<p>বাতব্যথা বা আর্থ্রাইটিস অর্থপেডিক ও নিউরোলজিক্যাল স্বাস্থ্য সমস্যা। এই রোগ শরীরের হাড়ের জোড়ায় ব্যথা এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে হাঁসের মাংস ও ডিম খেলে বাতব্যথা বাড়ে। তবে এই ধারণার পেছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এবং বাস্তব সত্য কতটা? </p> <p>হাঁসের মাংস এবং ডিম পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত প্রোটিন, যা পেশি শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড—এটা প্রদাহ কমাতে কার্যকর। আরও আছে ভিটামিন এবং খনিজ, বিশেষ করে আয়রন, জিঙ্ক এবং ভিটামিন বি-১২।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ডায়াবেটিক রোগীদের যেসব ফল এড়িয়ে চলা উচিত" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/11/1733912837-9371882dcce45ee625a0ce0ba5d0b81d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ডায়াবেটিক রোগীদের যেসব ফল এড়িয়ে চলা উচিত</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/12/11/1456342" target="_blank"> </a></div> </div> <p>হাঁসের মাংসে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কিছুটা বেশি। তাই অতিরিক্ত খেলে শরীরে প্রদাহ বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রদাহ বৃদ্ধি পেলে বাতব্যথা বা আর্থ্রাইটিসের উপসর্গগুলো প্রকট হতে পারে। তবে এটা নির্ভর করে ব্যক্তির শরীরের প্রতি এগুলোর সংবেদনশীলতার উপর।</p> <p>হাঁসের মাংসে পিউরিন নামে এক ধরনের উপাদান থাকে। এটা ভেঙে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে। বেশি ইউরিক অ্যাসিড গাউট (গেঁটেবাত) রোগীদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এ কারণে হাঁসের মাংস ও ডিম গাউটের রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="হার্টের সুরক্ষা দেয় যে ১০ খাবার" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/10/1733836017-daa79432b242c16e82493597a4d8c41f.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>হার্টের সুরক্ষা দেয় যে ১০ খাবার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/12/10/1456006" target="_blank"> </a></div> </div> <p>অন্যদিকে, হাঁসের ডিমে এবং মাংসে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তাই এটি কিছু মানুষের জন্য উপকারীও হতে পারে।</p> <p>সব মানুষের শরীর একরকম নয়। হাঁসের মাংস ও ডিম কারো জন্য বাতব্যথার উপসর্গ বাড়াতে পারে, আবার কারো জন্য কোনো সমস্যা উপকারী। এটা নির্ভর করে শরীরের মেটাবলিজম, খাদ্যাভ্যাস এবং জিনগত প্রভাবের উপর।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কিডনি রোগীদের যে ১০ খাবার নিষেধ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/09/1733760636-e0e28452229af52e70f87dd03c3a30c2.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কিডনি রোগীদের যে ১০ খাবার নিষেধ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/12/09/1455684" target="_blank"> </a></div> </div> <p>হাঁসের মাংস ও ডিম মাঝে মাঝে এবং পরিমিত পরিমাণে খাওয়া ভালো। রান্নার সময় মাংসের অতিরিক্ত চর্বি ফেলে দিন। যদি বাতব্যথা বা গাউটের সমস্যা থাকে, তাহলে চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করে খাদ্যতালিকা নির্ধারণ করুন। সমস্যা হলে হাঁসের মাংস বা ডিমের পরিবর্তে মুরগি, মাছ বা উদ্ভিজ্জ প্রোটিন বেছে নিতে পারেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="প্যারাসিটামল কী দিয়ে তৈরি? এর কাঁচামাল কোথা থেকে আসে?" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/11/1733931832-9876c9a3f300f29c8ee619765c1ad768.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>প্যারাসিটামল কী দিয়ে তৈরি? এর কাঁচামাল কোথা থেকে আসে?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/12/11/1456444" target="_blank"> </a></div> </div> <p>হাঁসের মাংস ও ডিম খেলে বাতব্যথা বাড়া কিনা—এ প্রশ্নের কোনো সরল উত্তর নেই। এটি নির্ভর করে ব্যক্তি বিশেষে। পুষ্টিকর হলেও অতিরিক্ত খাওয়া বা অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বাতব্যথার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই পরিমিত ও সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা সবচেয়ে ভালো পন্থা।</p>