বিদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খুব একটা খেলার সুযোগ পান না বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। কয়েক বছর ধরে আইপিএলে কেউ না কেউ প্রতিনিধিত্ব করলেও এবার বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারই সুযোগ পাননি। আবার বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে সুযোগ পেলে বিসিবি থেকে খুব একটা দেওয়া হয় না অনাপত্তিপত্র।
সুযোগ পেলে বিদেশি লিগগুলোতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের খেলতে যাওয়া উচিত বলে মনে করেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
আগামী এপ্রিলে শুরু হতে যাওয়া পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) এবার তিনজন সুযোগ পেয়েছেন। পিএসএলে সুযোগ পাওয়া তিন ক্রিকেটার হচ্ছেন নাহিদ রানা, লিটন দাস ও রিশাদ হোসেন।
পিএসএলে তাদের খেলতে যাওয়ার বিষয়ে মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন শান্ত। তিনি বলেছেন, ‘মনে হয়, এই ধরনের টুর্নামেন্টে খেলা উচিত।
তবে এটা পুরোটা নির্ভর করবে ক্রিকেট বোর্ড, কোচ, অধিনায়ক সব কিছুর ওপর।’
অভিজ্ঞতা অর্জনের সঙ্গে আগামীতে আরো অনেক ক্রিকেটারের সুযোগ পাওয়ার পথ উন্মোচন হবে বলে মনে করেন শান্ত। বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেছেন, ‘বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোয় যদি আমাদের ক্রিকেটাররা খেলা শুরু করে, তাহলে একটা অভিজ্ঞতা হবে এবং ওই দায়িত্বটা নেওয়া শিখবে। বাইরের যে ক্রিকেটাররা আছে, তাদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করা, সব মিলিয়ে ভালো একটা অভিজ্ঞতা হবে।
আশা করব, এই ধরনের টুর্নামেন্টে আমাদের ক্রিকেটাররা সামনের দিকে খেলার সুযোগ পাবে।’
অভিষেকের পর থেকেই বিশ্বক্রিকেটে আলোচনায় আছেন নাহিদ। ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করতে পারায় বাংলাদেশি পেসার প্রশংসা কুড়িয়েছেন কিংবদন্তি পেসারদের। অন্যদের মতো সতীর্থকে সম্পদ বলে অভিহিত করেছেন শান্তও। বাঁহাতি ব্যাটার বলেছেন, ‘সে (নাহিদ রানা) খুব ভালো সম্পদ।
বিশ্বক্রিকেটে তাকে নিয়ে কী আলাপ-আলোচনা হচ্ছে, সেটা আমরা দেখছি। সবচেয়ে ভালো দিক যে জাতীয় দলের ফিজিও এবং আবাহনীর হয়ে যারা কাজ করছেন, তারা তার (নাহিদ রানা) ওয়ার্কলোডের ব্যাপারটা ভালোমতো দেখছেন। আল্লাহর রহমতে সে এখন পর্যন্ত ফিট। শক্তিটা ধরে রেখেছে।’
পিএসএলে খেলতে যাওয়ার জন্য অবশ্য এখন পর্যন্ত অনাপত্তিপত্র চেয়ে বিসিবির কাছে আবেদন করেননি কোনো ক্রিকেটারই। পাকিস্তানের লিগটি চলাকালীন সময়ই আবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ আছে। তিনজনই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটিতে খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।