<p> একজন ছিলেন সাহিত্যে নোবেলজয়ী, অন্যজন শান্তিতে। একজিন বিশ্বখ্যাত সাহিত্যিক অন্যজন ভূপর্যটক। তাঁদের মধ্যে সাক্ষাৎ হলে কী  নিয়ে কথা হতে পারে?</p> <p>ভাববেন না, সবাই রবীন্দ্রনাথ-আইনস্টাইনের মতো তত্ত্ব-দর্শন-বিজ্ঞান নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিতর্ক করবেন। বরং খুব হালকা ও হাস্যকর তর্কও হতে পারে। আইরিশ সাহিত্যিক জর্জ বার্নাড শ ও উত্তর মেরুর আবিষ্কারক নরওয়েজিয়ান ভূ-পর্যটক ফ্রিৎজোফ নানসেনের মধ্যে একবার এক মজার আলাপ জমেছিল।</p> <p>তবে এই আলাপের পেছনে একটা কারণ আছে। বার্নাড শ প্রায়ই মাথাব্যথায় ভুগতেন। বলতে গেলে প্রায় সত্তর বছর তাঁর নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছিল। তাই আলাপের শুরুতেই বার্নাড শ নানসেনকে জিজ্ঞেস করেছিলেন,  আচ্ছা, আপনি মাথা ধরার কোনো ওষধ আবিষ্কার করেছেন?</p> <p>নানসেন বিজ্ঞানী নন, ওষুধ আবিষ্কার চিকিঃসাবিজ্ঞানীদের কাজ। নানসেন ভূ-পর্যটক, তাঁর কাছে এমন প্রশ্ন করায় তাই অবাক হলেন নানসেন। তবে বার্নাড শর মতো মানুষ যখন এমন প্রশ্ন করেন, তখন নিশ্চয়ই কারণ আছে!</p> <p>বিস্ময়ভরা কণ্ঠে নানসেন বলেছিনে, ‘না তো! কিন্তু হঠাৎ এ প্রশ্ন?’</p> <p>জবাবে বার্নাড শ বললেন, ‘কী আশ্চার্য! উত্তর মেরু আবিষ্কারের জন্য সারাজীবন কাটালেন। অথচ পৃথিবীর কাছে তার মূল্য দু পয়সাও নয়। আপনি মাথা ধরার কোন ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টাও করেননি; কিন্তু পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই রোগে আক্রান্ত।’</p>