<p>হিমালয়ে নতুন প্রজাতির এক সাপের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মজার ব্যাপার হলো- সাপটির নামকরণ করা হয়েছে টাইটানিকখ্যাত হলিউড অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর নামে। এই সাপ সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ হয় গত ২১ অক্টোবর নেচার জার্নালে। সেখান থেকেই জানা যায় এই নামকরণের খবর।</p> <p>কিন্তু কেন ডিক্যাপ্রিওর নামে রাখা হলো এই সাপের নাম?</p> <p>যদি ভাবেন, ডিক্যাপ্রিও এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, সেটা ভুল ধারণা হবে। আবার এটাও ভাবার কোনো কারণ নেই, গবেষকদলের কেউ হয়তো ডি ক্যাপ্রিওর ভক্ত। তাহলে কেন?</p> <p>কারণ, ডিক্যাপ্রিও শুধু অভিনেতাই নন। প্রকৃতি ও পরিবেশ আন্দোলনে তিনি সক্রিয় কর্মী। প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে তাঁর কণ্ঠ সব সময় সোচ্চার, ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।</p> <p>সাপটির বৈজ্ঞানিক নাম রাখা হয়েছে ‘অ্যাঙ্গুইকুলাস ডিক্যাপ্রিও’। ইংরেজি নামেও রয়েছে অভিনেতার নামের আদল–ডিক্যাপ্রিও হিমালয়ান স্নেক। </p> <p>গবেষকরা প্রথম এই সাপটিকে আবিষ্কার করেন ২০২০ সালে, ভারতের হিমাচল প্রদেশে।  নতুন এই সাপটির দৈর্ঘ্য মাত্র ২২ ইঞ্চি। এর মাথা ছোট, কিন্তু নাসারন্ধ্র বড়। সাপটির শরীরে ধূসর রঙের প্যাটার্ন রয়েছে। গলার কাছে সেটা কলারের মতো দেখায়। সাপটি অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের। গবেষকরা যখন সাপটাকে ধরাতে যান, তখন কামড়ানোর চেষ্টাও করেনি। এই সাপ ছয় হাজার ১০০ ফুট উচ্চতায় টিকে থাকতে সক্ষম বলে মনে করেন গবেষকরা। সাপটির মুখে কয়েক ডজন দাঁত রয়েছে।</p> <p>ডিক্যাপ্রিও ছোটবেলা থেকেই পরিবেশের প্রতি আগ্রহী ছিলেন এবং ১৯৯৮ সালে তিনি পরিবেশ রক্ষার জন্য একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। সেটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষায় কাজ করছে।</p> <p>এই নতুন সাপের নামকরণ প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় ডিক্যাপ্রিওর অবদানের স্বীকৃতি হিসেবেই দেখা হচ্ছে।</p> <p>সূত্র : নেচার</p>