<p>টুর্নামেন্ট শুরু আগে স্পেনকে নিয়ে ছিল না তেমন উচ্চাকাঙ্ক্ষা। একেবারেই তারুণ্যনির্ভর দল নিয়ে জার্মানিতে আসায় বড় স্বপ্নও দেখতে সাহস পায়নি দলটির সমর্থকরা। কিন্তু গ্রুপ পর্বের পরই বদলে যায় দৃশ্যপট। নয়নজুড়ানো নৈপুণ্য দেখিয়ে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা স্বপ্নের পরিধি বাড়িয়ে দিয়েছেন। গ্রুপে শতভাগ সাফল্যের পর শেষ ষোলোতে জিতেছে দাপটের সঙ্গে। কিন্তু শেষ আটে তাদের দিতে হচ্ছে কঠিন পরীক্ষা। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ‘সেরা’ দল জার্মানির সঙ্গে লড়তে হচ্ছে তাদের। এ যেন ফাইনালের আগে আরেক ফাইনাল!</p> <p>স্টুটগার্টে রোমাঞ্চকর ম্যাচের অপেক্ষায় ফুটবলবিশ্ব। তিনবার করে এই প্রতিযোগিতার শিরোপা জেতা দুই দলের অতীত পরিসংখ্যানও বলছে, সেয়ানে সেয়ানে হবে লড়াই। তবে ১৯৮৮ সালের পর ইউরোর মঞ্চে স্পেনকে হারাতে পারেনি জার্মানি। এবার ঘরের মাঠে অপেক্ষা ঘোচানোর পালা জুলিয়ান নাগেলসমানের দলের সামনে। জার্মান অধিনায়ক ইলকাই গুনদোয়ানও বলছেন লড়াই হবে সমানে সমান, ‘এটা অবশ্যই রোমাঞ্চে ঘেরা ম্যাচ হবে। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না। সম্ভবত এই দুই দলই আসরে সেরা ফুটবল খেলছে। যারা ভালো করবে তারাই ম্যাচ নিজেদের করে নেবে।’ স্পেন কোচ লা ফুয়েন্তেও সমীহ করছেন জার্মানদের, ‘তারা অসাধারণ একটি দল। কয়েকজন বিশ্বমানের ফুটবলার আছে তাদের দলে। কিন্তু তারা এমন একটি দলের বিপক্ষে খেলতে নামছে যারা কিনা সুসংগঠিত, খুবই নিবেদিত এবং সাফল্যের জন্য ক্ষুধার্ত।’</p> <p>তিকিতাকা কৌশলে দুটি ইউরো ও একটি বিশ্বকাপ জিতেছে স্পেন। সেই কৌশল থেকে বেরিয়ে লা ফুয়েন্তের স্পেন এখন গতিময় ফুটবল খেলছে। বলের দখল নিয়ে দ্রুত পাস খেলে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে ফেলাই এই দলের মূল কাজ। এমন স্পেনকে দেখে অনেকেই অবাক হয়েছে। তবে এটা যে রাতারাতির ফসল নয়, তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে স্পেনের দায়িত্ব নেওয়ার আগে লা ফুয়েন্তে টানা কয়েক বছর স্পেনের যুব ফুটবলে কাজ করেছেন। জার্মানিতে আসা স্পেনের এই দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই তাঁর অধীনে ছিল। সেটাই মূলত কাজে দিচ্ছে বলেছেন মিডফিল্ডার মিকেল মেরোনো, ‘এটা আমাদের ভীষণ সুবিধা দিয়েছে। কোচ আমাদের সবাইকে ভালোভাবে জানেন এবং তিনি কী চান তা আমরা বুঝতে পারি। কোন ধরনের ফুটবল তিনি পছন্দ করেন, সেটা আমরা খুব ভালো করে জানি। এটাই আমাদের শক্তির অন্যতম জায়গা।’</p> <p>জার্মানির জার্সিতে ক্যারিয়ারের শেষ টুর্নামেন্ট খেলছেন টনি ক্রুস। স্পেনের কাছে হেরে গেলে এটাই হবে তাঁর শেষ ম্যাচ। স্পেনের মিডফিল্ডার ও গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদে ক্রুসের সতীর্থ হোসেলু মজা করেই বলেছেন, ক্রুসের বিদায় এই ম্যাচেই করতে চান তাঁরা। ক্রুসও এর জবাব দিয়েছেন। জার্মান স্নাইপার আশাবাদী আরো কিছুদিন টিকে থাকবেন টুর্নামেন্টে, ‘আমরা আরো কিছু সময়ের জন্য টুর্নামেন্টে থাকব। আমার মনে হয় না (শুক্রবারের) ম্যাচটি আমার শেষ ম্যাচ হতে যাচ্ছে। রোমাঞ্চকর ম্যাচ হতে যাচ্ছে। আমার মন বলছে, এটা বোরিং হবে না। আমরা জিততে সব কিছু করব তাই হোসেলুর আশা পূরণ হচ্ছে না তা বলতে পারি।’ ক্রুসের মতো ফুটবলপ্রেমীরাও আছে রোমাঞ্চে ঠাসা একটি ম্যাচের অপেক্ষায়। রয়টার্স</p>