ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন

‘অভ্যুত্থানের আশঙ্কা’র খবরের প্রতিবাদ জানাল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘অভ্যুত্থানের আশঙ্কা’র খবরের প্রতিবাদ জানাল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
ফাইল ছবি

ইন্ডিয়া টুডের প্রকাশিত একটি মিথ্যা প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লক্ষ করেছে, ইন্ডিয়া টুডে আবারও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা মিথ্যা ও বিকৃত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। প্রতিবেদনটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি নিয়মিত বৈঠকের ওপর ভিত্তি করে রচিত, যার শিরোনাম ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অভ্যুত্থানের আশঙ্কায় জরুরি বৈঠক করেছে।

’ প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটি সাংবাদিকতার নৈতিকতার চরম লঙ্ঘন এবং একসময় সম্মানজনক সংবাদমাধ্যমের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচারের দৃষ্টান্ত।

এতে বলা হয়, প্রতিবেদনটি নির্ভরযোগ্য উৎস বা কোনো প্রমাণ ছাড়া সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন তথ্য ছড়ানোর আরেকটি প্রচেষ্টা বলে মনে হচ্ছে। এতে প্রকাশিত তথ্যে কোনো সত্যতা নেই এবং তথাকথিত ‘অভ্যুত্থানের আশঙ্কা’ একেবারেই প্রতারণামূলক।  ইন্ডিয়া টুডে বারবার কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই সংবেদনশীল খবর প্রকাশ করছে, যা সাংবাদিকতার নৈতিকতা ও সত্যনিষ্ঠতার পরিপন্থী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয, এটি প্রথমবার নয়, ইন্ডিয়া টুডে অতীতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে। গত ১১ মার্চ আমরা প্রকাশিত একটি বিভ্রান্তিকর ও অসত্য প্রতিবেদন খণ্ডন করে বিবৃতি দিয়েছিলাম। তবু এ ধরনের অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশ অব্যাহত থাকায় এটি ইন্ডিয়া টুডের সম্পাদনা নীতির ব্যাপারে উদ্বেগজনক ইঙ্গিত দেয়। সংবাদ পরিবেশনের পরিবর্তে তারা এখন চাঞ্চল্য সৃষ্টির লক্ষ্যে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

সেনাবাহিনী বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং গণতন্ত্র ও শান্তির নীতিগুলো দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করে যাবে। আমরা ইন্ডিয়া টুডেসহ সব গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার চর্চার আহ্বান জানাই এবং অনুরোধ করি, ভিত্তিহীন ও ক্ষতিকর তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য, যা শুধু দুই দেশের জনগণের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় বিভক্তি ও অবিশ্বাস সৃষ্টি করে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

এশিয়ার দেশগুলির ভাগ্য একে অপরের সঙ্গে জড়িত : প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
এশিয়ার দেশগুলির ভাগ্য একে অপরের সঙ্গে জড়িত : প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেছেন, এই পরিবর্তিত বিশ্বে এশিয়ার দেশগুলির ভাগ্য একে অপরের সঙ্গে জড়িত। একটি যৌথ ভবিষ্যৎ ও সমৃদ্ধির জন্য একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। চীনের হাইনানে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন। 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এশিয়ার দেশগুলোকে চারটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে হবে।

প্রথমত, একটি টেকসই অর্থায়ন ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক (এমডিবি) ও অনুরূপ প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিতে হবে। আমাদের নির্ভরযোগ্য তহবিল প্রয়োজন যা আমাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করবে।  

তিনি বলেন, এশিয়া এখনও সবচেয়ে কম সংহত অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি।

এই দুর্বল সংহতকরণ বিনিয়োগ এবং বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত করে। আমাদের অবিলম্বে বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সম্পদ-দক্ষ কৃষিকাজকে উৎসাহিত করতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে।

আমাদের আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে এবং স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে। প্রযুক্তি-ভিত্তিক টেকসই কৃষি এবং জলবায়ু বান্ধব কৃষিকাজে উদ্ভাবন সম্প্রসারণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, একইসঙ্গে পুনরুদ্ধারমূলক, বিতরণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি শক্তিশালী প্রযুক্তিগত বাস্তুতন্ত্র গড়ে তোলার বিষয়ে কাজ করতে হবে। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বঙ্গভবনে নামাজে ইমামতি করলেন সেনাপ্রধান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বঙ্গভবনে নামাজে ইমামতি করলেন সেনাপ্রধান
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে নামাজে ইমামতি করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এ ঘটনার একটি ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ প্রশংসিত হচ্ছে।
 
বুধবার (২৬ মার্চ) বঙ্গভবনে ইফতারের পর মাগরিবের নামাজে সেনাপ্রধানকে ইমামতি করতে দেখা যায়। একটি ছবিতে দেখা যায়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ইমামের পেছনে চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করছেন।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বুধবার এক সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, কূটনীতিক ও বিশিষ্টজনরা অংশ নেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও অংশ নেন।

আরো পড়ুন
ঈদের আগে শেষ ব্যাংকিং লেনদেন আজ, যেসব এলাকায় থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা

ঈদের আগে শেষ ব্যাংকিং লেনদেন আজ, যেসব এলাকায় থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা

 

এদিন ইফতারের পর অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে অস্থায়ী শেডে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন।

