<p>ফুটবল কখনো কখনো একপক্ষের খেলাই হয়ে যায়। যেমন আজ (শুক্রবার) বসুন্ধরা কিংস খেলেছে। চট্টগ্রাম আবাহনীকে তাদের সামনে প্রতিপক্ষই মনে হয়নি। কিংস খেলেছে, গোল করেছে- চট্টগ্রাম আবাহনী তাদের সেই কাজটা যতটা সম্ভব কঠিন করে তুলতে চেয়েছে শুধু। অনেকটা ‘প্র্যাকটিস পার্টনার’- এর মতো। তাদেরও যে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে হবে বা ম্যাচ জিততে হবে- দলটি সেই সামর্থ্যই দেখাতে পারেনি। একতরফা খেলে কিংস জিতেছে ৭-০ গোলে।</p> <p>নিজেদের প্রস্তুতির স্বল্পতায় চট্টগ্রাম আবাহনী কোচ সাইফুর রহমান মনি অবশ্য ম্যাচের আগেই এমন একটা ঝড়ের পূর্বাভাস দেখছিলেন। ঘরের মাঠে লিগের প্রথম ম্যাচে কিংস তার অন্যথা করেনি। মৌসুমের শুরুতে চ্যালেঞ্জ কাপ জেতা কিংস এদিন চট্টগ্রাম আবাহনীকে দুমড়েমুচড়ে দিয়ে লিগ শিরোপা ধরে রাখারও প্রচ্ছন্ন ঘোষণা দিয়েছে।</p> <p>এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে খেলতে না পারা ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার জাহেদ খাসা টানা দ্বিতীয় ম্যাচে আজ প্রথম একাদশে ছিলেন। এদিন জোড়া গোল করেছেন তিনি। তৃতীয় মিনিটেই দলের প্রথম গোলটি করেছেন তিনি মিগেল ফিগেইরার থ্রু পাস ধরে চমত্কার ফিনিশিংয়ে। দ্বিতীয় গোলটি ফয়সালের। মিগেলেরই থ্রু পাসে অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে বল জালে পাঠিয়েছেন জাতীয় দলের এই ফরোয়ার্ড। ২৯ মিনিটে তৃতীয় গোলটি মিগেলেরই। এবার ফয়সালের বাড়ানো বলে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে বক্সে ঢুকে গোলটি করেছেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার।</p> <p>একের পর এক গোল হজম করে চট্টগ্রাম আবাহনী ক্রমে নিচে নেমে রক্ষণ জমাট করে। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি একেবারেই। মিগেল ও রাকিবের সঙ্গে বোঝাপড়ায় বিরতির আগেই ৪-০ করেছেন খাসা। এই গোলের পর বিস্ময়করভাবেই খাসাকে তুলে নেন কিংস কোচ। তাতেও গোলের ধারা অবশ্য থামেনি। মজিবুর রহমান জনি পঞ্চম গোল করার পর শেষ দুটি গোল এসেছে রাকিবের পা থেকে।</p>