আমরা প্রায়ই রাতে ঘুম থেকে উঠে টয়লেটে যাই বা পানি খেতে উঠি। এরপর আবার ঘুমিয়েও পড়ি। কিন্তু এমনটাও দেখা যায় যে অনেকেরই প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটা সময়ে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে। কখনো ভেবে দেখেছেন এর কারণ কী? চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
আমরা প্রায়ই রাতে ঘুম থেকে উঠে টয়লেটে যাই বা পানি খেতে উঠি। এরপর আবার ঘুমিয়েও পড়ি। কিন্তু এমনটাও দেখা যায় যে অনেকেরই প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটা সময়ে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে। কখনো ভেবে দেখেছেন এর কারণ কী? চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুম থেকে ওঠার পর যদি আবার ঘুমাতে না পারেন, তাহলে এটিকে উপেক্ষা করা ঠিক না। কারণ এটি অনেক বড় রোগের লক্ষণ হতে পারে।
রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। অনেক সময় রাতে টয়লেটে যাওয়ার কারণে বা তৃষ্ণার্ত বোধ করার কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
কিন্তু যদি প্রতি রাতে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, তবে তা উপেক্ষা করা উচিত নয়। প্রতিদিন রাত ১টা থেকে ৩টার মধ্যে ঘুম থেকে ওঠা অথবা ঘুম থেকে ওঠার পর আবার ঘুমাতে না পারা অনেক রোগের লক্ষণ হতে পারে।
রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে কেন
মায়ো ক্লিনিকের মতে, ঘুমের ব্যাঘাতের পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে।
মানসিক চাপ
প্রতি রাতে নিয়মিত যদি আপনার ঘুম ভেঙে যায়। আর ঘুম থেকে ওঠার পর যদি আপনি ঘুমাতে না পারেন, তাহলে এটি মানসিক চাপের লক্ষণ হতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে মানসিক চাপের মধ্যে থাকার ফলে বিষণ্নতাও দেখা দিতে পারে।
লিভারের সমস্যা
রাতে যদি হঠাৎ গভীর ঘুম থেকে জেগে উঠেন, তাহলে এটি লিভার সম্পর্কিত সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। যদি আপনার ঘুম প্রতিদিন ব্যাহত হয়, তাহলে আপনার এটিকে উপেক্ষা করা উচিত নয়।
জার্নাল অব নেচার অ্যান্ড সায়েন্স অব স্লিপের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, রাতে হঠাৎ ঘুমের ব্যাঘাত লাইফ ড্যামেজের লক্ষণ হতে পারে।
এক্সপ্রেস ইউকে-এর উদ্ধৃতি অনুসারে, কানসাস সিটির ইন্টিগ্রেটিভ অ্যান্ড ফাংশনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং কাইরোপ্র্যাক্টর ডা. ব্রায়ান লুন পরামর্শ দেন, ভোর ১টা থেকে ৪টার মধ্যে ঘুম থেকে ওঠার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো লিভারের সমস্যা।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, রাত ১টা থেকে ৩টার মধ্যে লিভার আমাদের ঘুমের সময় শরীর পরিষ্কার এবং বিষমুক্ত করার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করে। ডা. লুন আরো বলেন, যদি লিভার পরিষ্কারের সময় (ভোর ১টা থেকে ৪টা) চর্বি জমার কারণে আপনার লিভার ধীর ও স্থির থাকে, তাহলে শরীর বিষমুক্তির জন্য আরো শক্তি বরাদ্দ করার চেষ্টা করবে এবং আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে জাগিয়ে তুলবে।
ফুসফুস
যদি আপনার ঘুম প্রতিদিন রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে ভেঙে যায়, তাহলে এটি ফুসফুসের সমস্যা হতে পারে। যদি আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, তাহলে তা উপেক্ষা করবেন না। বরং একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
প্রতিবেদনটি শুধু সচেতন করার জন্য লেখা হয়েছে। এটি লেখার সময় ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ তথ্যের সাহায্য নেওয়া হয়েছে।
সূত্র : নিউজ ১৮
সম্পর্কিত খবর
ফরমালডিহাইড হলো একটি বর্ণহীন, দাহ্য এবং কটু গন্ধযুক্ত বিষাক্ত রাসায়নিক যৌগ। এটি যখন পানিতে মিশে তখন ফরমালিনে পরিণত হয়। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে ফরমালিন একটি আতঙ্কের নাম। সেখানে প্রায় সব ধরনের খাবারে বিশেষ করে কাঁচা মাছ ও ফলের মধ্যে ফরমালিনের পরিমাণ থাকে অতিরিক্ত।
ফরমালিন কেন ব্যবহার করা হয়?
