<p>টেনিস কোর্টে এক সময়ের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ডি মারে এবং নোভাক জোকোভিচ একে অপরকে ২৫ বছর ধরে চেনেন। পেশাদার  ক্যারিয়ারে ৩৬ বার মুখোমুখি হয়েছেন দুজন। যার মধ্যে ছিল ১০টি গ্র্যান্ড স্লাম ম্যাচ। অবসরপ্রাপ্ত সেই মারে কে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন পর্যন্ত নিজের কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন জোকোভিচ। </p> <p>অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে জোকোভিচ অ্যান্ডি মারের প্রশিক্ষণেই খেলবেন। মারে জানালেন, কিভাবে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে তিনি জোকোভিচকে কোচিং করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।</p> <p>মারে বলেন, ১২ বছর বয়স থেকে জোকোভিচের সাথে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়েছিল। একদিন গলফ খেলতে গিয়ে জোকোভিচের সঙ্গে আলাপের পর তিনি কোচিংয়ের বিষয়টি ভাবতে শুরু করেন। মারে জানান, ‘আমরা গলফ খেলার সময় কথা বলছিলাম। আমি বোধ হয় ১৭তম হোলের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম, তখনই জোকোভিচ আমাকে প্রশ্ন করেছিল, ‘তোমার কি কোচিংয়ের কোনো পরিকল্পনা রয়েছে? আমি বলেছিলাম, এখন কোচিংয়ের কথা চিন্তা করাও আমার জন্য খারাপ।’</p> <p>তার পরেও জোকোভিচের কোচ হতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন মারে। তিনি বলেন, ‘৩০ মিনিট পরেই আমি গাড়িতে উঠে নোভাককে ফোন করেছিলাম। অনেক কথা হয়েছিল।’</p> <p>আমরা ভেবেছিলাম চেষ্টা করে দেখি যদি আমি সাহায্য করতে পারি—মারে বলেন। ডিসেম্বরে স্পেনে সময় কাটানোর সময় জোকোভিচকে কোচিং করাতে রাজি হয়েছিলেন তিনি।</p> <p>জোকোভিচ-মারে দুজনই টেনিসের মহান তারকা। জোকোভিচ ২৪টি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপার রেকর্ডধারী, যার মধ্যে ১০টিই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে। ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সপ্তাহ নম্বর ওয়ান র‌্যাংকিংয়ে থাকার রেকর্ডও তার। মারেও এক সময় নম্বর ওয়ান ছিলেন, তার তিনটি মেজর একক ট্রফি রয়েছে, ৮টি গ্র্যান্ড স্লাম রানার-আপ—যার মধ্যে পাঁচটি জোকোভিচের কাছে ফাইনালে হেরে, চারটি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ফাইনালে হেরে। তিনি একমাত্র টেনিস খেলোয়াড় যিনি দুটি একক অলিম্পিক সোনা পদক জিতেছেন।</p> <p>গত মার্চে কোচ গোরান ইভানিসেভিচের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর আর কোনো স্থায়ী কোচ নিয়োগ করেননি জোকোভিচ।</p>