<p>একটি বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য ক্যামেরায় ধরে রেখেছেন পর্তুগিজ অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার মিগুয়েল ক্লারো। তিনি গত ১৩ অক্টোবর পর্তুগালের ডার্ক স্কাই আলকেভা রিজার্ভ থেকে একটি ‍উল্টোলেজি ধূমকেতর ছবি তোলেন। ধূমকেতুটির নাম সুচিশান-অ্যাটলাস। আর দশটা ধূমকেতুর চেয়ে এটা আলাদা। কারণ এর এন্টিটেইল বা উল্টো লেজ আছে। </p> <p>সাধারণ ধূমকেতুর লেজ সব সময় সূর্যের বিপরীত দিকে থাকে। কারণ সৌর বাতাস ধূমকেতুর ধূলিকণাকে পেছনের দিকে ঠেলে দেয়। তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে বিপরীত দিকেও ধূমকেতুর সামনের দিকেও একটা লেজ দেখা যায়। সূর্যের দিকে প্রসারিত সেই লেজটাকে বলে অ্যান্টি টেইল।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মহাকাশে পাড়ি দিলেন চীনের তিন তরুণ নভোচারী" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/30/1730283596-1e01cf7d26af59a2a5ef45701492ba0c.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মহাকাশে পাড়ি দিলেন চীনের তিন তরুণ নভোচারী</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/30/1440833" target="_blank"> </a></div> </div> <p>যখন পৃথিবী আর ধূমকেতু কক্ষপথ একই সমতলে থাকে, তখন এ ধরনের উল্টো লেজ দেখা যায়। এই লেজ দেখে মনে হয়, এটি সূর্যের দিকে প্রসারিত হচ্ছে। পৃথিবী ও ধূমকেতুর নির্দিষ্ট অবস্থানের জন্যই এমনটা হয়। এটা আসলে এক ধরনের বিভ্রম। ধূমকেতুর সঙ্গে পৃথিবীর অবস্থান বদল হলেই উল্টো দিকের লেজটা মিলিয়ে যায়।</p> <p>মিগুয়েল ক্লারো একজন পেশাদার ফটোগ্রাফার, লেখক ও বিজ্ঞান প্রচারক। তিনি পর্তুগালের লিসবনে বসবাস করেন। রাতের আকাশের সৌন্দর্যকে দক্ষতার সঙ্গে ক্যামেরা বন্দি ও  চমৎকারভাবে উপস্থাপন করার জন্য পরিচিত। তিনি ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবজারভেটরির ফটো অ্যাম্বাসাডর, দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যাট নাইটেরও সদস্য। এ ছাড়া মিগুয়েল ডার্ক স্কাই আলকেভা রিজার্ভের অফিশিয়াল অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার।</p> <p>তার তোলা এই ছবিতে একই সঙ্গে টুসিশান-অ্যাটলাস ধূমকেতুর দুটি লেজই ধরা পড়েছে। প্রথম লেজ হলো ডাস্ট টেইল, এটা ধূলিকণা দিয়ে তৈরি। উল্টো দিকের আয়ন লেজ আয়ন টেইল নামে পরিচিত।  আয়ন লেজটি ধূমকেতুর চার্জযুক্ত কণাগুলি দিয়ে তৈরি। এটা সূর্যের বিকিরণ ও সৌর বাতাসের প্রভাবে তৈরি হয় এবং এই লেজটি সবসময় সূর্যের বিপরীত দিকে প্রসারিত থাকে। এটাই আসলে ধূমকেতুর আসল লেজ।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মহাকাশে ভেঙে পড়েছে বোয়িংয়ের স্যাটেলাইট" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/24/1729765101-f0332da067fa9949b49d12258935a8a5.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মহাকাশে ভেঙে পড়েছে বোয়িংয়ের স্যাটেলাইট</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/24/1438682" target="_blank"> </a></div> </div> <p>অন্যদিকে টুসিসান-অ্যাটলাস ডাস্ট টেইলটাও মিগুয়েলের ছবিতে স্পষ্ট হয়ে ধরা দিয়েছে। এ বিষয়ে মিগুয়েল ক্লারো জানান, ধূমকেতুর আসল রং ও লেজের সব সূক্ষ্ম বিবরণ সংরক্ষণ করতে তিনি ‘ডিপ স্কাই প্রসেসিং’ নামে একটি পদ্ধতি ব্যবহার করেন। এর ফলে ধূমকেতুর ধূলিকণা, লেজের রং এবং সূক্ষ্মতা আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। পর্তুগালের আলকেভা রিজার্ভের সেই রাতে চাঁদের আলো বেশ উজ্জ্বল ছিল। সেই আলোই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক দৃশ্যকে অসাধারণভাবে আলোকিত করেছিল।</p> <p>সূত্র : স্পেস ডট কম<br />  </p>