<p>বিজ্ঞানীরা দুটি নিউট্রন তারার মহাসংঘর্ষ পর্যবেক্ষণ করেছেন। এজন্য তাঁরা হাবল স্পেস টেলিস্কোপসহ আরও কিছু টেলিস্কোপ ব্যবহার করেছেন। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন সংঘর্ষের ফলে একটা ছোট ব্ল্যাকহোলের জন্ম হয়েছে। সঙ্গে স্বর্ণ, রূপা, ইউরেনিয়ামের মতো মূল্যবান ধাতুর সৃষ্টি হয়েছে। নবগঠিত এই ব্ল্যাকহোলটি পর্যবেক্ষণ করা এ যাবৎকালের সবচেয়ে ছোট ব্ল্যাকহোল।</p> <p>১৩ কোটি আলোকবর্ষ দূরে এনজিসি ৪৯৯৩ গ্যালাক্সিতে এই বিশাল সংঘর্ষ ঘটেছে। এই ঘটনার ছবি তোলার জন্য হাবল স্পেস টেলিস্কোপসহ বিভিন্ন যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এই ছবিটি নিউট্রন তারার মহাবিস্ফোরণের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আমাদের যে ধারণা, তা আরও প্রসারিত করবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টাম মাল্টিভার্স" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/09/1731138933-268505c9e8a5d0bb097a659331f97224.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টাম মাল্টিভার্স</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/09/1444557" target="_blank"> </a></div> </div> <p>আমরা জানি, বেশিরভাগ হালকা মৌলগুলো নক্ষেত্রের ভেতরে নিউক্লীয় বিক্রিয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। কিন্তু ভারী মৌলগুলো সেখানে তৈরি হতে পারে না। এমনকী সবচেয়ে বড় নক্ষত্রের ভেতরেও এসব ভারী মৌলের জন্ম সম্ভব নয়। কিন্তু নিউট্রন তারা সংঘর্ষে বিজ্ঞানীরা স্বর্ণ, রূপা, ইউরেনিয়ামের মতো ভারী মৌল তৈরি হতে দেখেছেন। তাই এগুলোর জন্মপ্রক্রিয়া সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা একটা বিস্তারিত ধারণা লাভ করেছেন এই ঘটনা থেকে।</p> <p>নিউট্রন তারার সংঘর্ষের ফলে একটি শক্তিশালী আলোক বিস্ফোরণ দেখা যায়। একে ‘কিলোনোভা’ বলা হয়। এই বিস্ফোরণ থেকে বেরিয়ে আসা ধ্বংসাবশেষ আলোর গতিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং কয়েক কোটি সূর্যের সমান উজ্জ্বল আলো ছড়িয়ে দেয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কার্ল সাগানের মহাজাগতিক পথচলা শুরু হয়েছিল সেদিন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/09/1731135570-9ba266ffc74fb2c0ec87a44d5b3919be.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কার্ল সাগানের মহাজাগতিক পথচলা শুরু হয়েছিল সেদিন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/09/1444545" target="_blank"> </a></div> </div> <p>ডেনমার্কেন নীলস বোর ইনস্টিটিউটের কসমিক ডন সেন্টারের বিজ্ঞানীরা কিলোনোভা সম্পর্কে গবেষণা করার সময় নিউট্রন তারার মহাবিস্ফোরণের এই নতুন ছবি তুলতে সক্ষম হন।</p> <p>গবেষক দলের অন্যতম সদস্য রাসমুস ড্যামগার্ড বলেন, ‘আমরা এখন পরমাণুর নিউক্লিয়াস ও ইলেকট্রনের একত্রিত হওয়ার মুহূর্ত দেখতে পাচ্ছি। প্রথমবারের মতো আমরা পরমাণুর সৃষ্টি দেখতে পাচ্ছি, পদার্থের তাপমাত্রা পরিমাপ করতে পারছি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="হারিয়ে যাবে শনির বলয়!" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/07/1730966103-a55d3bf0e93d14da24725a86f587d7b9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>হারিয়ে যাবে শনির বলয়!</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/07/1443840" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এটা যেন আমাদের চারপাশে থাকা তিনটি মহাজাগতিক পটভূমি বিকিরণ দেখার মতো। আমরা পরমাণুর জন্মের আগে, পরে এবং ঠিক সেই মুহূর্তে কী হচ্ছে সেটাও দেখতে পাচ্ছি।’</p> <p>সূর্যের চেয়ে কমপক্ষে ৮ গুণ বড় তারা যখন নিজের নিউক্লিয়ার ফিউশনের জ্বালানি শেষ করে, ফেলে তখন নিউট্রন তারার জন্ম হয়। এই তারার বাইরের স্তর সুপারনোভা বিস্ফোরণে ছিটকে যায় এবং কেন্দ্রীয় অংশটি একটি নিউট্রন তারায় রূপান্তরিত হয়। এই নিউট্রন তারার ব্যাস প্রায় ২০ কিলোমিটার।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আকাশে যদি আরেকটি চাঁদ থাকত, তাহলে কী হতো?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/06/1730878951-3e5bbb52797758aeeac91580d36ba116.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আকাশে যদি আরেকটি চাঁদ থাকত, তাহলে কী হতো?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/06/1443415" target="_blank"> </a></div> </div> <p>কেন্দ্রীয় অংশের সংকোচনের ফলে ইলেকট্রন ও প্রোটন একত্রিত হয়ে নিউট্রন কণার সমুদ্র তৈরি করে। তাই এ ধরনের তারাদের নিউট্রন স্টার বা নিউট্রন তারা বলে। এই নিউট্রন তারা পদার্থগুলি এত ঘন যে এক চামচ সমান বস্তুর ওজন ১ বিলিয়ন টন।</p> <p>কিছু নিউট্রন তারা বাইনারি সিস্টেমে একটি সঙ্গী তারা সহ বসবাস করে। এই পরিস্থিতিতে নিউট্রন তারারা পরস্পরের চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সৃষ্টি করে। ফলে ক্রমেই তাদের মধ্যকার দূরত্ব কমতে থাকে। এক সময় তারা পরস্পরের খুব কাছাকাছি এসে পড়ে এবং তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ধাতব গ্রহ আবিষ্কার করলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/05/1730791326-e9423fa727007d0363efbcd70a993a85.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ধাতব গ্রহ আবিষ্কার করলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/05/1442987" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এই সংঘর্ষের তাপমাত্রা সূর্যের চেয়ে হাজারগুণ বেশি। এই সংঘর্ষে সৃষ্ট প্লাজমা দ্রুত ঠান্ডা হতে থাকে এবং সেই মেঘে থাকা পারমাণবিক কণাগুলি নিউট্রন এবং ইলেকট্রন ধারণ করে। এটি এমন ভারী কণার সৃষ্টি করে যা পরে স্বর্ণ, রূপার মতো ধাতুতে রূপান্তরিত হয়। গবেষণা দলের মতে, এই সংঘর্ষে স্ট্রনসিয়াম ও ইট্রিয়ামের মতো ভারী ধাতুও সৃষ্টি হয়েছে।<br /> <strong>সূত্র: লাইভ সায়েন্স</strong><br />  </p>