ফরমালিন সাধারণত পচন রোধের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক ধ্বংস করে এবং নতুন করে ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হতে রোধ করে। তাই শাকসবজি, ফল, মাছ-মাংস দীর্ঘ সময় তাজা রাখতে অসাধু ব্যবসায়ীরা এই ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করেন।
স্বাস্থ্যে ফরমালিনের ক্ষতিকর প্রভাব
ফরমালিন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
ফরমালিন কিডনি, হার্ট, লিভার ইত্যাদিকে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
নিয়মিত ফরমালিনযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে ফুসফুস বা লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
ফরমালিন চোখের রেটিনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
গর্ভবতী মহিলাদের ওপর এর সবচেয়ে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। ফরমালিনযুক্ত খাবার গর্ভের সন্তানের বিকলাঙ্গতা সৃষ্টি করতে পারে বা কখনও কখনও ভ্রূণের মৃত্যু হতে পারে।
ফরমালিন থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ নয়, তবে কিছু পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে:
ফরমালিনযুক্ত ফল, শাক-সবজি বাজার থেকে কিনে আনলে, সেগুলো অন্তত আধা ঘণ্টা ভিনেগার মেশানো গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং পরে ভালো করে ধুয়ে ব্যবহার করুন। মাছ বা মাংসে ফরমালিন থাকলে তা ভিনেগার বা লবণ মেশানো পানিতে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে তারপর ভালো করে ধুয়ে ব্যবহার করুন। এতে ফরমালিনের পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে।
বর্তমানে কিছু নির্দিষ্ট দোকান ও অনলাইন শপে ফরমালিনমুক্ত শাক-সবজি, ফল, মাছ এবং মাংস পাওয়া যায়। যদিও এগুলোর দাম কিছুটা বেশি। তবে এগুলো সাধারণত ফরমালিনহীন।
নিজের বাড়ির ছাদ বা বাগানে শাক-সবজি বা ফল চাষ করতে পারেন। এ ছাড়া ঘনিষ্ঠ পরিচিতদের পুকুর থেকে মাছ সংগ্রহ করা সম্ভব হলে সেটি একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। তবে শহরাঞ্চলে এই ধরনের চেষ্টা কিছুটা কঠিন হতে পারে।
সূত্র : এই সময়
ক্যান্সার একটি গুরুতর ও মারাত্মক রোগ। শরীরে অনিয়ন্ত্রিত কোষ বৃদ্ধির কারণে হয় এই রোগ হয়। রোগটি অনেক কারণেই হতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে জিনগত, পরিবেশগত কারণ এবং জীবনধারা।
আমাদের দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যান্সারের অনেক কারণ রয়েছে, যেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—
ক্ষতিকারক রাসায়নিক
প্রতিদিন পরিষ্কারের জন্য ব্যবহৃত পণ্য বা কীটনাশকগুলোতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে, যা দীর্ঘ সময় ধরে সংস্পর্শে থাকলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
জাংক ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, রেড মিট ও ডিপ ফ্রাই খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এই খাবারগুলোতে উপস্থিত ক্ষতিকারক রাসায়নিক এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি শরীরে প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস সৃষ্টি করে, যা কোষের ক্ষতি করতে পারে।
ধূমপান ও তামাক
ধূমপান ও তামাক খাওয়া ক্যান্সারের অন্যতম বড় কারণ। সিগারেট, বিড়ি, গুটখা এবং অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্যে নিকোটিন ও ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক থাকে। এই রাসায়নিকগুলো ফুসফুস, মুখ, গলা, অগ্ন্যাশয় ও মূত্রথলির ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
অ্যালকোহল
অ্যালকোহল পান ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ায়। অ্যালকোহলে উপস্থিত ইথানল এবং এর বিপাকীয় পদার্থ শরীরে প্রবেশ করে এবং কোষের ক্ষতি করে। এটি লিভার, মুখ, গলা, স্তন ও অন্ত্রের ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। তাই ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য অ্যালকোহল সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করা গুরুত্বপূর্ণ।
শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা
আধুনিক জীবনযাত্রায় শারীরিক কার্যকলাপের অভাব একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকা এবং ব্যায়ামের অভাব স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের মতো রোগের কারণ হতে পারে। নিয়মিত ব্যায়ামের অভাব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে এবং কোষ মেরামতের প্রক্রিয়া ধীর করে দেয়, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি
রোদে বেশি সময় কাটানো এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার না করা ত্বকের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের কোষগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং মেলানোমার মতো গুরুতর ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। তাই রোদে বেরোনোর সময় সানস্ক্রিন, টুপি ও প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরা গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র : ইটিভি
সুস্থ থাকার জন্য অনেকেই প্রায় সময় ফলের রস দিয়ে তাদের দিন শুরু করতে পছন্দ করেন। এর জন্য বাড়িতেই ফলের রস তৈরি করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, কোন ফলের রস পান করা আপনার জন্য উচিত নয়?
ডায়েটিশিয়ানদের মতে, কিছু ফলের রস পান করার পরিবর্তে সরাসরি খাওয়া উচিত। কারণ এতে রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
কমলালেবু
অনেকেই সকালে কমলার রস পান করতে পছন্দ করেন। কিন্তু মনে রাখবেন, পুরো কমলালেবু খেলে এর ফাইবারও শরীরে যায়।
আপেল
আপেল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
আনারস
আনারস আপনার খাবার হজম করতে সাহায্য করে। তাই এই ফল কেটে সরাসরি খেতে হবে। কারণ চিকিৎসকরা বলছেন, আপনি যদি এর রস তৈরি করে পান করেন, তাহলে এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। এ ছাড়া ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে। রস বের করলে এর ফাইবার দূর হয় এবং এটি গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
ডায়রিয়া একটি পানিবাহিত রোগ। যা ব্যাকটেরিয়া থেকে ছড়ায়। শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যাওয়ায় ডাইরিয়াতে আক্রান্ত রোগী দুর্বল হয়ে পড়ে। এই রোগ গরমকালে বেশি হয় এবং শিশুদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গরমে ডায়রিয়া থেকে বাঁচতে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
১) খাওয়ার আগে ভালভাবে হাত ধুতে হবে এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
২) গরম খাবার খেতে হবে। খাবার দীর্ঘ সময় ফেলে রেখে তা খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে হবে।
চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে সতর্ক থাকলে ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
সূত্র : এই সময়