<p>বিজ্ঞানীরা ১৮৮ বছর ধরে কিং কোবরা বা রাজগোখরা রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করেছেন। অবশেষে তারা এই রহস্যের সমাধান করেছেন। বিজ্ঞানীরা এখন জানেন যে, বিশ্বের অন্যতম বিষাক্ত এই সাপের আসলে একটি নয়, চারটি আলাদা প্রজাতি রয়েছে।</p> <p>১৮৮ বছর ধরে রাজগোখরাকে একটিই প্রজাতি Ophiophagus hannah হিসেবে ধরা হতো। কিন্তু বিভিন্ন অঞ্চলে এই সাপের শরীরের রং এবং অন্যান্য শারীরিক বৈশিষ্ট্যের ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। এ কারণে বিজ্ঞানীরা প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, এটি কি সত্যিই একটিই প্রজাতি?</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সব সাপের ফণা থাকে না কেন?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/09/1731156683-4e334e5d9cb3f7c5f4d84e888e36c6f3.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সব সাপের ফণা থাকে না কেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/09/1444639" target="_blank"> </a></div> </div> <p>২০২১ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা রাজসাপের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে জেনেটিক পার্থক্য নিশ্চিত করেছিলেন। এই গবেষণার ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা এখন জাদুঘরের নমুনাগুলোর শারীরিক পার্থক্য তুলনা করে চারটি আলাদা প্রজাতি চিহ্নিত করেছেন: নর্দার্ন রাজ রাজগোখরা (O. hannah), সুন্দা রাজগোখরা (Ophiophagus bungarus), ওয়েস্টার্ন উপকূলীয় রাজগোখরা (Ophiophagus kaalinga) এবং লুজন রাজগোখরা (Ophiophagus salvatana)। এই গবেষণাপত্রটি ‘ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ ট্যাক্সোনমিতে’ গত ১৬ অক্টোবর প্রকাশিত হয়েছে।</p> <p>‘মনে হয় আমরা ইতিহাস রচনা করেছি,’ বলেছেন এই আবিষ্কারের নেপথ্য নায়ক ভারতের কলিঙ্গ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং কলিঙ্গ সেন্টার ফর রেইনফরেস্ট ইকোলজির পরিচালক গৌরী শঙ্কর পোগিরি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মানুষ কেন ভূত দেখে, বিজ্ঞান কী বলে?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/09/1731138036-7930b2f0044cec9dd6a2a83c4cc7d0a3.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মানুষ কেন ভূত দেখে, বিজ্ঞান কী বলে?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/09/1444553" target="_blank"> </a></div> </div> <p>রাজগোখরা আর্দ্র পরিবেশে, যেমন খোলা বন এবং ঘন ম্যানগ্রোভ যেমন—সুন্দরবনে, উত্তর ভারত থেকে দক্ষিণ চীন এবং সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে বাস করে। এই অঞ্চলগুলোতে, তাদের দেহের রঙ, প্যাটার্ন এবং আকারে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।</p> <p>এই গবেষণার ভিত্তিতে, নতুন গবেষণায় ১৫৩টি জাদুঘরের নমুনার শারীরিক পার্থক্য পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনাগুলির শরীরের শারীরিক গঠন, তাদের রঙের প্যাটার্ন, শরীরের প্রস্থ এবং দাঁতের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে ২০২১ সালের গবেষণায় পাওয়া জেনেটিক বংশধারার সাথে মিল রেখে চারটি প্রজাতি চিহ্নিত করেছেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দেয়া ডাকলে কি সাপের ডিম নষ্ট হয়?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/07/1730961068-70435a74b91c16df6ae8e61fea565f7f.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দেয়া ডাকলে কি সাপের ডিম নষ্ট হয়?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/07/1443818" target="_blank"> </a></div> </div> <p>নর্দান রাজগোখরা পদচারণা সুবর্ণিমালা, পূর্ব ভারত, মায়ানমার এবং ইন্দোচিন জুড়ে বিস্তৃত এবং দক্ষিণ দিকে ক্রা ইস্থমাসে উপদ্বীপ ও থাইল্যান্ডের সবচেয়ে সংকীর্ণ অংশ পর্যন্ত এরা বিচরণ করে। প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে গাঢ় কিনারাযুক্ত হলুদ ব্যান্ড এবং ১৮ থেকে ২১টি দাঁত থাকে।</p> <p>অন্যদিকে সুন্দা রাজগোখরা মালয় উপদ্বীপ এবং গ্রেটার সুন্দাস দ্বীপপুঞ্জ—যেমন, সুমাত্রা, বোর্নিও এবং জাভাসহ ফিলিপাইনের মিন্দোরোতে বাস করে। এই প্রজাতির শরীরে গাঢ় প্রান্তের সাথে সংকীর্ণ, ফ্যাকাশে ব্যান্ড থাকে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সিংহ নয়, মানুষকেই বেশি ভয় পায় আফ্রিকান প্রাণীরা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/07/1730974839-0042e3a58f78577aa52aec10f024f07f.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সিংহ নয়, মানুষকেই বেশি ভয় পায় আফ্রিকান প্রাণীরা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/07/1443871" target="_blank"> </a></div> </div> <p> </p> <p>ওয়েস্টার্ন উপকূলীয়  রাজগোখরা ভারতীয় উপদ্বীপের পশ্চিম উপকুলে সীমাবদ্ধ। এই প্রজাতি সুন্দা রাজগোখরা  থেকে আলাদা। কারণ এর শরীরের সাথে ফ্যাকাশে ব্যান্ডের চারপাশে গাঢ় প্রান্ত নেই।</p> <p>লুজন রাজগোখরা ফিলিপাইনের উত্তরের একটি দ্বীপ লুজনে বাস করে। এটি অন্য তিনটি প্রজাতির  তুলনায় এদের শরীরের আলাদা ও কোণাকৃতি ফ্যাকাশে ব্যান্ড রয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাপ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/22/1729576369-cc5ad7586203778e679fe92a79f2ba15.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাপ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/22/1437838" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এই চার প্রজাতির রাজগোখরাই অত্যন্ত শক্তিশালী বিষধরসাপ। বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর সাপের মধ্যে অন্যতম। এদের এক কামড়ে বিষের বেশ বড় ডোজের বিষ ছেড়ে দেয়। ফলে কামড়ানোর মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে মানুষ মারা যেতে পারে।</p> <p>পোগিরী বিশ্বাস করেন, এই গবেষণার দ্বীপগুলিকে এখনো রাজগোখরার নিয়ে গবেষণা করা হয়নি। সেটা করলে হয়তো এর আরও নতুন প্রজাতি আবিষ্কৃত হতে পারে। </p> <p>সূত্র: লাইভ সায়েন্স<br />  </p>