<p>ভারতীয় ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টের পঞ্চম দিনের শেষ সেশনে এক অদ্ভুত পরিস্থিতিতে আউট হন। প্যাট কামিন্সের একটি বাউন্সারে হুক করতে গিয়ে উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারির হাতে ক্যাচ তুলে দেন। অস্ট্রেলিয়া আউটের আবেদন করে। তবে কট-বিহাইন্ডের জন্য প্রথমে অন-ফিল্ড আম্পায়ার নট-আউট দেন। অস্ট্রেলিয়া রিভিউ নিলে তৃতীয় আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা রিভিউয়ের পর এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আউট দেন, যদিও রিয়েল-টাইম স্নিকোতে কোনো রেখা দেখা যায়নি।</p> <p>স্নিকো দেখায়, বল ব্যাটের পাশ দিয়ে চলে গেলেও কোনো ফ্ল্যাট লাইন ছিল না, কিন্তু নিয়মিত রিপ্লেতে একটি বড় ডিফ্লেকশন দেখা যায়। তৃতীয় আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ডিফ্লেকশন দেখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এবং অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আউট দেন। জয়সওয়াল আম্পায়ারের সঙ্গে কিছু সময় কথা বলে মাঠ থেকে চলে যান।</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে রোহিত যে অবধারিতভাবেই জয়সোয়ালের আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্নের সন্মুখীন সেটা অনুমিতই ছিল। রোহিত শর্মা ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি জানি না কি বলা উচিত, কারণ প্রযুক্তি কিছু দেখায়নি, তবে খালি চোখে মনে হয়েছে কিছু ছুঁয়েছে।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘আমরা জানি, প্রযুক্তি শতভাগ সঠিক নয়। বেশির ভাগ সময় আমরাই এর ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হচ্ছি...এখানে আমরা দুর্ভাগা।’</p> <p>অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক কামিন্স নিশ্চিত ছিলেন যে জয়সওয়াল বলটি হিট করেছিলেন, ‘মনে হয়েছিল এটা স্পষ্ট যে সে বলটি ছুঁয়েছে, আমি শব্দ শুনেছি, এবং ডিফ্লেকশন দেখেছি, তাই আমি নিশ্চিত ছিলাম।’</p> <p>অন্যদিকে সাবেক আম্পায়ার সাইমন টফেল শরফুদ্দৌলার সিদ্ধান্তকেই সঠিক বলে মনে করেন। তিনি তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে বলেন, ‘ডিফ্লেকশন ছিল স্পষ্ট প্রমাণ আছে, এবং শরফুদ্দৌলা তার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘যখন আম্পায়ার স্পষ্ট ডিফ্লেকশন দেখেন, তখন আর অন্য কোনো প্রযুক্তির প্রয়োজন নেই।’</p> <p>তবে ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও ধারাভাষ্যকার সুনীল গাভাস্কার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নাখোশ। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকবার দেখেছি, বল সিমে পড়ে ব্যাটে না লেগে খুব কাছ দিয়ে গিয়ে দেরিতে সুইং করে। দূর থেকে মনে হয়, বল ব্যাটের কানায় লেগেছে। আমি সামনের পায়ে ডিফেন্সের কথা বলছি, (জয়সোয়ালের) হুক শটের কথা নয়। দেখার ভুলের কারণে মনে হয়, বল ব্যাটে লেগেছে। এখানেও দেখার ভুলই হয়েছে। প্রযুক্তি যদি বলে এটা আউট নয়, তাহলে আউট দেওয়ার সুযোগ নেই।’</p> <p>স্টার স্পোর্টসে মার্ক নিকোলাস এবং সঞ্জয় মঞ্জরেকার এটিকে তৃতীয় আম্পায়ারের ‘সাহসী’ সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করেন।</p>