<p>ধরা যাক, একটা খোঁয়াড়ে ১০০টি ভেড়া আছে। ধরা যাক, খোঁয়াড়টির চারদিকে চারটি দরজা আছে। একসঙ্গে যদি সব কটি দরজা খুলে দেওয়া যায়, দেখা যাবে প্রতিটি দরজা দিয়েই কিছু না কিছু ভেড়া বেরিয়ে পড়ছে। কোনটি কোন দরজা দিয়ে বেরোবে, তা আগে থেকে বলে দেওয়া মুশকিল। তাই বেরোনোর সময় কণাদের স্পিন ধারণা কি ছিল সত্যেন বসুর পেপারেই?</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টাম স্পিনের জনক কি সত্যেন বোস : পর্ব ২" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/27/1732700874-e05797b268f1b23ac762df2c5a3526a1.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টাম স্পিনের জনক কি সত্যেন বোস : পর্ব ২</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/27/1451221" target="_blank"> </a></div> </div> <p>ভেড়াগুলোর হাবভাব কেমন ছিল, বলা মুশকিল। কিন্তু সব কটি দরজা একসঙ্গে না খুলে একটিমাত্র দরজা দিয়ে ভেড়াগুলোকে বেরোতে দেওয়া হয়, তাহলে সব কটি সুশৃঙ্খলভাবে বের হবে। তাদের হাবভাবও অনেকটা শান্ত থাকবে।</p> <p>আলোর ব্যাপারটাও এমন। কোনো এক বিশেষ ফিল্টার ব্যবহার করে আলোর সব কটি কম্পনকে একমুখী এবং একই তলে করা যায়, এটাই হলো আলোর পোলারাইজেশন। কিন্তু পোলারাইজেশনের ধারণা আলোর কোয়ান্টাম তত্ত্বে ছিল না।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টাম স্পিনের জনক কি সত্যেন বোস : পর্ব ১" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/26/1732622695-e05797b268f1b23ac762df2c5a3526a1.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টাম স্পিনের জনক কি সত্যেন বোস : পর্ব ১</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/26/1450878" target="_blank"> </a></div> </div> <p>২.<br /> কোয়ান্টাম তত্ত্ব আলোর কণা নিয়ে কথা বলে। তাই কণা বা ফোটনকে পোলারাইজড করা যেতে পারে, এ নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কোনো ব্যাখ্যা কোয়ান্টাম তত্ত্বে ছিল না। </p> <p>আলোকে তরঙ্গ ধরলেই কেবল পোলারাইজেশনের কথা ভাবা যেত। কিন্তু আইনস্টাইন সংশোধিত প্রবন্ধে এমন ব্যবস্থা করে দিলেন যেন মনে হতে পারে, সত্যেন বসু আলোর পোলারাইজেশন ধারণাটাকে প্ল্যাঙ্ক সমীকরণে নিয়ে এসেছিলেন একটা ২ গুণ করে। যেটার নাম আইনস্টাইন দিয়েছিলেন পোলারাইজেশন ফ্যাক্টর।</p> <figure class="image"><img alt="কণাদের স্পিন ধারণা কি সত্যেন বোসের পেপারেই ছিল?" height="478" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/online/2024/11/28/my1182/BEC 4.jpg" width="600" /> <figcaption>কণাদের স্পিন ধারণা কি সত্যেন বোসের পেপারেই ছিল?</figcaption> </figure> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টাম ডট" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/27/1732694576-db939d8455374149acea9cb219474527.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টাম ডট</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/27/1451199" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সত্যেন বসুর প্রথম ইংরেজি জীবনীকার কামেশ্বর ওয়ালি দাবি করেছেন, আইনস্টাইন সত্যেন বসুকে কিছুটা অবজ্ঞা করেছিলেন, সেটা এই পোলারাইজেশন ফ্যাক্টরের বিষয়ে। অবজ্ঞাটা কী ছিল, সেটা আসলে তিনি জেনেছিলেন সত্যেন বসুর সাবেক ছাত্র পার্থ ঘোষের কাছ থেকে মুম্বাইয়ের এক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে। <br /> পার্থ ঘোষ কী বলেছিলেন ওয়ালিকে? </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সত্যেন্দ্রনাথ বসু : যাঁর নামে বোসন কণা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/01/01/1704094051-9e65ed7e5406982590fcae8929dcc488.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সত্যেন্দ্রনাথ বসু : যাঁর নামে বোসন কণা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/01/01/1351027" target="_blank"> </a></div> </div> <p>পার্থ ঘোষের দাবি, সত্যেন বসুর ওই পেপারে আসলে স্পিনের আভাস ছিল। কিন্তু আইনস্টাইন সেটা কেটে পোলারাইজেশন লিখে দিয়েছেন। ভারতীয় বাংলা পত্রিকা ‘আনন্দবাজার’-এর বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক পথিক গুহকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘একদিন সত্যেন্দ্রনাথের বাড়িতে গিয়েছি। স্যার আমাকে বললেন, এক গোপন কথা শোনাবেন। কী? আমি উৎসুক। স্যার বন্ধ করলেন দরজা-জানালা। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট: বাঙালি বিজ্ঞানীর অমর কীর্তি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/06/09/1717912203-fbf4a2bb1267f498f698e86a12f50ef7.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট: বাঙালি বিজ্ঞানীর অমর কীর্তি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/06/09/1395987" target="_blank"> </a></div> </div> <p>‘তারপর আমাকে ফিসফিস করে বললেন, ‘আজ তোকে যা বলছি, তা আর কাউকে বলিস না।’ কথা দিলাম যে আমি কাউকে তা বলব না। কিন্তু কী ব্যাপার? স্যারের আবিষ্কৃত সংখ্যায়নে একটা সংখ্যা (৪) এসেছিল। সেটা হবে ৮। কেন হবে, তার ব্যাখ্যাও স্যার দিয়েছিলেন। হবে এ কারণে যে আলোককণার স্পিন (ঘূর্ণনের মতো একটা ব্যাপার) আছে। <br />  </p> <p>চলবে...<br />  </p>
