<p>চুম্বক নিয়ে মানুষের বিস্ময় প্রাচীনকাল থেকেই। দুটি বস্তু কেন পরস্পরকে কাছে টানে বা দূরে ঠেলে দেয়— এই নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। দীর্ঘ সময় অন্ধকারে থাকার পর বিজ্ঞানীরা চুম্বক বলের উৎস খুঁজে পান। মূলত চুম্বকক্ষেত্র থেকেই এর উৎপত্তি। চুম্বকক্ষেত্র আবার কীভাবে তৈরি হয়? স্কটিশ পদার্থবিদ জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল পথ দেখান। বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত গতিশীল কণা চৌম্বকক্ষেত্র তৈরি করে। যেমন ইলেকট্রন। পরমাণুর নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে ইলেকট্রন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ইলেকট্রনের অদ্ভুত লাফ : শেষ পর্ব" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/02/1727863192-b228070f579c2b28304c5f41ec5a34ae.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ইলেকট্রনের অদ্ভুত লাফ : শেষ পর্ব</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/02/1431072" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তবে এখানে দেখা গেল নতুন এক সমস্যা। যেকোনো বস্তুতে অসংখ্য পরমাণু থাকে। এরা একে অপরের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। এতে প্রভাবিত হয় ইলেকট্রনগুলোর কক্ষপথ। ফলে নিরবচ্ছিন্ন চৌম্বক বলরেখা উদ্ভব হওয়ার কথা না। ১৯২২ সালে এই রহস্যের জট খোলেন জার্মান দুই বিজ্ঞানী। অটো স্টার্ন এবং ওয়ালথার গেরলাখ। তারা জানান, ইলেকট্রন শুধু নিউক্লিয়াসের চারদিকেই নয়, নিজ অক্ষকে কেন্দ্র করেও ঘোরে। তারা এই গতির নাম দেন ইলেকট্রন স্পিন। ইলেকট্রন স্পিনের সাথে যে কোয়ান্টাম তত্ত্বের যোগ আছে— তা বুঝতে বেশি সময় লাগেনি।</p> <figure class="image"><img alt="স্পিনের দিকই নির্দেশ করে কণাটি দ্বারা সৃষ্ট চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রকৃতি কেমন হবে।" height="750" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/online/2024/10/08/my1182/QSPIN 2.jpg" width="600" /> <figcaption>স্পিনের দিকই নির্দেশ করে কণাটি দ্বারা সৃষ্ট চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রকৃতি কেমন হবে</figcaption> </figure> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টাম সুপারপজিশন কী?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/06/1728204095-b26fc5103fd08733f880f004828f656a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টাম সুপারপজিশন কী?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/06/1432364" target="_blank"> </a></div> </div> <p>পরবর্তীতে আরও দুই ধরনের গতির সন্ধান পাওয়া যায়। এগুলোকে কোয়ান্টাম সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা হয়। কোয়ান্টাম সংখ্যা চারটি, যা চার ধরনের গতি নির্দেশ করে। এর মধ্যে একটি হলো স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যা। ইলেকট্রন নিজ অক্ষকে কেন্দ্র করে কোন দিকে ঘুরছে— তা জানায় এই সংখ্যা। পাশাপাশি দুটি ইলেকট্রনের তিনটি কোয়ান্টাম সংখ্যা এক হতে পারে। কিন্তু স্পিন সংখ্যা হয় বিপরীত। একটার স্পিন যদি ঘড়ির কাঁটার দিকে হয়, অন্যটি হবে বিপরীত দিকে। ইলেকট্রনসহ সকল ফার্মিওন কণারই স্পিন বৈশিষ্ট্য রয়েছে।</p> <p>কোয়ান্টাম স্পিনই মূলত চুম্বক বলের উৎস। চার্জ যেমন একটি মৌলিক ধর্ম, তেমনি স্পিনও একটি সহজাত মৌলিক ধর্ম।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টাম ডাবল স্লিট" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/05/1728119954-8e4f9b24da4e5d48618a656f09d64474.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টাম ডাবল স্লিট</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/05/1432048" target="_blank"> </a></div> </div> <p>স্পিন বলতে আমরা লাটিমের মতো বন্ বন্ করে ঘোরা কাঠামো বুঝি। কিন্তু কোয়ান্টাম তত্ত্বে স্পিনের চিত্র আলাদা। ইলেকট্রন আসলে নিজ অক্ষকে কেন্দ্র করে ‘ঘোরে’ না। কোয়ান্টাম স্পিনের সাথে ক্লাসিক্যাল কৌণিক ভরবেগের কিছুটা মিল আছে। ভরবেগ থাকায় এর গতিবিধিকে 'স্পিন' বলা হয়। বাস্তবে স্পিনকে দৈনন্দিন জীবনের কিছুর সঙ্গে মেলানো যায় না। এমনকি উপমাও দেওয়া যায় না। কোয়ান্টাম স্পিন হলো এমন একটি ধর্ম, যার মাধ্যমে কোনো কণা ঘূর্ণন ছাড়াই চৌম্বকক্ষেত্র তৈরি করতে পারে। শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও, কোয়ান্টাম তত্ত্বে স্পিনের ধারণা ঠিক এমনই। যা এখনও রহস্য।</p> <p><strong>সম্পর্কিত তত্ত্ব</strong><br /> পাউলির অপবর্জন নীতি<br /> ডিরাকের সমীকরণ<br /> কোয়ান্টাম ক্ষেত্র তত্ত্ব</p> <p><strong>বিজ্ঞানী</strong><br /> <strong>উলফগ্যাং পাউলি</strong><br /> ১৯০০-১৯৫৮<br /> অস্ট্রিয়ান পদার্থবিদ, পরমাণুর চতুর্থ কোয়ান্টাম সংখ্যা তথা স্পিনের আবিষ্কারক।</p> <p><strong>জর্জ উহলেনব্লেক এবং স্যামুয়েল গডস্মিট</strong><br /> ১৯০০-১৯৮৮ এবং ১৯০২-১৯৭৮<br /> ডাচ দুই পদার্থবিদ, যাঁরা ইলেকট্রনের স্পিনের ওপর প্রথম গবেষণাপত্র লেখেন।</p> <p><strong>বর্ণনা</strong><br /> লিওন ক্লিফর্ড<br />  </p>