<p>শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আফগানিস্তান হারাল জিম্বাবুয়ে। ৪ উইকেটের জয়টি প্রতিপক্ষের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় জয়। অন্যদিকে ১৪ ম্যাচ হেরেছে। ঘরের মাঠ হারারেতে আজ নাটকীয় এক জয় পেয়েছে তারা।</p> <p>শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১১ রান প্রয়োজন ছিল জিম্বাবুয়ের। হাতে ৪ উইকেট। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের প্রথম বলে চার মেরে চাপ কমান তাসিঙ্গা মুশেকিওয়া। পরের দুই বলে দুটি ডাবল নিয়ে সমীকরণটি নামিয়ে নামেন ৩ বলে ৩ রানে। ম্যাচটা তখন জিম্বাবুয়ের দিকেই ঝুলে পড়ে। তবে চতুর্থ বল ডট দিয়ে ম্যাচ জমানোর ইঙ্গিত দেন ওমরজাই। </p> <p>পঞ্চম বলে মুশেকিওয়া ডাবল নিয়ে ম্যাচ করেন টাই। শেষ বলে ১ রানের সমীকরণে স্ট্রেট দিয়ে চার মেরে জয় নিশ্চিত করেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটার। এতে করে দীর্ঘ এক অপেক্ষা ফুরায় স্বাগতিকদের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় জয়টি পেতে যে দীর্ঘ ৬ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের। সর্বশেষে ২০১৯ সালে চট্টগ্রামে ক্রিস্টোফার এমফোপুর দুর্দান্ত বোলিং ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজার দারুণ ফিফটিতে ৭ উইকেটে প্রথম জয় পেয়েছিল জিম্বাবুয়ে।</p> <p>হারারেতে ১৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো ছিল না জিম্বাবুয়ের। দলীয় ১১ রানের সময় আউট হন তাদিওয়ানাশে মারুমানি। তবে দ্বিতীয় উইকেটে জয়ের ভিত গড়েন ব্রায়ান বেনেট ও ডিওন মায়ার্স। ৭৫ রানের জুটি গড়েন তারা। ৩২ রানে মায়ার্স আউট হলে তাদের জুটিটা ভেঙে যায়। চারে নেমে অধিনায়ক সিকান্দার রাজাও ৯ রানের বেশি করতে পারেননি।</p> <p>ব্যক্তিগত ৪৯ রানে আউট হয়ে ফিফটি হাতছাড়া করেন বেনেটও। তবে ফিফটি না পেলেও ম্যাচসেরার পুরস্কার তার হাতেই উঠেছে। যদিও শেষ ওভারের ম্যাচের নায়ক ছিলেন মুশেকিওয়া। </p> <p>এর আগে টস জিতে ব্যাটিং ধসে পড়ে আফগানিস্তান। ৫৮ রানে ৫ উইকেট হারায় তারা। সেখান থেকে ষষ্ঠ উইকেটে ৭৯ রানের জুটি গড়ে দলকে দেড় শ ছুঁই ছুঁই স্কোর এনে দেন মোহাম্মদ নবী ও করিম জনাত। ৪৪ রানে নবী আউট হলেও ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন জনাত।</p>