<p><a href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/26/1439317">আগের পর্ব</a></p> <p>আইনস্টাইনের এই তত্ত্ব মহাবিশ্বের দুটি বস্তুর আকর্ষণের জন্য দায়ী মহাকর্ষ বলের ধারণাকে পাল্টে দিয়েছিল। সেই তত্ত্ব অনুযায়ী, ভারী বস্তু তার চারপাশের স্থানকালে তৈরি করবে বক্রতা।</p> <p>বস্তু যত ভারী তার স্থাকালের বক্রতা তত বেশি। আর এই বক্রতার জন্যই কোন বস্তু তার আশেপাশের অন্য বস্তুকে নিজের দিকে টেনে নিয়ে আসে, যা আমরা মহাকর্ষ বল নামে চিনি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ব্ল্যাকহোলের আলো : পর্ব ১" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/26/1729925537-3e64956dac93f7ad2e775fe5bef9b73c.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ব্ল্যাকহোলের আলো : পর্ব ১</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/26/1439317" target="_blank"> </a></div> </div> <p>ব্যাপারটি এমন যে বস্তুটি স্থানকালকে বলে দেবে কতটুকু বাঁকতে হবে, আবার স্থানকালের বক্রতা বস্তুটিকে বলে দেবে কীভাবে স্থানান্তরিত হতে হবে। তাঁর এই অসাধারণ তত্ত্বের ব্যাখ্যা থেকেই শুরু হয় ব্ল্যাকহোল নিয়ে পুনরায় মাতামাতি।</p> <p>তত্ত্ব মতে, প্রত্যেক মহাজাগতিক বস্তুকে ব্ল্যাকহোলে পরিণত করা সম্ভব। ব্ল্যাকহোলের তিনটি স্তর রয়েছে বিবেচনা করা হয়। বহিঃস্তর ও ঘটনাদিগন্ত এবং সিঙ্গুলারিটি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টাম ক্ষেত্র তত্ত্ব" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/26/1729924340-10102baa6b3e4c7ac114d2591183499e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টাম ক্ষেত্র তত্ত্ব</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/26/1439312" target="_blank"> </a></div> </div> <p>একটি ব্ল্যাকহোলের ঘটনাদিগন্ত বা ইভেন্ট হরাইজন ব্ল্যাক হোলের চারপাশের স্তর বা সীমানা, যা থেকে আলো পর্যন্ত বের হতে পারে না। যেহেতু অবিচ্ছিন্ন মধ্যাকর্ষণ বল ঘটনাদিগন্ত জুড়ে বিস্তৃত। তাই কোনো কণা ঘটনাদিগন্ত থেকে বের হয়ে যেতে পারে না।</p> <p>শক্তিশালী মহাকর্ষ বল সবকিছুকে টেনে নেয় অভ্যন্তরে। আর ব্ল্যাকহোলের কেন্দ্রে অবস্থান সিঙ্গুলারিটির। সেখানে ব্ল্যাকহোলটির সমস্ত ভর কেন্দ্রীভূত থাকে। এই বিন্দুতে স্থানকালের বক্রতা অসীমে পরিণত হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টামের সরলীকরণ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/24/1729769410-9cb65876de48647535d809013fb12ce3.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টামের সরলীকরণ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/24/1438704" target="_blank"> </a></div> </div> <p>মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই সিঙ্গুলারিটি এলাকার আয়তন শূন্য কিন্তু ঘনত্ব প্রায় অসীম। এর কারণ হচ্ছে প্রায় পুরো ব্ল্যাকহোলের ভর তার সিঙ্গুলারিটিতেই জমা হয়ে থাকে।</p> <p>সিঙ্গুলারিটি সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের ধারণা সবচেয়ে কম। তবে ধারণা করা হয়, এই বিন্দুতে পদার্থবিজ্ঞানের সকল নিয়ম ভেঙে পড়ে। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মহাকাশে ভেঙে পড়েছে বোয়িংয়ের স্যাটেলাইট" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/24/1729765101-f0332da067fa9949b49d12258935a8a5.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মহাকাশে ভেঙে পড়েছে বোয়িংয়ের স্যাটেলাইট</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/24/1438682" target="_blank"> </a></div> </div> <p>ব্ল্যাকহোল এর আশেপাশের নক্ষত্র ও ধূলিকণার উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। ব্ল্যাকহোলের পার্শ্ববর্তী নক্ষত্র ও ধূলিকণার ভিজিবিলিটির পার্থক্য ব্ল্যাকহোলের উপস্থিতি জানান দেয়।</p> <p>আবার ব্ল্যাকহোল সবসময় এক ধরনের বিকিরণ নিঃসরণ করে। একে বলে হকিং বিকিরণ ব্ল্যাকহোল দেখা না গেলেও এসকল বিকিরণসনাক্ত করা সম্ভব। এসব বিকিরণ বিশ্লেষণ করেও ব্ল্যাকহোলের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শূন্য থেকে মহাবিশ্ব কি সম্ভব? কী বলেছিলেন স্টিফেন হকিং?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/24/1729760001-f872b4a0e2e2f55b8483f40e2e0ed8c0.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শূন্য থেকে মহাবিশ্ব কি সম্ভব? কী বলেছিলেন স্টিফেন হকিং?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/24/1438664" target="_blank"> </a></div> </div> <p>একটি ব্ল্যাকহোলের মহাকর্ষ ক্ষেত্র এবং একই ধরনের অন্য কোনো গোলাকার বস্তুর মধ্যকার মহাকর্ষ ক্ষেত্রের কোনও পর্যবেক্ষণযোগ্য পার্থক্য নেই। ব্ল্যাকহোলের ‘সর্বগ্রাসী’ মতবাদটি শুধু এর ঘটনা দিগন্তের নিকটেই কার্যকর। </p> <p>একটি ব্ল্যাকহোল গ্যালাক্সির যে কোনো স্থানে থাকতে পারে। স্টেলার ব্ল্যাকহলগুলির অবস্থান স্পষ্ট নয়, গ্যালাক্সিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে এরা।</p> <p>তবে প্রতিটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে একটি সুপাম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল থাকে। সম্পূর্ণ গ্যালাক্সিটি ঘুরতে থাকে এই সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের চারদিকে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টাম তড়িৎ-গতিবিজ্ঞান" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/22/1729596164-7db985a3570191c410c8eaad9d9ed224.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টাম তড়িৎ-গতিবিজ্ঞান</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/22/1437925" target="_blank"> </a></div> </div> <p>কোনো কোনো ক্ষেত্রে ছোট গ্যালাক্সির কেন্দ্রে ইন্টারমিডিয়েট ব্ল্যাক হোল থাকতে পারে। তবে বৃহৎ গ্যালাক্সিগুলোর কেন্দ্রে সবসময় একটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল থাকে বলে নিশ্চিত করেছেন বিজ্ঞানীরা।</p> <p>মিল্কিওয়ে মানে আমাদের গ্যালিক্সিতেও ব্ল্যাকহোল রয়েছে, তাও আবার কয়েক শত মিলিয়ন। হার্ভার্ড-স্মিথশনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকস-এর একটি গবেষণা থেকে জানা যায় আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে কয়েক শ মিলিয়ন স্টেলার ব্লাকহোল রয়েছে। আবার নাসার তথ্যমতে আমাদের গ্যালাক্সিতে স্টেলার ব্ল্যাকহোল রয়েছে প্রায় এক কোটি। <br />  </p> <p>সূত্র: নিউ সায়েন্টিস্ট</p>