতা, দুর্নীতি ও অনিয়ম আড়াল করতেই এই অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা এনসিটিবির চেয়ারম্যানের এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি এবং এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে গণমাধ্যমে ক্ষমা চাইতে হবে।

এ সময় তিনি ৮ দফা দাবি তুলে ধরেন তিনি। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে— রাখাল রাহাকে এনসিটিবির সকল কমিটি থেকে অপসারণ করে গণমাধ্যমে স্পষ্ট বিবৃতি দিতে হবে ও তাকে হিরো বানিয়ে ভবিষ্যতে কোনভাবে পুনর্বহাল করা যাবে না এবং তারমতো বিতর্কিত কাউকেই এনসিটিবির পরিমার্জন বা সংস্কার কমিটিতে যুক্ত করা যাবে না। ২০২৩ সালে দায়ের করা মামলা থেকে আমরা অব্যাহতি পেয়েছি। কিন্তু জব্দ করা মালামাল ও ফেসবুক আইডি ফেসবুক আইডি ফেরত পাইনি। এগুলো দ্রুত ফেরত দিতে হবে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অবিলম্বে মামলায় ক্ষতিগ্রস্তদেরকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পরিমার্জন কমিটি থেকে কত টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন তার দালিলিক প্রমাণ দিতে হবে। পাঠ্যপুস্তক মূদ্রণে ওভার প্রাইসিং রেটে প্রেসগুলোকে কাজ দিয়েছে এবং এনসিটিবির সিন্ডিকেট কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে বলে অভিযোগ এসেছে তার তদন্ত করতে হবে। পত্রিকায় এসেছে, ৪০টি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান সিঙ্গেল বিডার হওয়ার পরও তাদেরকে কোনো কম্পিটিশন না করিয়ে এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ তাদেরকে কাজ দিয়ে সরকারের বিপুল অর্থের ক্ষতি করেছে তার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। অবিলম্বে শিক্ষা কমিশন গঠন করে যুগোপযোগী শিক্ষানীতি এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও দেশীয় মূল্যবোধের আলোকে কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে এবং ইউনেস্কোর পরামর্শ অনুসারে দেশের মোট জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষাখাতে ব্যয় করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলন শেষে জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে যেসব স্কুলের শিক্ষার্থীরা এখনো বই পায়নি সেই বইগুলো দিতে হবে। অন্যথায় এনসিটিবি ঘেরাও করা হবে।
 

মন্তব্য

ঈদে সড়কে অবৈধ যানবাহনে অভিযান পরিচালনার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঈদে সড়কে অবৈধ যানবাহনে অভিযান পরিচালনার দাবি
সংগৃহীত ছবি

আসন্ন ঈদুল ফিতরে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে ত্রুটিপূর্ণ ও রুট পারমিটবিহীন বাসসহ সব ধরনের অবৈধ যানবাহন এবং লাইসেন্সবিহীন চালকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি এবং শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ)। 

এজন্য রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগর চট্টগ্রামসহ দেশের সকল সড়ক, মহাসড়ক, আন্তঃজেলা সড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে অবিলম্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম শুরুর আহ্বান জানিয়েছে সংগঠন দুটি।

আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও এসসিআরএফের সাধারণ সম্পাদক লায়ন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এক যৌথ বিবৃতিতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের  (বিআরটিএ) প্রতি এই আহ্বান জানান। 

বিবৃতিতে অবৈধ যানবাহন এবং লাইসেন্সবিহীন ও অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকসহ আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে।


 
দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত সড়ক দুর্ঘটনা ও ধারাবাহিক হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সড়ক-মহাসড়কে অহরহ দুর্ঘটনা ও অনাকাঙ্খিত মৃত্যু হলেও দুর্ঘটনার ঝুঁকিমুক্ত সড়ক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মহলগুলোর জোর তৎপরতা দৃশ্যমান নয়।  

বিবৃতিতে জাতীয় কমিটি ও এসসিআরএফ নেতারা বলেন, নিকট অতীতে সড়কমন্ত্রীসহ সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা দুর্ঘটনার জন্য ত্রুটিপূর্ণ ও অবৈধ যানবাহন এবং অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের দায়ী করেছেন। কিন্তু তাদের শাসনকালেও সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো এসব অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এর ফলে সড়ক ও মহাসড়কগুলো দৃশ্যত: মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।

 

আরো পড়ুন
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভিন্ন ভূমিকায় আর্জেন্টিনার পাশে থাকবেন মেসি

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভিন্ন ভূমিকায় আর্জেন্টিনার পাশে থাকবেন মেসি

 

বিগত সময়ের মতো এবারও ঈদে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়, পুলিশ প্রশাসন ও বিআরটিএকে সতর্ক করেন বিবৃতিদাতারা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন ফিরে পেলেন শফিক রেহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন ফিরে পেলেন শফিক রেহমান

দৈনিক ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন ফিরে পেয়েছেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক শফিক রেহমান। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদের সই করা অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়। 

ঢাকা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (প্রকাশনা ও ছাপাখানা শাখা) নুসরাত নওশীন এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে প্রকাশের ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পত্রিকাটির সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় এই দৈনিকের ডিক্লেয়ারেশন বাতিল করে সরকার।

অফিস আদেশ অনুযায়ী, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকাটি প্রকাশের জন্য যে অনুমোদিত প্রেস রয়েছে সেখান থেকে ছাপা হচ্ছে না। কিন্তু প্রিন্টার্স লাইনে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হচ্ছে মর্মে শফিক রেহমান অভিযোগ জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার পর এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পত্রিকাটি মুদ্রণের ডিক্লেয়ারেশন বা ঘোষণাপত্র বাতিল করা হয়।

আদেশ অনুযায়ী, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকা প্রকাশে ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন, ১৯৭৩ এর ১০ ধারার লঙ্ঘন হয়েছে।

এ কারণে ‘দৈনিক যায়যায়দিন’ পত্রিকার প্রকাশক ও মুদ্রাকর সাঈদ হোসেন চৌধুরীর নামে যে ঘোষণাপত্র ছিল তা বাতিল করা হয়।
 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