<p>দীর্ঘ ১৪ বছর পর আবারও বাংলাদেশের জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। ৩ দিন আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। দায়িত্ব পেয়ে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে নিজের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য জানিয়েছেন তিনি।</p> <p>আনুষ্ঠানিক কোনো সংবাদ সম্মেলনে নয় বিসিবির অফিশিয়াল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন সালাউদ্দিন। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমরা বাংলাদেশকে যে সাফল্য এনে দিয়েছেন তা যেন পরবর্তী প্রজন্ম এগিয়ে নিয়ে যায় সেই লক্ষ্যেই কাজ করবেন তিনি। </p> <p><iframe frameborder="0" height="436" sandbox="allow-scripts allow-same-origin" scrolling="no" src="https://www.facebook.com/plugins/video.php?href=https%3A%2F%2Fwww.facebook.com%2Fbcbtigercricket%2Fvideos%2F567124575900857%2F&width=500&show_text=true&height=436&appId" style="border:none;overflow:hidden" width="500"></iframe></p> <p>২০০৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বিসিবির ফিল্ডিং ও সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করা সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘আমরা যারা বলি সাকিব, তামিম, মুশফিকরা একটা পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে গেছে, ওটা যদি না ভাঙতে পারি, তাহলে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বাংলাদেশের ক্রিকেট এগোয়নি। (আমাদের কাজ) পরবর্তী প্রজন্ম যেন তাদের চেয়ে সেরা খেলোয়াড় হতে পারে, বড় হতে পারে। এই কাজগুলো যদি করতে পারি...এসব যে অসম্ভব তা-ও নয়। কারণ এখন তারা ভালো ক্রিকেট খেলে। মানসিক, শারীরিক, আর্থিক-যে দিকটার কথাই বলেন না কেন, তারা অনেক স্বাবলম্বী। আগে হয়তো যা ছিল না। এখন অনেক সুযোগ-সুবিধাও বেড়েছে।’</p> <p>স্থানীয় কোচদের পথে দেখানোর কাজটিও করতে চান সালাউদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘অনেক দিন ধরেই শুনছি বোর্ড দেশি কোচদের একটা প্ল্যাটফরম করে দেবে। সেই জায়গায় যদি পথটা দেখাতে পারি, সেটা যত দিনের জন্যই হোক, দেশি কোচরাও হয়তো ভালো করবে। পরবর্তী সময়ে যে সব দেশি কোচ আসবে বোর্ডের বিশ্বাস বাড়বে, মানুষের বিশ্বাস বাড়বে, জনগণের বিশ্বাস বাড়বে। সেই সঙ্গে কোচের নিজেরও বিশ্বাস বাড়বে যে আমরাও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো করতে পারি। আমার মনে হয়, এই বিশ্বাসটা কারো না কারো নেওয়া উচিত ছিল। সেই বিশ্বাসটা যদি আমি রাখতে পারি, পরের কোচদের জন্য বড় পথ খোলা হয়ে যাবে। একজন কোচ হিসেবে কোচ-সমাজে পথ দেখানোর একটা বড় দায়িত্ব আমার পড়ে গেছে। সেটাকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি।’</p>