<p>বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ম্যাচের শুরুতেই যে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ দেখা গেল তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যায়। পরে অনেকটা একতরফা মাঠের আধিপত্য নিয়ে রহমতগঞ্জকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেয় বসুন্ধরা। এতে জয়ে ফেরে বসুন্ধরা কিংস। ঢাকা মোহামেডানের কাছে সর্বশেষ ম্যাচে হেরেছিলেন মিগেল দামাশিনো-তপু বর্মণরা।</p> <p>ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ করে বসুন্ধরা। তার ফলও পায় তারা। ৮ মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের জোরালো শট সেভ করেন রহমতগঞ্জকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক আহসান হাবিব। ২ মিনিট পরেই অবশ্য গোল পায় বসুন্ধরা। গোলটি করেন জোনাথন ফার্নান্দেজ। ১০ মিনিটে নেওয়া রিমনের শট বসুন্ধরার এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে ফেরত এলে বলকে জালে জড়িয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার।</p> <p>তবে ব্যবধান ৩ মিনিটেও ধরে রাখতে পারেনি বসুন্ধরা। প্রতিপক্ষের বক্সের কাছাকাছি পাওয়া ফ্রি কিক থেকে রহমতগঞ্জকে সমতায় ফেরান নাবিব নেওয়াজ জীবন। চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে জোড়া গোল করেন তিনি। তার নেওয়া ফ্রি কিকটা ছিল চোখধাঁধানো। লিওনেল মেসি-ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরা যেমনটা মানব দেয়ালের ওপর দিয়ে কোনো এক পোস্ট দিয়ে বলকে জালে জড়ান; আজ ঠিক তেমনি এক ফ্রি কিকে বসুন্ধরার গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ডান দিকের পোস্ট দিয়ে বলটা জালে জড়াতে দেখতে বাধ্য করেছেন তিনি। </p> <p>২০ মিনিটে মিগেল দামাশিনোর আরেকটি নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন হাবিব। সেই চাপ শেষ হতে না হতেই বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে আরেকটি শট প্রতিহত করেন তিনি। অন্যদিকে ২৫ মিনিটে ইচ্ছে করে হাত দিয়ে গোল করেন মোহাম্মদ সোহেল রানা। যার শাস্তি হিসেবে সঙ্গে সঙ্গেই বসুন্ধরার মিডফিল্ডারকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। </p> <p>বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বসুন্ধরা। ম্যাচের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে গোলটি করেন দলের অধিনায়ক দামাশিনো। </p> <p>দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে প্রতিপক্ষকে সমতায় ফেরার সুযোগ না দিয়ে ব্যবধান ৩-১ করে বসুন্ধরা। ৫৪ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মিডফিল্ডার সোহেলের জোরালো শটটা গোলরক্ষক হাবিব ঠিকমতো প্রতিহত করতে না পারলে জালে জড়িয়ে যায়।</p> <p>৬১ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন দামাশিনো। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের নেওয়া শট পোস্টে লেগে ফিরে আসলে তাকে হতাশ হতে হয়। ৭৬ মিনিটে হেডে বসুন্ধরার গোলের হালি করেন ডিফেন্ডার তপু বর্মন। তার ৩ মিনিট পর মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল রহমতগঞ্জ। তবে বসুন্ধরার গোলরক্ষককে একা পেয়েও পরাস্ত করতে পারেনি স্যামুয়েল বোয়েটাং। ঘানার ফরোয়ার্ডের নেওয়া শট ফিস্ট করে বসুন্ধরাকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক জিকো। পরে আর কোনো গোল না হলে ৪-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা।</p>