<p style="text-align:justify">বসুন্ধরা শুভসংঘের সামাজিক সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘পলিথিনমুক্ত সমাজ গড়ি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলি’ স্লোগানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) গণসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ।</p> <p style="text-align:justify">আজ শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সামনে থেকে পলিথিনের ব্যবহার রোধে এই গণসচেতনতা কর্মসূচি শুরু হয়। সচেতনতামূলক র‌্যালির মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। আরো উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমিনুর রহমান, আবু হুরাইরা আতিক, আবরী আক্তার ও রুহানী খাতুনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী।</p> <p style="text-align:justify">আবু হুরাইরা আতিক বলেন, ‘পলিথিন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বহুল ব্যবহৃত একটি উপাদান হলেও এটি পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। পলিথিন অত্যন্ত শক্তিশালী এবং অবিনশ্বর, ফলে এটি সহজে পঁচে না। পলিথিনের কারণে ফসলের উৎপাদনশীলতা কমে যায়। পলিথিনের এই ক্ষতিকর দিকগুলো এড়ানোর জন্য আমাদের অবশ্যই এর ব্যবহার রোধ করতে হবে, এজন্য প্রথমেই পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যবহার যেমন, বাজারে পাটের ব্যাগ, কাপড়ের ব্যাগ বা কাগজের ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে।</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনগণকে পলিথিনের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানাতে প্রচারণা চালাতে হবে। ব্যবহৃত পলিথিন যথাসম্ভব পুনর্ব্যবহার করতে হবে এবং সরকারকে কঠোরভাবে পলিথিন উৎপাদন ও ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে পলিথিনের এই ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পেতে পারি। আসুন, আমরা সবাই দায়িত্বশীল হই এবং পরিবেশকে রক্ষা করি।’</p> <p style="text-align:justify">ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের আরেক শিক্ষার্থী মইন বলেন, ‘পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে আমাদের সচেতন হতে হবে। বাজারে গেলে পাটের ব্যাগ বা কাগজের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারের উদ্যোগ নিতে হবে এবং নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। সরকারকে কঠোরভাবে পলিথিন নিষিদ্ধ করতে হবে এবং পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহারে মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে। সচেতনতার জন্য প্রচারাভিযান চালানো প্রয়োজন। সবাই যদি দায়িত্বশীল হয়, তবে পলিথিন ও প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশকে রক্ষা করা সম্ভব।’</p>