<p>আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে দলীয় ৩০০ রান করতে পেরেছে শুধুই নেপাল। এবার সেই রেকর্ডে ভাগ তো বসিয়েছে সঙ্গে নেপালকে পেছনে ফেলে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরের বিশ্বরেকর্ড গড়েছে জিম্বাবুয়ে। আজ গাম্বিয়ার বিপক্ষে ৩৪৪ রান করে রেকর্ড নিজেদের করে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। সর্বোচ্চ ২৯০ রানের জয়ের রেকর্ডও গড়েছে তারা।</p> <p>আগের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল নেপালের ৩১৪ রান। গত বছর মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে করেছিল তারা। আজ ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আফ্রিকান উপ-আঞ্চলিক বাছাই পর্বের ম্যাচে গাম্বিয়াকে বেধড়ক পিটিয়েছে জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। বিশেষ করে সিকান্দার রাজা। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলের অধিনায়ক। <br /> ৪৩ বলে অপরাজিত ১৩৩ রানের দানবীয় এক ইনিংস খেলেছেন রাজা। ৩০৯.৩০ স্ট্রাইকরেটের ঝোড়ো ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৭ চার ও ১৫ ছক্কায়। সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ৩৩ বলে। যা সংক্ষিপ্ত সংস্করণে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম। তার মতোই গত ফেব্রুয়ারিতে নেপালের বিপক্ষে ৩৩ বলে সেঞ্চুরি করেছেন নামিবিয়ার ব্যাটার লফটি-ইটন। সাইপ্রাইসের বিপক্ষে গত জুনে ২৭ বলে সেঞ্চুরি করে শীর্ষে আছেন এস্তোনিয়ার ব্যাটার সাহিল চৌহান।</p> <p>চারে নামা রাজার এমন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সুরটা বেঁধে দিয়েছেন দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও তাদিনাশে মারুমানি। দুজনের তাণ্ডবে পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার ২ বল আগেই ৯৮ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। ৬২ রান করা মারুমানির বিপরীতে ৫০ রানে আউট হন বেনেট। দুজনের তাণ্ডবের পর ঝড় তোলেন রাজা। তার এমন ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দেখে চুপ থাকেননি ক্লাইভ মাদান্দেও। খেলেছেন ৩১১.৭৬ স্ট্রাইকরেটে ৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংস। পুরো ম্যাচে ৩০ চারের বিপরীতে ২৭ ছক্কা মেরেছে জিম্বাবুয়ে।</p> <p>জিম্বাবুয়ের দেওয়া ৩৪৪ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫৪ রানে অলআউট গাম্বিয়া। এতে করে ২৯০ রানের জয় পায় জিম্বাবুয়ে। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়ে। এর আগের রেকর্ডটিতে নাম ছিল নেপালের। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে সেদিন ২৭৩ রানে জিতেছিল তারা। অন্যদিকে বেধড়ক মার খেয়ে বিব্রতকর রেকর্ড গড়েছেন গাম্বিয়ার পেসার মুসা জোরবাতেহ। ৪ ওভারে সর্বোচ্চ ৯৩ রান দেওয়ার লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। আগের সর্বোচ্চ ছিল ৭৫ রানের। ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার পেসার কাসুন রাজিতা দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। </p>