<p>অতি ক্ষুদ্র জগত চলে কোয়ান্টামের নিয়মে। অন্যদিকে সাদা চোখে আমরা যা দেখি যেমন— ফুটবল, চায়ের কাপ, বাস-রিকসা— এ সবই রয়েছে ক্লাসিক্যালের দখলে। প্রশ্ন হলো, সিস্টেমের কোন পর্যায়ে কোয়ান্টাম গুণাবলি ভেঙে পড়ে এবং ক্লাসিকাল নিয়ম সক্রিয় হয়?</p> <p>ধরা যাক, এক ইলেকট্রনের সাথে আরেক ইলেকট্রন জুড়ে একটা পরমাণু তৈরি হলো। কয়েকটি পরমাণু মিলে তৈরি হলো একটা অণু। অনেকগুলো অণু মিলে একটা ফুটবল। শুরুতে ইলেকট্রনটি যখন মুক্ত ছিল, এর মধ্যে বিশুদ্ধ কোয়ান্টাম বৈশিষ্ট্য ছিল। যার সিকিটুকুও দেখা যাবে না ফুটবলের মধ্যে। কোয়ান্টাম কণা যতই বাহ্যিক পরিবেশের সংস্পর্শে আসে, ততই এর কোয়ান্টাম চরিত্র হারাতে থাকে। এই ঘটনাকে বলে বিচ্ছিন্নতা বা ডিকোহেরেন্স।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করবে গুগল" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/27/1730029343-712bbe6ffcb275215ab6a5eda13522f6.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করবে গুগল</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/27/1439734" target="_blank"> </a></div> </div> <p>ডিকোহেরেন্সের কারণে পরীক্ষাগারে কোয়ান্টাম কণাদের আচরণ খুব নাজুক হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ কোয়ান্টাম গুণাবলি প্রয়োজন হলে, ডিকোহেরেন্স এড়াতে হবে। অর্থাৎ কণাকে পরিবেশ থেকে আলাদা রাখতে হবে। ডিকোহেরেন্স ঘটলে সেই কণার কোয়ান্টাম বৈশিষ্ট্য ফেরানো কঠিন। যত বেশি কণা একে অন্যের সাথে মিথস্ক্রিয়া করবে, ডিকোহেরেন্স তত দ্রুত ঘটবে। সিস্টেমটি ততো দ্রুতই ক্লাসিক্যাল আচরণ শুরু করবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী এরউইন শ্রোডিঙ্গার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/27/1730012562-fcb0aa2829366ec2682d633bce68b461.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী এরউইন শ্রোডিঙ্গার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/27/1439673" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বাহ্যিক পরিবেশের সংস্পর্শে এলে কোয়ান্টাম কণা নিজের কোয়ান্টাম গুণাবলি হারাতে থাকে। একে ডিকোহেরেন্স বলা হয়।</p> <p>বাহ্যিক পরিবেশের প্রভাবে কোয়ান্টাম কণা এক পর্যায়ে ক্লাসিক্যাল আচরণ শুরু করে। যা ডিকোহেরেন্স নামে পরিচিত। প্রশ্ন হলো, কোয়ান্টাম স্কেল সর্বোচ্চ কত বড় হতে পারে?</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টাম ক্ষেত্র তত্ত্ব" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/26/1729924340-10102baa6b3e4c7ac114d2591183499e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টাম ক্ষেত্র তত্ত্ব</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/26/1439312" target="_blank"> </a></div> </div> <p>৬০ কার্বন পরমাণুযুক্ত বৃহৎ C60 অণুতেও কোয়ান্টাম চরিত্র দেখা যায়। কিন্তু যখনই অণুটিকে গ্যাসের মধ্যে চালনা করা হয়, এর কোয়ান্টাম চরিত্র হারিয়ে যায়। হয়ত অদূর ভবিষ্যতে ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপে, এত বড় অণুর মধ্যেও কোয়ান্টাম গুণাবলি শনাক্ত করা যাবে। অপেক্ষা শুধু উন্নত প্রযুক্তির।</p> <p><br /> <strong>সম্পর্কিত তত্ত্ব</strong><br /> শ্রোডিঙ্গারের সমীকরণ<br /> শ্রোডিঙ্গারের বিড়াল<br /> বিচ্ছিন্নতা বা ডিকোহেরেন্স<br /> চেতনার পতন</p> <p>বিজ্ঞানী<br /> হেইনজ ডিটার জি<br /> ১৯৩২-২০১৮<br /> জার্মান পদার্থবিদ, প্রথম ডিকোহেরেন্সের উৎস শনাক্ত করেন।</p> <p>উজেখ এইচ যুরেক<br /> ১৯৫১—<br /> পোলিশ-আমেরিকান পদার্থবিদ, ব্যাখ্যা করেছিলেন— ডিকোহেরেন্সে কীভাবে কোয়ান্টাম থেকে ক্লাসিক্যাল চরিত্র ফিরে আসে।</p> <p>৩০ সেকেন্ড বর্ণনা<br /> ফিলিপ বল<br />  </p>