নামাজে ইমামতি করেন সেনাবাহিনী প্রধান।
 

মন্তব্য

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের রপ্তানি-আমদানি ব্যাংক চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের রপ্তানি-আমদানি ব্যাংক চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন চীনের রপ্তানি-আমদানি ব্যাংকের চেয়ারম্যান চেন হুয়াইয়ু। বৃহস্পতিবার চীনের হাইনানের বোয়াও স্টেট গেস্ট হাউজে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া বার্ষিক সম্মেলনের পাশে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এই সাক্ষাত করেন চেন হুয়াইয়ু।

চারদিনের সরকারি সফরে বর্তমানে চীনে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার বাংলাদেশ সময় ৪টা ১৫ মিনিটে হাইনানের কিউনহায় বাও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধান উপদেষ্টাকে বহনকারী ফ্লাইট।

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
বিশ্ব সম্মেলন

আন্তঃসীমান্ত বায়ুদূষণ রোধে পদক্ষেপ আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আন্তঃসীমান্ত বায়ুদূষণ রোধে পদক্ষেপ আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার
সংগৃহীত ছবি

পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আন্ত:সীমান্ত বায়ুদূষণ মোকাবিলায় কার্যকর আঞ্চলিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বায়ুদূষণের ৩০-৩৫ শতাংশ আসে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে।

তাই, এ সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক আলোচনার গণ্ডি পেরিয়ে বাস্তব পদক্ষেপ ও আঞ্চলিক সহযোগিতা জরুরি। তিনি দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর কাঠমান্ডু রোডম্যাপ ও অন্যান্য সমঝোতার কথা উল্লেখ করে বলেন, এগুলো যথেষ্ট নয়, আরো জোরালো উদ্যোগ প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার ভোরে কলম্বিয়ার কার্টাগেনায় অনুষ্ঠিত WHO দ্বিতীয় বৈশ্বিক সম্মেলনের বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া সাইড ইভেন্টে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। ঢাকাস্থ তাঁর বাসভবন থেকে সংযুক্ত হয়ে তিনি বাংলাদেশের বায়ুদূষণ সমস্যা, বিশেষ করে ঢাকার ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন।

উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশের বহুমাত্রিক বায়ুদূষণ সমস্যা মোকাবিলায় বায়ু মান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা WHO-এর অন্তর্বর্তীকালীন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই আইনি বিধিমালায় দূষণকারী খাতগুলোর জন্য নির্দিষ্ট মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে এবং অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে।

তিনি জানান, ২০২৪ সালে চূড়ান্ত হওয়া জাতীয় বায়ু মান ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার বাস্তবায়ন রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পিছিয়ে ছিল, তবে এখন তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। পরিকল্পনার লক্ষ্য হলো মানুষের দূষণজনিত ঝুঁকি কমানো ও পরিষ্কার বায়ুর দিন বৃদ্ধির মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

পরিবেশ উপদেষ্টা আরো জানান, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রকল্প চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, যা সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে শিগগিরই বাস্তবায়ন শুরু হবে। এই প্রকল্প নিয়ন্ত্রক কাঠামো শক্তিশালী করা, আইন প্রয়োগ জোরদার করা, শিল্প কারখানায় দূষণ পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ এবং গণপরিবহন খাত আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্ব দেবে।

তিনি ঢাকার আশেপাশের এলাকাগুলোকে ইটভাটা মুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করার পরিকল্পনার কথা জানান, যেখানে ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ থাকবে। এছাড়া, ২০২৫ সালের মে থেকে পুরনো বাস ধাপে ধাপে তুলে দেওয়া হবে, যা পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে।

তিনি বায়ুদূষণের অন্যতম প্রধান কারণ ধুলাবালি দূষণ রোধে ঢাকা শহরের খোলা সড়কগুলোতে সবুজায়নের উদ্যোগ এবং রাস্তা পরিস্কারে আরো শ্রমিক নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানান। অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযানের ফলে ইতোমধ্যে বায়ু মানের কিছুটা উন্নতি হয়েছে, তবে এই অগ্রগতি ধরে রাখতে কঠোর নজরদারি ও খাতসমূহের আধুনিকায়ন জরুরি।

রিজওয়ানা হাসান জানান, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় বিপুল পরিমাণ মানুষ বায়ুদূষণের কারণে মারা যায়, এবং ঢাকার মতো দূষিত শহরগুলোতে মানুষের গড় আয়ু ৫-৭ বছর কমে যাচ্ছে।

এই সংকট আমাদের সবার জন্য, আমাদের শিশু, বাবা-মা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হুমকি। নিষ্ক্রিয়তার মূল্য অনেক বেশি—আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে, তিনি জোর দিয়ে বলেন।

আশাবাদী কণ্ঠে তিনি বলেন, আমি আশাবাদী কারণ আমি বিশ্বাস করি, এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। প্রযুক্তি ও বিকল্প ব্যবস্থা আমাদের হাতে রয়েছে, শুধু প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবায়ন দরকার। বায়ুদূষণ শুধুই পরিবেশগত ইস্যু নয়, এটি মানবিক সংকট।

সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি, পরিবেশ ও জ্বালানি খাতের নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, গবেষক, স্থানীয় প্রশাসন, পরিবহন ও শিল্পখাতের বিশেষজ্ঞ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণ রোধে যৌথভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