<p>১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর ঘটে যাওয়া প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ভোলা সাইক্লোনকে স্মরণ করে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে গ্রামীণ নারী-পুরুষদের নিয়ে উঠান বৈঠক করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে উপজেলার সাগরপাড়ের ইউনিয়ন রাঙ্গাবালীর ১৯ নম্বর এলাকায় এ উঠান বৈঠক করা হয়। এতে ওই এলাকার প্রায় ৩৫ জন নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।</p> <p>১৯৭০ সালের এই দিনে উপকূলীয় এলাকায় এমন কোনো গ্রাম কিংবা বাড়ি ছিল না, যেখানে কেউ প্রাণ হারায়নি। বাড়ি, পুকুর, খাল-বিল ও নদী-নালায় ছিল লাশের মিছিল। মহা প্রলয়ঙ্কারী এক ঘূর্ণিঝড়ে মরণপুরীতে রূপ নিয়েছিল পটুয়াখালীর সাগরের বুকে জেগে থাকা দ্বীপ ‘রাঙ্গাবালীতে’। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছিল দ্বীপের আকাশ বাতাস। ৫৪ বছর আগের ভয়াবহ এমন স্মৃতি নিয়ে আজও বেঁচে আছে অনেকে। স্বজন হারানো বিভীষিকাময় দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো আঁতকে উঠেন তারা।</p> <p>বসুন্ধরা শুভসংঘের রাঙ্গাবালী শাখার সমন্বয়ক এম সোহেল সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য দেন রাঙ্গাবালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামরুল হাসান, জলবায়ু নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা ভিলেজ এডুকেশন রিসোর্স সেন্টার ভার্ক-এর সমন্বয়কারী মোহসীন তালুকদার।</p> <p>এ সময় বক্তারা বলেন, উপকূলবাসীর ন্যায্যতা ও অধিকার আদায়ের কথা তুলে ধরতে রাষ্ট্রীয়ভাবে ১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হোক। পাশাপাশি উপকূলের পরিবেশ সুরক্ষায় কাজ করতে উপকূলের ১৯টি জেলা নিয়ে উপকূল মন্ত্রণালয় করার আহবানসহ। উপকূলবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি, এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার পাশাপাশি উপকূলবাসীর ন্যায্যতা ও অধিকার আদায়ের কথা তুলে ধরতে রাষ্ট্রীয়ভাবে ১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ হিসেবে ঘোষণা বিষয়ে উঠান বৈঠকে আলোচনা করা হয়।</p> <p>উঠান বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘের রাঙ্গাবালী শাখার সাবেক দপ্তর সম্পাদক তুহিন রাজ, নয়াদিগন্তের পায়রা বন্দর প্রতিনিধি জায়ান আহম্মেদ রবিন প্রমুখ।</p>