<p>১৯২০-এর দশকে প্রথমবারের মতো কুয়ার পানির খনিজ গঠন নিয়ে গবেষণা চালানো হয়। ড. অ্যালান হার্বার্ট নামের একজন ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক এই গবেষণার নেতৃত্ব দেন। তিনি প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে দেখেন যে কুয়ার পানিতে উচ্চমাত্রার ক্যালসিয়াম কার্বনেট রয়েছে। তার গবেষণায় উঠে আসে যে এই খনিজ উপাদানটির কারণে পানিতে পড়া জিনিসপত্র ধীরে ধীরে পাথরের স্তর জমতে শুরু করে। <br /> ১৯৭০-এর  দশকে ড. রিচার্ড স্মিথ এবং তার দল কুয়ার পানি নিয়ে আরো বিস্তারিত গবেষণা করেন। তার দলের গবেষণায় দেখা যায়, শুধু ক্যালসিয়াম কার্বনেট নয়, বরং পানিতে উচ্চমাত্রার ম্যাগনেসিয়াম এবং সোডিয়াম সালফেটও রয়েছে। তারা পরীক্ষা করে দেখেন, কুয়ার পানি এই খনিজ পদার্থগুলোকে দ্রবীভূত অবস্থায় ধরে রাখতে সক্ষম, যার ফলে জিনিসের ওপর দ্রুত পাথরের স্তর জমা হতে থাকে। ড. স্মিথের দল এই গবেষণায় কুয়ার পানির গতি, দিক এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদানগুলোর প্রভাবও বিশ্লেষণ করেন। তাদের মতে, পানি প্রবাহের ফলে বাতাসের সংস্পর্শে এসে পানি ও খনিজ উপাদানগুলোর বিক্রিয়া আরো দ্রুত ঘটে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="অভিশপ্ত কুয়ার রহস্য : পর্ব ১" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/18/1726645453-f3ccdd27d2000e3f9255a7e3e2c48800.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>অভিশপ্ত কুয়ার রহস্য : পর্ব ১</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/09/18/1426562" target="_blank"> </a></div> </div> <p><br /> ২০০১ সালে ড. জেনিফার হ্যারিস ও ড. মার্ক টমাসের নেতৃত্বে আরো একটি বিশদ গবেষণা পরিচালিত হয়। তাদের গবেষণায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পানির উপাদানগুলোকে বিশ্লেষণ করা হয়। তারা দেখেন, খনিজ উপাদানের ঘনত্ব বছরের বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তিত হয়। শীতকালে খনিজ পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকে এবং গ্রীষ্মকালে কম। এই পরিবর্তন প্রভাব ফেলে কুয়ার পানিতে জিনিসপত্র কত দ্রুত পাথরে পরিণত হয়। তাদের গবেষণা থেকে জানা যায়, বড় আকারের বস্তু যেমন হ্যাট বা খেলনা সম্পূর্ণ পাথরে পরিণত হতে প্রায় ৩ থেকে ৫ মাস সময় লাগে।</p> <p>২০১৫ সালে ড. এডওয়ার্ড গ্রিফিনে নেতৃত্বে আরেকটি দল কুয়াটির আশপাশের মাটি এবং পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেন। তারা পরীক্ষা করে দেখেন, কুয়ার পানির উৎস ঝরনা এবং নিকটবর্তী পাথুরে এলাকা থেকে প্রবাহিত হচ্ছে। এসব পানি খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। তারা আরো দেখেন, কুয়ার পানির প্রবাহের গতি এবং খনিজ পদার্থের সঞ্চালন এই পুরো প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করছে। ড. গ্রিফিনের গবেষণা জানায়, কুয়ার পানি দ্রুততার সঙ্গে খনিজ পদার্থের স্তর জমা করে যার ফলে কোনো বস্তু দ্রুত পাথরে পরিণত হয়। তিনি বলেন, এই কুয়ার প্রক্রিয়া স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ঘটনাগুলোর চেয়ে অনেক দ্রুত হয়।</p> <p>আগামী পর্বে সমাপ্য...</p> <p>সূত্র : ডেইলি মেইল</p>
