<p>বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানা জোরপূর্বক নিজের দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে মাশরাফির বিরুদ্ধে সোমবার মামলা করেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সাবেক স্বত্বাধিকারী সরওয়ার গোলাম চৌধুরী। এরই প্রেক্ষিতে এক বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।</p> <p>বিজ্ঞপ্তিতে তারা লিখেছে, ‘সিলেট স্ট্রাইকার্সের এক শতাংশের মালিকানাও মাশরাফি বিন মর্তুজার কখনো ছিল না। এখনো নেই। জোর করে মালিকানা লিখে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানার যে কাগজপত্র বিসিবির কাছে আছে, সেখানেও মাশরাফির নাম নেই।’</p> <p>তারা আরো উল্লেখ করে, ‘বিপিএলের প্রথম আসরে অংশ নিয়েই সাড়া জাগিয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। মাশরফির নেতৃত্বে আমরা রানার্সআপ হয়েছিলাম। মাঠের ভেতরে-বাইরে আমাদের পেশাদারিত্ব, সিলেটের সর্বস্তরের মানুষ থেকে শুরু করে সারা দেশের সমর্থকদের সম্পৃক্ত করতে পারা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আমাদের উপস্থাপনা, সবকিছুই ছিল দারুণ প্রশংসিত। তারপরও দ্বিতীয় মৌসুমে আমাদের দল গঠন প্রক্রিয়ায় কেন ধস নামে?’</p> <p>সরওয়ার চৌধুরীর মালিকানা নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ব্যাখা, ‘শুরুতে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ৬০ শতাংশের মালিকানা ছিল সরওয়ার গোলাম চৌধুরীর। সহ-স্বত্বাধিকারীদের সঙ্গে সক্রিয় হয়ে তিনি কাজ করছিলেন। কিন্তু যখন ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক থেকে শুরু করে অন্যান্য খরচের বিষয় আসে, ক্রমে তাকে পিছু হটতে দেখা যায়। অনেক ক্রিকেটার ও ম্যানেজমেন্টের কয়েকজন সদস্যের পারিশ্রমিক, পরিচালন খরচ ও আরো বিভিন্ন খাতে তার অংশের কয়েক কোটি টাকা বাকি রেখেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। তার সঙ্গে যোগাযাগ করা হলে বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরও কোনো পদক্ষেপ তিনি নেননি। শেষ পর্যন্ত পাওনা টাকা শোধ করতে না পেরে গত বছরের আগস্টে তিনি নিজ থেকেই অন্যান্য স্বত্বাধিকারীর ওপর মালিকানা ছেড়ে দেন। বিসিবিকেও তিনি ই-মেইল দিয়ে নিজের সরে যাওয়ার কথা জানান।’</p> <p>সিলেট স্ট্রাইকার্সের ক্রিকেটার, কোচ, ম্যানেজমেন্টের অন্যান্য সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট সবাই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত বলেও ফ্র্যাঞ্চাইজিটি জানিয়েছে।</p>