<p>সাল ১৯০২। জার্মান বিজ্ঞানী ফিলিপ লিনার্ড অদ্ভুত এক ঘটনার সাক্ষী হন। বায়ুশূন্য ক্যাথোড টিউব নিয়ে পরীক্ষা করছিলেন তিনি। হঠাৎ খেয়াল করেন, ধাতব দণ্ডে অতিবেগুনি আলো ফেললে তা থেকে ইলেকট্রন ছিটকে বেরিয়ে আসে। এটা ছিল আলোক-তড়িৎক্রিয়া বা ফটোইলেকট্রিক ইফেক্ট।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="অভিশপ্ত কুয়ার রহস্য : শেষ পর্ব" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/21/1726911088-f3ccdd27d2000e3f9255a7e3e2c48800.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>অভিশপ্ত কুয়ার রহস্য : শেষ পর্ব</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/09/21/1427501" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এ ঘটনার ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারেননি। কারণ তখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা আলোকে শুধু তরঙ্গই ভাবতেন। তরঙ্গের কম্পাঙ্ক আছে। আর আলোক-তড়িৎক্রিয়া আলোর কম্পাঙ্কের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু তরঙ্গ কীভাবে ধাতুর ভেতর থেকে একটা কণাকে বের করে আনতে পারে?</p> <p>আইনস্টাইন সেটা ব্যাখ্যা করেন সহজ ভাষায়। তিনি বলেন, আলো হচ্ছে শক্তিসম্পন্ন কণা। কণা বলেই সে ধাতুর ভেতরে থাকা ইলেকট্রনকে ধাক্কা দিয়ে বের করে আনতে পারে। প্ল্যাঙ্ক যেমন বলেছিলেন, আলো শক্তির গুচ্ছ গুচ্ছ প্যাকেটের সমষ্টি। আইনস্টাইন সেই প্যাকেটকে তুলনা করেন শক্তির কণা হিসেবে। বহু পরে শক্তির এই কণার নাম দেওয়া হয় ফোটন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কেমন ছিল স্বর্ণযুগের বাগদাদ লাইব্রেরি?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/21/1726906133-18848914ec0ae93bf3b7c9ba126bcb65.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কেমন ছিল স্বর্ণযুগের বাগদাদ লাইব্রেরি?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/09/21/1427490" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এর বছর পাচেক আগে, ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক তাঁর কোয়ান্টাম তত্ত্ব প্রকাশ করেন। কিন্তু বিজ্ঞান মহলে তখনো সাড়া ফেলতে পারেনি সে তত্ত্ব। আইনস্টাইন কোয়ান্টাম তত্ত্ব ব্যবহার করে আলোর তড়িৎক্রিয়ার পরিষ্কার ব্যাখ্যা দেন। তারপরেই কোয়ান্টাম তত্ত্বে হুমড়ি খেয়ে পড়েন বিজ্ঞানীরা। এর ১৬ বছর পর ১৯২১ সালে আইনস্টাইন নোবেল পুরস্কার পান। তবে সেটি আপেক্ষিকতা তত্ত্বের জন্য নয়, বরং আলোক-তড়িৎক্রিয়া ব্যাখ্যার জন্য।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মঙ্গলে নাসার নতুন মিশন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/19/1726733902-86a40b90c8595251fddfeec26d28a9ac.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মঙ্গলে নাসার নতুন মিশন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/09/19/1426891" target="_blank"> </a></div> </div> <p>আলবার্ট আইনস্টাইন আলোক-তড়িৎক্রিয়া ব্যাখ্যার জন্য আলোকে কতগুলো নির্দিষ্ট শক্তির প্যাকেট হিসেবে কল্পনা করেন। পাঁচ বছর পর আবার নজরে আসে প্ল্যাঙ্কের কোয়ান্টাম তত্ত্ব।</p> <p>শুরুতে আইনস্টাইনের ব্যাখ্যাটি অযৌক্তিক মনে করতেন সহকর্মীরা। রবার্ট অ্যান্ড্রুজ মিলিক্যান ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তিনি জীবনের দশটি বছর ব্যয় করেন আইনস্টাইনের ব্যাখ্যা ভুল প্রমাণ করতে। পরীক্ষাগারে আইনস্টাইনের ব্যাখ্যা প্রমাণ করা ছিল শ্রমসাধ্য। তার জন্য বেশ পরিষ্কার ধাতব ইলেকট্রোড প্রয়োজন। মিলিক্যান সব ব্যবস্থা করেই মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু ঘটল বিপরীত। ভুল প্রমাণ করতে গিয়ে তিনি আইনস্টাইনের ব্যাখ্যার সত্যতা প্রমাণ করে বসলেন। যদিও এরপরেও তিনি আইনস্টাইনের ব্যাখ্যাকে অস্বীকার করেছেন।</p> <p><strong>সম্পর্কিত তত্ত্ব</strong><br /> অতিবেগুনি বিপর্যয়<br /> প্ল্যাঙ্কের কোয়ান্টা</p> <p><strong>জীবনী</strong></p> <p><strong>ফিলিপ লিনার্ড</strong><br /> ১৮৬২-১৯৪৭<br /> জার্মান পদার্থবিদ, ১৯০৫ সালে নোবেল বিজয়ী, নাৎসি সমর্থক— যিনি আইনস্টাইনের গবেষণাকে 'ইহুদির পদার্থবিদ্যা' বলে কটাক্ষ করেছিলেন।</p> <p><strong>আলবার্ট আইনস্টাইন</strong><br /> ১৮৭৯-১৯৫৫<br /> জার্মান বংশোদ্ভূত পদার্থবিদ, বিশেষ এবং সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের জনক, কোয়ান্টাম তত্ত্বের অন্যতম দিকপাল।</p> <p><strong>বর্ণনা</strong><br /> ফিলিপ বল</p>