<p style="text-align:justify">রেকর্ড গড়ার জন্য যে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন আছে বিষয়টা তেমন নয়। শুধু প্রয়োজন দিনটা যেন সেই খেলোয়াড়ের হয়। আজ তেমনি এক দিন ছিল দারিয়াস ভিসার। ক্যারিয়ারের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমেই বিশ্বকেরর্ড গড়েছেন সামোয়ার ব্যাটার।</p> <p style="text-align:justify">এতদিন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে সর্বোচ্চ রান নেওয়ার রেকর্ড ছিল ৩৬ রান। আজ পূর্ব এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের কোয়ালিফায়ার ম্যাচে সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন দারিয়াস। এক ওভারে ৩৯ রান নিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে ব্যাট থেকে ৩৬ রান নিয়েছেন তিনি। বাকি ৩ রান এসেছে নো বল থেকে।</p> <p style="text-align:justify">দারিয়াসের জন্য গর্বের হলেও রেকর্ডটা বিব্রতকর নলিন নিপিকোর। ১৫ তম ওভার করতে এসে প্রথম তিন বলে সামোয়ার ব্যাটারের কাছে ৩ ছক্কা হজম করেন। চতুর্থ বল নো করলে সে বলে ব্যাটার রান নিতে না পারলেও ফ্রি হিট বলে ছক্কা হাঁকান ২৮ বছর বয়সী ব্যাটার। </p> <p style="text-align:justify">পঞ্চম বল অবশ্য ডট দেন নলিনি। তবে ওভারের শেষ বল করতে এসে টানা দুই বল নো দেন। প্রথম নো বলে দারিয়াস রান নিতে না পারলেও ফ্রি হিটকে ছক্কা হাঁকান। সঙ্গে আরেকটি ফ্রি হিট পান। কারণ ছক্কা হাঁকানো বলটিও নো করেন নলিন। শেষ বলে দারিয়াস ছক্কা হাঁকালে বিশ্বের ‍চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ছয় ছক্কার রেকর্ড গড়েন তিনি।</p> <p style="text-align:justify">দারিয়াসের আগে এই রেকর্ড গড়েছেন ধারাবাহিকভাবে ভারতের বাঁহাতি ব্যাটার যুবরাজ সিং, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিয়েরন পোলার্ড ও নেপালের দীপেন্দ্র সিং ঐরী। আজ ভানুয়াতুর বিপক্ষে শুধু ছয় ছক্কার রেকর্ড গড়েই থামেননি তিনি। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিও তুলে নিয়েছেন ২৮ বছর বয়সী ব্যাটার।  ২১২.৯০ স্ট্রাইকরেটে ১৩২ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। ৬২ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১৪ ছক্কা ও ৫ চারে।</p> <p style="text-align:justify">বিধ্বংসী ইনিংসটিতে আরোও একটি রেকর্ড গড়েছেন দারিয়াস। শতকরার হিসেবে দলের মোট রানে সর্বোচ্চ অবদান রেখেছেন তিনি। ৭৬.৮৬ ভাগ অবদান রেখেছেন সামোয়ার ব্যাটার। যা কোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ। এতদিন রেকর্ডটির মালিক ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার অ্যারন ফিঞ্চ। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ২২৯ রানের মধ্যে ১৭২ রান করেছিলেন তিনি। শতকরার হিসেবে ৭৫.১ ভাগ।  দারিয়াসের সেঞ্চুরির সৌজন্যে ১৭৪ রান করে সামোয়া। বিপরীতে ভানুয়াতু করে ১৬৪ রান। সামোয়ার ১০ রানের জয়ে অবধারিতভাবেই ম্যাচসেরা হয়েছেন দারিয়াস।</p>