<p>আমাদের শরীর সুস্থ-সুন্দর ও রোগমুক্ত রাখার জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অতিরিক্ত ওজন শরীরে যেমন বিভিন্ন রোগের আবির্ভাব ঘটাতে পারে, তেমনি আমাদের স্বাভাবিক চলাফেরা ও জীবনযাপন পদ্ধতিতে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘমেয়াদি রোগ মূলত ওজন নিয়ন্ত্রণ না করার ফলেই হয়ে থাকে।</p> <p><strong>ওজন বাড়ার মূল উপাদান </strong></p> <p>আমাদের শরীরের ওজন বাড়ার মূল উপাদান হচ্ছে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা। এটি শুধু নিজেই ওজন বাড়ায় না বরং শরীরে অতিরিক্ত পানিও ধরে রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে এক গ্রাম কার্বোহাইড্রেট প্রায় তিন গ্রাম পানি ধরে রাখতে পারে। এ কারণে বেশি বেশি কার্বোহাইড্রেট খেলে শরীর ফুলে যায় এবং ওজন বাড়তে থাকে।</p> <p><strong>কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কিভাবে কমিয়ে আনা যায় </strong></p> <p>আমাদের দেশে সাধারণত সবাই কার্বোহাইড্রেট বা ভাতের ওপর নির্ভরশীল। বেশির ভাগ মানুষই তিন বেলাই ভাত খাওয়ায় অভ্যস্ত। তাই হঠাৎ করে যদি কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ শূন্য করে দেওয়া হয়, তাহলে এটা অনেকের জন্যই কষ্টকর হতে পারে। তবে ধীরে ধীরে কমিয়ে আনলে এটা শরীরের জন্য সহনীয় হয় এবং ধীরে ধীরে একটা পর্যায়ে এসে উপনীত হতে পারে। একই সঙ্গে সব মিষ্টিজাতীয় খাবার এবং চা বা অন্যান্য খাবারের সঙ্গে চিনি পরিহার করতে হবে।</p> <p><strong>অন্যান্য খাবার কিভাবে খাব </strong></p> <p>দুপুরবেলা কোনো কার্বোহাইড্রেট বা ভাত, রুটি না খাওয়াই ভালো। দুপুরে সবজি, সালাদ, মাছ-মাংস অথবা ডিম পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে। ক্ষুধা নিবারণের জন্য এই খাবারগুলো যথেষ্ট। রাতের বেলা সিজনাল ফল, বাদাম অথবা সালাদ খাওয়া যেতে পারে। আর রাত ও দুপুরের মাঝামাঝি একটি সময় বা বিকেলবেলা অনেকেরই নাশতার অভ্যাস থাকে। এই সময় চিনি ছাড়া চা বা দেশি ফল যেটা খুব বেশি মিষ্টি নয়, সেটা খাওয়া যেতে পারে। তবে না খেতে পারলেই ভালো।</p> <p>খাওয়াদাওয়ার এই অভ্যাসগুলো যদি নিয়মিতভাবে করা যায় তাহলে আশা করা যায়, আমাদের শরীরে কার্বোহাইড্রেট বা ভাত বা চিনিজাতীয় খাবারের চাহিদা কমে যাবে। এই পদ্ধতি তিন মাস চালিয়ে গেলে শরীর এই খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে যাবে এবং ওজন কমতে থাকবে।<br />  </p> <p><em>পরামর্শ দিয়েছেন</em></p> <p><em>ডা. মো. আহাদ হোসেন</em></p> <p><em>কনসালট্যান্ট ও ব্যথা বিশেষজ্ঞ</em></p> <p><em>বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ফরিদপুর</em></p>