<p>প্রথমবারের মতো শুধু বেসামরিক নাগরিকদের স্পেসওয়াক করাতে মহাকাশ নিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে স্পেসএক্স। গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়াক করেন বেসামরিক নাগরিকরা। এই যুগান্তকারী ঘটনাকে নাসা বাণিজ্যিক মহাকাশ শিল্পের জন্য একটি ‘বিশাল পদক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।</p> <p>মার্কিন বিলিয়নেয়ার জ্যারেড আইজ্যাকম্যানের নেতৃত্বে স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ রকেট স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে পৃথিবীর কক্ষপথে যাত্রা শুরু করে।</p> <p>নাসার অ্যাপোলো অভিযানের পর প্রায় অর্ধশতাব্দীর মধ্যে এই প্রথম  কোনো মানববাহী নভোযান মহাকাশের গভীরে যাত্রা করল।</p> <p>মহাকাশে থাকা অবস্থায় যখন একজন নভোচারী মহাকাশযান থেকে বের হন, তাঁকে বলা হয় স্পেসওয়াক। মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন মহাকাশযান প্রস্তুতকারক ও মহাকাশযাত্রা সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের রকেটটিতে করে স্পেসওয়াকে যাওয়া নভোচারীদের কেউই পেশাগতভাবে নভোচারী নন। তাঁদের সবাই বেসামরিক নাগরিক। শখের বশেই স্পেসওয়াকে গেছেন তাঁরা।</p> <p>টিকিট কিনে পাঁচ দিনের এই যাত্রার মার্কিন বিলিয়নেয়ার জ্যারেড আইজ্যাকম্যানের সঙ্গী হয়েছেন মার্কিন বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল স্কট পোটিট, মিশন বিশেষজ্ঞ সারাহ গিলিস ও আনা মেনন। এর আগে শুধু সরকারি অনুদানে নভোচারীরা স্পেসওয়াকে গেছেন।</p> <p>২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের জন্য এই অভিযান আরেকটি বড় মাইলফলক।</p> <p>প্রথমদিকে মহাকাশ শিল্পের বৃহত্তম অঙ্গনে স্পেসএক্স অবাঞ্ছিতই ছিল। তবে ২০২০ সালে মহাকাশ শিল্পের জায়ান্ট হিসেবে পরিচিত বোয়িংকে পরাস্ত করে এই শিল্পের পাওয়ার হাউসে পরিণত হয় স্পেসএক্স। পোলারিস ডন স্পেসএক্সের পোলারিস কর্মসূচির অধীনে তিনটি অভিযানের মধ্যে প্রথম। এরপর এই রকম আরো দুটি অভিযান পরিচালনা করবে স্পেসএক্স।  সূত্র : এএফপি</p>