<p>নিলস বোর কোয়ান্টাম তত্ত্ব থেকে ধারণা নিয়ে পরমাণুর একটা মডেল দাঁড় করান। তবে সেটা অসম্পূর্ণ ছিল। কারণ ইলেকট্রনের শক্তি বিকিরণ। বিকিরণ মানে আলো। উত্তেজিত পরমাণু থেকে আলো বেরিয়ে আসে। কোয়ান্টাম মডেল অনুযায়ী, ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের চারপাশে ঘোরে। তবে সব কক্ষপথ ব্যবহার করতে পারে না। এ পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু ইলেকট্রন শক্তি হিসেবে যে আলো বিকিরণ করছে, তার ব্যাখ্যা দিতে পারছিলেন না বোর। পরমাণু যে আলোকরশ্মি বিকিরণ করে— তিনি তা জানতেন। কিন্তু কেন করে, সেগুলো নিয়ে কী কী গবেষণা হয়েছে, এসব ব্যাপারে ধারণা ছিল না।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="অতিবেগুনি বিপর্যয় আসলে কী?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/23/1727083633-634b68bf263a7f4220f6364776f9a111.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>অতিবেগুনি বিপর্যয় আসলে কী?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/09/23/1428153" target="_blank"> </a></div> </div> <p>কাজের ফাঁকে ছোটবেলার বন্ধুর সাথে প্রায়শই আড্ডা দিতেন বোর। বন্ধুটির নাম হ্যানস হ্যানসেন। যিনি অণু-পরমাণুর বর্ণালি নিয়ে গবেষণা করতেন। বোরকে ২৮ বছর পুরোনো বামার সিরিজের হদিস দেন হ্যানস। জোহানস বামার সুইজ্যারল্যান্ডের একটা স্কুলে গণিত পড়াতেন। উত্তেজিত হাইড্রোজেন পরমাণু যে আলো বিকিরণ করে তা থেকে তৈরি হয় চারটি বর্ণালি রেখা। এগুলো হাইড্রোজেন বর্ণালি নামে পরিচিত। হাইড্রোজেন বর্ণালির জন্য গাণিতিক সূত্র তৈরি করেছিলেন বামার। দৃশ্যমান বর্ণালির ক্ষেত্রে পাই টু পাই মিলে গিয়েছিল সে সূত্র। তাঁর নামানুসারেই এই রেখাগুলোর সাধারণ নাম রাখা হয় বামার সিরিজ।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="যে দৈত্যরা হারিয়ে গিয়েছে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/28/1727510224-03819e1f352dfc09f56303ea25b92520.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>যে দৈত্যরা হারিয়ে গিয়েছে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/09/28/1429736" target="_blank"> </a></div> </div> <p>হাইড্রোজেন বর্ণালি নিয়ে বোরও কাজ করেছিলেন। তিনি মনে করতেন, ইলেকট্রনের কম্পনের ফলে হয়ত এই বিকিরণ দেখা যায়। বামারের সূত্র তাঁর এই ভুল ভেঙে দেয়। বুঝতে পারেন, ইলেকট্রনের এক কক্ষপথ থেকে আরেক কক্ষপথে লাফিয়ে যাওয়ার কারণেই এই বিকিরণ তৈরি হয়। কক্ষপথগুলোর শক্তি নির্দিষ্ট ও বিচ্ছিন্নমানের। তাই বর্ণালির রেখাগুলোও বিচ্ছিন্ন।</p> <p>বামারের সূত্র থেকে বোর তাঁর কোয়ান্টাম মডেল সংশোধন করেন। রাদারফোর্ডের মডেলে পরমাণুর একপ্রকার মৃত্যু ঘটত বলা যায়। বোর সেটার সমাধান তো দিলেনই, সেইসঙ্গে পরমাণু ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গের বিকিরণ তৈরি করে— এর ব্যাখ্যাও দেন চমৎকারভাবে।</p> <p>পরমাণুর নতুন মডেল নিয়ে ধাঁধায় ছিলেন নিলস বোর। হঠাৎ বামারের পুরনো এক গবেষণার সন্ধান পান তিনি। যা পরমাণুর স্থিতিশীলতা এবং শক্তি বিকিরণ— দুটো জটই খুলে দেয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আলোক-তড়িৎক্রিয়ার ব্যাখ্যা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/26/1727344962-579a1409897385448c7cd0a1351ed28b.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আলোক-তড়িৎক্রিয়ার ব্যাখ্যা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/09/26/1429124" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বোর একবার তাঁর সহকর্মী লিওন রোজেনফেল্ডকে বলেন, ‘বামারের সূত্রে চোখ পড়তেই সবকিছু আমার কাছে দিনের মতো পরিষ্কার হয়ে গেল। হাইড্রোজেনের বর্ণালির খুব সহজ সমীকরণ দিয়েছেন তিনি। আমি এর আগে বর্ণালি সূত্রের ব্যপারে খুব বেশি জানতাম না।’</p> <p>বামারের বর্ণালি সূত্র বোর ও হ্যানসেনের স্কুলের পাঠ্যবইয়েই ছিল। ছেলেবেলায় বোর হয়ত তা পড়েছিলেন। কিন্তু কোয়ান্টাম মডেলের সাথে বামারের সূত্রের যোগসূত্র থাকতে পারে— তা তিনি একবারও ভাবেননি। বলা যায়, হ্যানসেনের ছোট একটা পরামর্শ বোরের পরমাণু তত্ত্বে অনেক বড় অবদান রেখেছিল।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মহাকাশে তুষারমানব!" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/26/1727347531-f4b920c9a9940d028cec6c5fe8d77bea.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মহাকাশে তুষারমানব!</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/09/26/1429133" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>সম্পর্কিত তত্ত্ব</strong><br /> অতিবেগুনি বিপর্যয়<br /> বোরের পরমাণু<br /> পল ডিরাকের সমীকরণ</p> <p><strong>জীবনী</strong></p> <p><strong>জোহানস জ্যাকব বামার</strong><br /> ১৮২৫-১৮৯৮<br /> সুইজারল্যান্ডের একটি স্কুলের গণিত শিক্ষক, বাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক।</p> <p><strong>লিওন রোজেনফেল্ড</strong><br /> ১৯০৪-১৯৭৪<br /> বেলজিয়ান তাত্ত্বিক পদার্থবিদ, আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের নথি সংরক্ষক বা ডকুমেন্টার, লেপটনের নামকরণ করেছিলেন।</p> <p><strong>৩০ সেকেন্ড বর্ণনা</strong><br /> ব্রায়ান ক্লেগ</p>
