<p>৯-১১-২০২৪। দিনটা নাসুম আহমেদ মনে রাখবেন। কেন তা বিশেষ রূপ পাচ্ছে, বুঝতে একটু পেছন ফিরে তাকাতে হবে। ভারতে সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর নাসুমের ফেরার দরজা প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছিল।</p> <p>আঙুল উঠেছিল চন্দিকা হাতুরাসিংহের দিকে। অভিযোগ ছিল নাসুমকে শারীরিভাবে লাঞ্ছিত করেছেন তিনি। সেই সময় এই ঘটনার সত্যতা না মিললেও বিসিবি সভাপতি পদ থেকে নাজমুল হাসান পাপনের বিদায়ের পর ফারুক আহমেদের বোর্ড ‘এক ক্রিকেটারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতের অভিযোগ’ এনে হাতুরাসিংহেকে বহিষ্কার করে। সেই ক্রিকেটার যে নাসুম, তার জন্য এখন আর বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন পড়ছে না।</p> <p><img alt="১" height="251" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/online/2024/11/10/my1198/kk--47a-10-11-2024.jpg" style="float:right" width="300" />আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হয়ে পড়া নাসুম অবশেষে ফিরলেন গত রাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে দিয়ে। শুধু ফেরা বললে তাঁর প্রতি অবিচার হয়ে যায়। প্রথমে ব্যাটে এবং পরে বলে রাঙানো ফেরাটাকে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন বললে একটু বেশি মানানসই হয়। মূল দায়িত্ব বোলার হলেও ব্যাটিংটা ভালোই করেন নাসুম আহমেদ।</p> <p><img alt="1" height="1335" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/online/2024/11/10/my1198/kk--47b-10-11-2024 (1).jpg" style="float:right" width="600" /></p> <p>সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে আরেকবার নাসুম সেই প্রমাণ রাখলেন। দারুণ শুরুর পর মাঝের ওভারে আফগানদের দারুণ আঁটসাঁট বোলিংয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। এখান থেকে শারজার উইকেট বিবেচনায় স্বাস্থ্যকর একটা স্কোরবোর্ডের জন্য শেষ ১০ ওভারে কিছু ঝোড়ো রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। নাসুম দলকে তা এনে দেন সপ্তম উইকেটে অভিষিক্ত জাকের আলি অনিকের সঙ্গে ৪৬ রানের জুটিতে। আফগান বোলারদের ওপর পাল্টা আক্রমণ প্রথম নাসুমই শুরু করেছিলেন।</p> <p>তাঁর ২৪ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারে ২৫ রানের ইনিংস যে সাহসের সঞ্চার করেছিল, সেটির ওপর দাঁড়িয়ে জাকেরও খেলেন অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংস। তাতে বাংলাদেশও পেয়ে যায় ২৫২ রানের লড়াকু সংগ্রহ।</p> <p>ব্যাটিংয়ে বাড়তি দায়িত্ব পালনের পর নিজের আসল কাজটাও ঠিকঠাক করে এই সংগ্রহটাকে আফগানদের জন্য কঠিন করে তোলেন নাসুম। তাঁর বোলিং ফিগারটা এ রকম—৮.৩-১-২৮-৩। শুধু এই পরিসংখ্যানে নাসুমের হাত ধরে বিধ্বস্ত বাংলাদেশের জেগে ওঠার প্রেক্ষাপট পুরোপুরি ফুটিয়ে তোলা যাচ্ছে না। নাসুম বোলিংয়ে আসেন ১৭তম ওভারে। দলীয় ১৮ রানে ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজের উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে তখন বেশ ভালো প্রতিরোধ গড়ে তোলে আফগানিস্তান। নিজের প্রথম ওভারে সেদিকুল্লাহ আতেল ও রহমত শাহর ৫২ রানের জুটি ভেঙে স্বস্তি ফেরান নাসুম। মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান বিপজ্জনক হয়ে ওঠা সেদিকুল্লাহকে। বোলারের সঙ্গে উইকেটের কৃতিত্বটা মিরাজেরও। ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে দুর্দান্ত এক ক্যাচের জন্য তাই নাসুমের কাছ থেকে একটা ধন্যবাদ পেতেই পারেন মিরাজ। নাসুমের পরের উইকেটটা বাঁহাতি স্পিনারের স্বপ্নের ডেলিভারি বলা যায়। আগের ওভারে মুস্তাফিজুর রহমান হাশমতউল্লাহ শহীদিকে ফেরানোর পর উইকেটে তখন মাত্রই এসেছেন ডানহাতি আজমতউল্লাহ ওমরজাই। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে নাসুমের মিডল স্টাম্পের লাইনে করা ডেলিভারি টার্ন করে খুঁজে নেয় আজমতউল্লাহর স্টাম্প। শূন্য রানে ফেরেন আফগান অলরাউন্ডার। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে না পারা আফগান ইনিংসের যবনিকাও টানেন নাসুম। তাতে লেখা হয়ে গেল প্রত্যাবর্তনের দারুণ এক গল্পও!</p> <p style="text-align:center"><img alt="১" height="600" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/online/2024/11/10/my1198/kk--48-10-11-2024.jpg" width="1000" /></p> <p> দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে সিরিজে সমতা ফেরানোর ম্যাচে ৭৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ম্যাচসেরার</p> <p><img alt="১" height="600" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/online/2024/11/10/my1198/kk---32-10-11-2024.jpg" width="1000" /></p> <p>পুরস্কারও উঠেছে বাংলাদেশ অধিনায়কের হাতে। শেষ দিকে জাকের আলী করেছেন ২৭ বলে অপরাজিত ৩৭ রান। </p>