<p>কাপড় সেলাই প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ব্লগ,বাটিক, হ্যান্ডপেইন্ট ও নকশিকাঁথা সেলাইয়ের কাজ শিখে নিজেদের স্বাবলম্বী করে পরিবারের হাল ধরতে চান বোয়ালখালী উপজেলার ২০ জন অসচ্ছল নারী।</p> <p>গত ৯ জুন দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতা ও বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে বোয়ালখালী উপজেলায় ২০ জন অসচ্ছল নারীদের বিনা খরচে সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। তিন মাস সেলাই প্রশিক্ষণ শেষে এখন ব্লগ,বাটিক, হ্যান্ডপেইন্ট ও নকশিকাঁথা প্রশিক্ষণে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।</p> <p>শনিবার (২ নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রশিক্ষণ নিতে আসা নারীরা কাপড়ের ওপর পেনসিল দিয়ে ফুল আঁকছে। কেউ কেউ বিভিন্ন রং দিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে বিভিন্ন ফুলের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলছে। দেখে যেন মনে হচ্ছে প্রকৃত ফুল যেন সামনে ফুটে উঠছে। আবার কেউ কেউ বাটিকের কাজ করতে দেখা যায়। কাপড়ে সুতা মুড়িয়ে রঙের পানিতে ভিজিয়ে নিলেই হয়ে যায় বিভিন্ন  রঙের বাটিকের কাজ। অন্যদিকে দেখা যায় বিভিন্ন ফোঁড়ের মাধ্যমে তোলা হচ্ছে নকশিকাঁথা। চেইন ফোঁড়, পাতা ফোঁড়, মাকড়শা ফোঁড়, গিট্টু ফোঁড়, ক্রচ ফোঁড়, ভরাট ফোঁড়, কেচি ফোঁড়ের মাধ্যমে তোলা হচ্ছে এসব নকশিকাঁথা।</p> <p>নিজেদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তারা। তাদের দেখে অনেকে এখন স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন।</p> <p>প্রশিক্ষণ নিতে আসা তানজিলা আকতার ঝুমু বলেন, ‘বিবাহবিচ্ছেদের পর বাপের বাড়িতেই বসবাস করছি। সেলাই প্রশিক্ষণের পর এবার ব্লগ,বাটিক, হ্যান্ডপেইন্ট ও নকশিকাঁথার কাজ শিখছি। আমাদের প্রশিক্ষক তাসলিমা জিন্নাত খুবই মনোযোগ সহকারে কাজ শিখাচ্ছেন। কাজ শিখে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। আর আমাদের দাঁড়াতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বসুন্ধরা শুভসংঘ।’</p> <p>জান্নাতুল নাঈমা মাইশা বলেন, ‘আমার বাবা সামান্য চায়ের দোকান করে সংসার চালান। তিন বোনের সংসারে কোনো ভাই না থাকায় সংসারের হাল আমাদের ধরতে হচ্ছে। বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বাবলম্বী হতে চাই। সেলাই কাজ শিখে এখন ব্লগ-বাটিকের কাজ শিখছি। কাজ শেখার পর অন্যদের শিখিয়ে সবাই মিলে স্বাবলম্বী হতে পারব ইনশাআল্লাহ।’</p> <p>প্রশিক্ষণ শেষে বিনা মূল্যে তাদের সেলাই মেশিন দেওয়া হবে।</p>