<p>বাংলাদেশের আবহাওয়া শীতকাল বেশ আরামদায়ক। কিন্তু শীতে স্বাস্থ্যঝুঁকিও কম নয়। সর্দি-কাশি বা ফ্লু জাতীয় রোগ তো বটেই, এ সময় ব্যাথ্যা ও হাড় ভাঙার ঝুঁকিও বাড়ে।</p> <p>অন্য ঋতুর তুলনায় শীতে কেন হাড় ভাঙার প্রবণতা বাড়ে? </p> <p>কিছু বৈজ্ঞানিক কারণ আছে, সেগুলো নিয়েই আমরা আলোচনা করব। </p> <p><strong>হাড় ভাঙার ঝুঁকি বাড়ার কারণ</strong></p> <p><strong>ভিটামিন ডি-এর অভাব</strong><br /> শীতকালে সূর্যের আলো কম পাওয়া যায়। অথচ আমাদের শরীরের ভিটামিন ডি তৈরিই হয় সূর্যের আলো থেকে। ফলে শীতকালে শরীরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ কমে যায়। ভিটামিন ডি হাড় শক্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শীতে এর অভাবে হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। তাই অল্প আঘাতেই হাড় ভেঙে যাওয়ার আশংকা বাড়ে শীতকালে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দিনে কতটুকু হাঁটবেন, কেন হাঁটবেন, কীভাবে হাঁটবেন?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/17/1731843285-d966e8e5ebe3e7df096652570df399a0.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দিনে কতটুকু হাঁটবেন, কেন হাঁটবেন, কীভাবে হাঁটবেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/17/1447662" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>ঠান্ডা আবহাওয়া ও ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটি কমে যাওয়া</strong><br /> শীতকালের আরামাদায়ক আবহাওয়া কারণে অনেকের ঘরে বসে থাকার প্রবণতা দেখান। এতে শরীরচর্চা বা শারীরিক কার্যক্রম কমে যায়। ফলে হাড়ের ঘনত্ব কমে যেতে পারে। তাই হাঁড় ভাঙার ঝুঁকিও এ সময় বাড়ে। </p> <p><strong>জয়েন্টের সমস্যা </strong><br /> শীতল আর্থ্রাইটিস বা জয়েন্টের ব্যথা বেড়ে আশংকাজনক হারে বাড়ে। ফলে হাঁটাচলায় অসুবিধা হয় এবং পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়া ও হাড় ভাঙার আশংকা অনেক বেশি থাকে।  </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ব্লাড ক্যান্সারের ১০ লক্ষণ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/17/1731823736-b3f92826184919f4597a36c4df74eca0.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ব্লাড ক্যান্সারের ১০ লক্ষণ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/17/1447575" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>করণীয় কী?</strong></p> <p><strong>ভিটামিন ডি নিশ্চিত করা</strong><br /> শীতে প্রতিদিন কিছুটা সময় সূর্যের আলোতে থাকার চেষ্টা করুন। এতে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ হবে অনেকটাই। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুণ। ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খান—যেমন, ডিমের কুসুম, মাছ, দুধ ইত্যাদি।  </p> <p><strong>শরীরচর্চা চালিয়ে যাওয়া</strong><br /> নিয়মিত হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করলে হাড় মজবুত থাকে। তাই হাঁটার অভ্যাস ও শারিরিক কার্যক্রম চালিয়ে যান। ঘরের ভেতরে জোরে হাঁটা বা যোগ ব্যায়ামের মতো হালকা ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটি করতে পারেন।  </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নিউমোনিয়া থেকে বাঁচার ১০ উপায়" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/16/1731758927-b427cf6b09af7b14f94ff8f001bf31ba.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নিউমোনিয়া থেকে বাঁচার ১০ উপায়</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/16/1447295" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>সাবধানতা অবলম্বন করুন</strong><br /> হাঁটার সময় ভালো মানের স্লিপ-প্রুফ জুতা পরুন।  শিশির ভেজা জায়গায় বিশেষ করে পাথুরে পাহাড়ি এলাকায় সাবধানে হাঁটুন।  </p> <p><strong>ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খান</strong><br /> ক্যলিসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার যেমন—দুধ, দই, পনির, বাদাম, শাকসবজি ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখুন।  ক্যালসিয়ামের অভাব হাড়ের দুর্বলতা বাড়ায়। শীতে এটা আরও প্রকট হতে পারে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুণ।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ব্রেইন টিউমারের ১০ লক্ষণ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/14/1731587403-0ae232723eed1ea33c0db4eb854c58ab.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ব্রেইন টিউমারের ১০ লক্ষণ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/14/1446626" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>বয়স্কদের জন্য বিশেষ সতর্কতা  </strong><br /> ঘর ভালোভাবে গরম রাখুন যাতে জয়েন্টের সমস্যা কম হয়। বাড়ির মেঝে শুকনো ও স্লিপ-প্রুফ রাখুন।  বয়স্কদের হাঁটাচলায় সমস্যা থাকলে, তাঁদের সাহায্য করুন।</p> <p><strong>চিকিৎসকের পরামর্শ নিন</strong><br /> যদি জয়েন্টের ব্যথা বাড়ে বা পড়ে গিয়ে আঘাত পান, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।  </p> <p><br />  </p>