<p>লিভার ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসায় খাদ্য ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সুষম খাদ্যতালিকার মাধ্যমে সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করলে লিভারের কার্যকারিতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, দৈহিক শক্তি বাড়ে এবং কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে সাহায্য করে।</p> <p><strong>খাবার পরিকল্পনা যেমন হবে</strong></p> <p>একবারে পেট ভরে খাওয়ার বদলে দিনে ৫ থেকে ৬ বার অল্প করে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে শক্তিও বজায় থাকবে, আবার বমি বমি ভাবও কমবে।</p> <p>পুষ্টিকর খাবারে জোর দিতে হবে। কারণ, লিভার ক্যান্সার ও তার চিকিৎসা ক্ষুধা কমায় এবং পুষ্টি উপাদান শোষণে সমস্যা হয়। হালকা রান্না করা খাবার খেতে হবে, যা লিভার ও পাচনতন্ত্রের ওপর কম চাপ সৃষ্টি করে।</p> <p><strong>চর্বিহীন প্রোটিন</strong></p> <p>মাছ : সামুদ্রিক স্যামন, ম্যাকারেল ও সার্ডিন অথবা দেশি মাছ ইলিশ, সুরমা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।</p> <p>পোলট্রি: চামড়াহীন মুরগি বা টার্কি চর্বিহীন প্রোটিনের একটি ভালো উৎস।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে যে তিন সবজি" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/06/1736182066-db42d64b0ec45c8434ec6974ab35210b.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে যে তিন সবজি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2025/01/06/1465781" target="_blank"> </a></div> </div> <p>উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিন: ডাল, শিম, টফু ও কুইনোয়া প্রাণিজ প্রোটিনের ভালো বিকল্প। লিভারের জন্য সেটি হজম করা সহজ।</p> <p>ডিম: প্রোটিনের ভালো উৎস, কোলেস্টেরলের সমস্যা না থাকলে এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।</p> <p><strong>স্বাস্থ্যকর চর্বি</strong></p> <p>অলিভ অয়েল: এটি মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ, যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।</p> <p>অ্যাভোকাডো: আঁশ ও হেলথি ফ্যাট সরবরাহ করে, যা হজমে সাহায্য করে।</p> <p>বাদাম ও বীজ: বাদাম, আখরোট, চিয়া বীজ ও ফ্ল্যাক্সসিড পুষ্টিসমৃদ্ধ এবং ওমেগা-৩ সরবরাহ করে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শীতে কখন চা-কফি খেলে হতে পারে বিপদ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/11/1736606327-920b5bc63108658b9a2efb02dfa18dd8.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শীতে কখন চা-কফি খেলে হতে পারে বিপদ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2025/01/11/1467559" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>জটিল শর্করা</strong></p> <p>পূর্ণ অথবা হোল-গ্রেইন শস্য: বাদামি চাল, কুইনোয়া, ওটস ও গমের পণ্য হজমে সাহায্য করে এবং ধীরে ধীরে শক্তি প্রদান করে।</p> <p><strong>অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার</strong></p> <p>রঙিন সবজি, যেমন- গাজর, বেল পেপার, মিষ্টি আলু ও বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ সবজি লিভারকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে।</p> <p>বেরিজাতীয় ফলেও আছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। গ্রিন টিতে আছে ক্যাটেচিন, যা লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায়।</p> <p><strong>পানি ও তরল</strong></p> <p>পানি: যদি চিকিৎসক এ বিষয়ে নির্দেশনা না দিয়ে থাকেন, তাহলে প্রতিদিন অন্তত ৮ কাপ পানি পান করতে হবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মুরগির ডিম সাদা ও বাদামি হয় কেন" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/12/1736694925-b6f9a496a01ea8d9e1a476de32310b91.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মুরগির ডিম সাদা ও বাদামি হয় কেন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2025/01/12/1467932" target="_blank"> </a></div> </div> <p><br /> হারবাল চা: ড্যান্ডেলিয়ন ও মিল্ক থিসেল চা লিভারের জন্য উপকারী। </p> <p><strong>যা এড়িয়ে চলতে হবে</strong></p> <p>ভাজা খাবার, পরিশোধিত চিনি, শর্করা, লাল মাংস, প্রসেসকৃত খাবার ও অ্যালকোহল বাদ দিতে হবে।</p> <p><strong>ভিটামিন ও সম্পূরক খাবার</strong></p> <p>লিভার ক্যান্সারে রোগীদের ভিটামিন-ডি ও বি১২, আয়রন বা জিংকের মতো পুষ্টি উপাদানের জন্য সম্পূরক গ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে। এ বিষয়ে ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। অনেক রোগীর ফ্লুইড রিটেনশন (অ্যাসাইটিস) সমস্যা হতে পারে। প্রসেসড ও লবণাক্ত খাবার এড়িয়ে চলা এবং সোডিয়াম গ্রহণ কমানো এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শীতে হাত-পা উষ্ণ রাখবে যে মসলা" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/12/1736690147-2e13c9bfa51aac165c6f123b7fed2f32.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শীতে হাত-পা উষ্ণ রাখবে যে মসলা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2025/01/12/1467909" target="_blank"> </a></div> </div> <p>লেখক : কনসালট্যান্ট নিউট্রিশনিস্ট<br /> একেএস হেলথকেয়ার</p>