<p>চিন্তায় চিন্তায় একটা পরীক্ষা করা যাক। রাতের বেলা ঘরের ভেতর আলো জ্বেলে জানালার কাচে তাকান। নিজের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাবেন। কেন এমন হয়? ঘরের ভেতর আলোর উৎস রয়েছে। তা থেকে আলো বেরিয়ে জানালায় প্রতিফলিত হয়ে আপনার চোখে এসে পড়ছে।</p> <p>এবার ঘরের বাইরে থেকে জানালার দিকে তাকান। কিছু আলো জানালার বাইরেও চলে এসেছে। একে বলে প্রতিসরণ। আলো ফোটন কণার ঝাঁক। জানালার কাচ মসৃণ। কিছু কণা ভেতরে রয়ে গেল, কিছু কণা বাইরে চলে গেল। এর কারণ কী? কোন ফোটন কাচ ছুঁয়ে ফিরে আসবে আর কোনটা কাচ ফুঁড়ে বেরিয়ে যাবে— এই সিদ্ধান্তই বা কীভাবে হলো!<br /> সমস্যাটা কিন্তু পুরনো।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পারমাণবিক বোমার আঁতুড়ঘর" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/29/1730189413-99aeefc709447f5d8c34de594457e4e2.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পারমাণবিক বোমার আঁতুড়ঘর</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/29/1440407" target="_blank"> </a></div> </div> <p>অনেক বিজ্ঞানীই ভেবেছেন এ নিয়ে। নিউটনও ছিলেন তাঁদের একজন। তাঁর ধারণা ছিল, আলো কণা ছাড়া কিছু নয়। কিন্তু কণা কীভাবে কাচের মধ্য দিয়ে ঢুকে যাচ্ছে? তবে কি কাচের মধ্যে অসংখ্য ছিদ্র রয়েছে? বিজ্ঞানীরা বললেন— না, কাচ সম্পূর্ণ নিরেট।</p> <p>অবশেষে উত্তর দেয় কোয়ান্টাম বলবিদ্যা। ফোটন কাচে এসে পড়ার আগে সম্ভাব্য দুটো পথ রয়েছে। প্রতিফলন ও প্রতিসরণ। প্রশ্ন হলো— কোন ফোটন কোন পথে যাবে? উত্তর— দুটোই। একটি ফোটন একইসঙ্গে সম্ভাব্য দুই পথেই যাবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="এলিয়েনের খোঁজে সেটির নতুন কৌশল?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/28/1730102814-74d31bb61e1098f4f05b03a74738af0e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>এলিয়েনের খোঁজে সেটির নতুন কৌশল?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/28/1440042" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি, ফোটনটি কোয়ান্টাম অবস্থায় আছে। এই অবস্থাকে বলে সুপারপজিশন। আপনি যখন জানালার যেকোনো এক দিক থেকে পর্যবেক্ষণ করবেন, সেই মুহূর্তে এই সুপারপজিশন অবস্থা ভেঙে পড়বে। ফোটনটিকে সেই দিকেই দেখা যাবে তখন। অবিশ্বাস্য হলেও বাস্তবেই ঘটে এই ঘটনা। কাচের মধ্যে দিয়ে আলোক রশ্মি ভাগ হয়ে যায়। তাই কাচকে বলা হয় আলোর বিভাজক বা বিম স্প্লিটার।</p> <p>কাচের জানালা আলোর বিভাজক হিসেবে কাজ করে। প্রিজম নিয়ে কাজ করতে গিয়ে এই ঘটনা নিউটনকে ভাবিয়ে তুলেছিল। কারণ তিনি কণার কোয়ান্টাম চরিত্র সম্পর্কে অবগত ছিলেন না।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টাম ডিকোরেহেন্স" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/28/1730095537-3fb2db6cccf4a23383383394b28b2b31.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টাম ডিকোরেহেন্স</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/28/1440015" target="_blank"> </a></div> </div> <p>কোয়ান্টাম কণা একই সময়ে সম্ভাব্য সকল অবস্থায় থাকতে পারে। শ্রোডিঙ্গারের বিড়ালের গল্পে আমরা একই ঘটনা দেখতে পাই। এই অবস্থাকে সুপারপজিশন অবস্থা বলে। যা পর্যবেক্ষণের আগ পর্যন্ত বজায় থাকে। বিষয়টা অনেকটা পাশা খেলার মতো। ডাইস স্থির না হওয়া পর্যন্ত ফলাফল অনিশ্চিত। প্রকৃতিতে সুপারপজিশনের অসংখ্য নজির দেখা যায়। এমনকি উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণেও।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ব্ল্যাকহোলের আলো : শেষ পর্ব" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/28/1730095017-3e64956dac93f7ad2e775fe5bef9b73c.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ব্ল্যাকহোলের আলো : শেষ পর্ব</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/28/1440013" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>সম্পর্কিত তত্ত্ব</strong><br /> কোয়ান্টাম ডবল স্লিট<br /> কোয়ান্টাম টানেলিং<br /> ইপিআর প্যারাডক্স</p> <p><strong>বিজ্ঞানী</strong><br /> <strong>আইজ্যাক নিউটন</strong><br /> ১৬৪২-১৭২৭<br /> বিখ্যাত ইংরেজ পদার্থবিদ, মহাকর্ষ ও গতিসূত্রের মুখপাত্র, অবদান রেখেছেন আলোকবিজ্ঞানেও।</p> <p><strong>মাইকেল হর্ন</strong><br /> ১৯৪৩-২০১৯<br /> বিশিষ্ট মার্কিন পদার্থবিদ, এন্ট্যাঙ্গলমেন্ট ও আলোক বিভাজনের পরীক্ষাগুলোতে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন।</p> <p><strong>বর্ণনা</strong><br /> ব্রায়ান ক্লেগ</p>