<p>এই বইয়ে ইউএফও নিয়ে যত ঘটনা জড়িত আছে, সেগুলোর একটা ব্যবচ্ছেদ করার চেষ্টা করলেন। ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করলেন, ফ্লাইং সসার বা ভিনগ্রহী স্পেসশিপগুলো কীভাবে চলে, সেগুলোর প্রযুক্তি কী, সেগুলো কোন শক্তির সাহায্যে চলে। জেসাপ ফ্লাইং সসারের শক্তি হিসেবে অ্যান্টিগ্রাভিটির কথা বললেন। </p> <p>১৯৫৫ সালে বইটা প্রকাশ হলো সিডাটল প্রেস থেকে। মারমার কাটকাট বিক্রি না হলেও ওভারঅল খারাপ বিক্রি হলো না। ফলে বিশ্বখ্যাত ব্যান্টম বুকস বের করল এর একটি পেপারব্যাক সংস্করণ।</p> <p><a href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/09/11/1424380">আরও পড়ুন: ফিলাডেলফিয়া রহস্য : পর্ব ৪</a></p> <p>জেসাপ দ্য কেস ফর দ্য ইউএফও বইটা লেখার পর এবার একটু অন্যদিকে মনোযোগ দিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র বা রুশ সরকার মহাকাশে রকেট উৎক্ষেপনের জন্য যে প্রতিযোগিতায় নেমেছে, সেটা অনেক ব্য্যবহুল ও ভুল পদ্ধতি। এতে কাজের কাজ কিছুই হবে না। তারচেয়ে ভিনগ্রহ থেকে আসা ইউএফও যে পদ্ধতিতে পৃথিবীতে আসে, সেই পদ্ধতিটা যদি কাজে লাগানো যায়, তাহলে সহজেই ভিনগ্রহে আমাদের স্পেশশিপ পৌঁছুনো সম্ভব।</p> <p>কিন্তু সেই পদ্ধতিটা যে কী, সে বিষয়ে ভাসা ভাসা কিছু উপায় বাতলে দিলেন তিনি। কিন্তু আমরা জানি, বিজ্ঞানে ভাসা ভাসা জ্ঞানে কাজ হয় না। একটা সম্পূর্ণ তত্ত্ব দিতে হয়, সেই তত্ত্বটাও শুধু বর্ণনামূলক হলে চলে না। গাণিতিকভাবে প্রুফ করতে হয়, তারপর সেটা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ হলে তবেই সেটা কাজে লাগানো হয়। কিন্তু জেসাপ সে পথে হাঁটেননি।  তার বদলে তিনি বললেন আজগুবি সব কথা। বললেন পৃথিবীতে যেসব দেবতাদের কথা চালু আছে, তারাই ওই ইউএফওগুলো ব্যবহার করতেন। দুর্ভাগ্য হলো, কয়েক হাজার বছর আগে তাঁরা আমাদের ছেড়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছেন।</p> <p>জেসাপ প্রমাণের একটা উপাও বাতলে দিয়েছেন, সেটা হলো ইউনিভার্সাল গ্র্যাভিটেশনাল ফিল্ড বা সার্বিক মহাকর্ষ ক্ষেত্র। সেটা ছড়িয়ে আছে গোটা মহাবিশ্ব জুড়েই। কিন্তু এই মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র ব্যবহার করে কীভাবে মহাশূন্যযান চালানো যাবে তার রূপরেখা দিতে পারেননি। অথচ এটা নিয়ে তিনি লিখেছেন, সভা-সেমিনারে দেদারসে বলে বলে বেড়িয়েছেন। এর একটাই কারণ, তার নিজের পক্ষে এই সেই পদ্ধতি আবিষ্কার করা সম্ভব নয়, ততটুকু বৈজ্ঞানিক জ্ঞানই তার নেই। তাই তিনি অন্য বিজ্ঞানীদের এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন।</p> <p>জেসাপের এই এই আহ্বান, কোনো গবেষককেই তেমন আলোড়িত করতে পারেনি। কিন্তু একজন মানুষকে বোধহয় প্রভাবিত করতে পেরেছিল। তিনি হলেন, কার্লোস আলেন্ড।<br />  </p> <p>চলবে...<br /> সূত্র : অল অ্যাবাউট হিস্ট্রি</p>