<p>ঢাকা আবাহনীর কাছে এক রকম জুজু হয়ে ছিল বসুন্ধরা কিংস। প্রিমিয়ার লিগে সর্বশেষ ৬ বছর ধরে বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়নদের হারাতে পারছিল না আবাহনী। অবশেষে ১১তম ম্যাচে এসে সেই জুজু কাটাল কোচ মারিফুল হকের দল। এর আগে ৮ জয়ের বিপরীত ২ ড্র নিয়ে মাঠে নেমেছিল বসুন্ধরা। </p> <p>কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে বসুন্ধরাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে আবাহনী। দলের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেছেন সুমন রেজা। আবাহনীর ফরোয়ার্ড যখন গোলটি করলেন তখনো হয়তো খেলা দেখতে আসা দর্শকেরা নিজেদের সিটে ঠিকমতো বসেননি। কিন্তু তার আগেই মাঠের মধ্যে আবাহনীর খেলোয়াড়দের গোল উৎসব।</p> <p>ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে বাঁ দিক থেকে ডিফেন্ডার শাহরিয়ার ইমনের ক্রসে মাথা ছুঁয়ে বসুন্ধরার জালে বল জড়ান সুমন। এরপর গোল শোধ দিতে মরিয়া হওয়া বসুন্ধরা বেশ কিছু সুযোগ পেলেও আবাহনীর গোলরক্ষক মিতুল মারমার কাছে পরাস্ত হয়। বিরতির পরেও ঠিক তাই। </p> <p>৫৩ মিনিটে গোল শোধের দুর্দান্ত এক সুযোগ পায় বসুন্ধরা। কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন দলের অধিনায়ক মিগেল ফিগেইরা। ফিগেইরার নিচু স্পটকিককে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক মিতুল। ৮৫ মিনিটে মজিবর রহমান জনির দুর্দান্ত এক শটকে ঠেকিয়ে দেন আবাহনীর গোলরক্ষক। সবমিলিয়ে নিশ্চিত ৩/৪ টি গোল বাঁচিয়ে দেওয়ার পুরস্কার হিসেবে ম্যাচসেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। এতে সবমিলিয়ে টানা দ্বিতীয় হার দেখেছে বসুন্ধরা। এর আগে ফেডারেশন কাপে ফর্টিসের কাছে হেরেছিল লিগ চ্যাম্পিয়নরা। </p> <p>লিগের অন্য ম্যাচে ময়মনসিংহে ৩-১ ব্যবধানের জয় পেয়েছে মোহামেডান। পুলিশকে বড় ব্যবধানে হারানোর ম্যাচে মোহামেডানের হয়ে গোল তিনটি করেছেন তিন বিদেশি। তারা হচ্ছেন- এমানুয়েল টনি এগবাজি, সানডে এমানুয়েল ও সুলেমান দিয়াবাতে। অন্যদিকে ব্যবধান কমানো গোলটি করেন মোহাম্মদ আল আমিন।</p>