<p>বিপিএলে এখন পর্যন্ত অপ্রতিরোধ্য রংপুর রাইডার্স। টানা ৫ ম্যাচ খেলে প্রতিটিতেই জয় পেয়েছে গ্লোবাল সুপার লিগ চ্যাম্পিয়নরা। দলটির এমন ছন্দে দুর্দান্ত অবদান রাখছেন নাহিদ রানা।</p> <p>তাসকিন আহমেদের (১২) পর সতীর্থ খুশদিল শাহর সঙ্গে যৌথভাবে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ উইকেটশিকারি রানা, রংপুরের বোলিংয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অবশ্য শুধু বিপিএলে নয়, গতি ও বাউন্সে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেকের পর থেকেই আলো ছড়াচ্ছেন তিনি। ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বোলিং করার ক্ষমতা থাকায়, একটা শঙ্কাও কাজ করে। জোরে বল করা পেসারদের চোট পাওয়ার শঙ্কা।</p> <p>তবে সেই শঙ্কা নিয়ে ভাবছেন না রানা। ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার স্বীকৃতি পাওয়া পেসার জানিয়েছেন, যুদ্ধে নামলে গুলি খাওয়ার ভয় যেমন থাকে, তেমনি খেলতে নামলে চোটের শঙ্কা থাকবেই। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ২২ বছর বয়সী পেসার বলেছেন, ‘মানুষ যুদ্ধে নামলে গুলি খায়, ক্রিকেট খেলতে নামলে চোটে পড়তে হয়। মেইনটেইনের কথা যা ফিটনেস সব নিজে করতেসে। বিসিবি যে শিডিউল দিসে সব মেনে চলার চেষ্টা করছি।’</p> <p>চোট নিয়ে ভয় না পাওয়ার পেছনে ফিটনেস নিয়ে যে কাজ করছেন সেটা জানিয়েছেন রানা। সঙ্গে ওয়ার্কলোড নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘বায়েজিদ ভাই ফিজিও আছে। উনার সাথে যোগাযোগ হয়। রংপুর দলে সজীব ভাই আছে। সবার সাথেই কথা হয়। দেখুন, আমি শেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেললাম ওয়েস্ট ইন্ডিজে। মাঝে গ্যাপ ছিল। তখন প্ল্যান দিয়েছিল, ফিটনেস এবং ম্যাচের। এভাবে ফিটনেস করবা, ম্যাচ খেলবা। বিসিবিও বলসে আমার বডি ঠিকাছে, আমিও ভেবেছি ঠিকাছে।’</p> <p>নিজেকে তারকা মনে করেন না জানিয়ে রানা বলেছেন, ‘না আমি নিজেকে কখনও তারকা মনে করতেসি না। আমি আপনাদের মত নরমালি মানুষ। নরমাল থাকার চেষ্টা করতেসি।’</p> <p>জাতীয় দলে অভিষেকের পর থেকেই প্রশংসায় ভাসছেন রানা। গতকাল বিপিএলের দল ফরচুন বরিশালের পাকিস্তানি পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদিও তার প্রশংসা করেছেন। তবে প্রশংসা শুনতে ভালো লাগলেও তা থেকে দূরে থাকতে চান তিনি। রানা বলেছেন, ‘জিনিসগুলো থেকে আমি দূরে থাকার চেষ্টা করি। তবে মানুষ মানুষের প্রশংসা করবেই। মানুষের শুনতে ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি এগুলো থেকে দূরে থাকার। এগুলো কম আসলে নিজের ভেতর ক্ষুধাটা বেশি থাকবে।’</p>