<p>সাধারণত রোগীরা চিকিৎসকদের কাছে যায় বুকে ব্যথা, বুক ধড়ফড় করা অথবা শ্বাসকষ্ট নিয়ে। হাসপাতালে আসার পর রোগীর ইসিজি, ইকো পরীক্ষা করা হয়। মূলত ইকোর মাধ্যমে বুঝতে পারি ভালভ নষ্ট হয়ে গেছে।  ভালভ নষ্টের তিনটা ভাগ আছে—হালকা, মাঝারি ও গুরুতর।</p> <p>বয়স হওয়ার সঙ্গে অ্যাওটিক ভালভ নষ্ট হয়ে যাওয়া।  সাধারণত এটি নষ্ট হয় বয়সজনিত কারণে ক্ষয় হয়ে যাওয়া অথবা বাতজ্বরের কারণে হার্টের ভালভ স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে।</p> <p>আগে এই ভালভ ঠিক করার জন্য ওপেন হার্ট সার্জারি অর্থাৎ বুক কেটে অপারেশন করতে হতো। ব্যথামুক্ত করতে অ্যানেসথেসিয়া করতে হতো এবং রক্ত লাগত।</p> <p>পাঁচ-ছয় বছর ধরে বুক না কেটে পায়ে ছোট্ট একটি ছিদ্র করে ভালভ বসিয়ে দিই। এতে সুবিধা হলো ঝুঁকি কম, রোগীর কষ্ট কম হয়। অজ্ঞান না করে কোনো ধরনের রক্তপাত ছাড়াই অস্ত্রোপচার করা যায়। রোগী তিন দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে যেতে পারে।<br /> তবে চিকিৎসাটা একটু ব্যয়বহুল।</p> <p>ইউনাইটেড হাসপাতালে এ পর্যন্ত আটটি ভালভ প্রতিস্থাপন করেছি। প্রতিটি অপারেশন সুন্দরভাবে হয়েছে। আমাদের রোগীরা এখনো ভালো আছে।</p> <p><strong>লেখক :</strong> সিনিয়র কনসালট্যান্ট, কার্ডিওলজি ইউনাইটেড হাসপাতাল</p>