আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটারও বুমরাহ

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটারও বুমরাহ
ভারতের পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে বর্ষসেরা হয়েছেন বুমরাহ। ছবি : ক্রিকইনফো

সময়টা যখন জাসপ্রিত বুমরাহর তখন সেরার স্বীকৃতি ধরা দেবে, সেটাই স্বাভাবিক। গতকাল বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পুরস্কার পাওয়া বুমরাহ আজ আরো বড় স্বীকৃতি পেয়েছেন। প্রথমবারের মতো বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছেন। ২০২৪ সালের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে ভারতীয় পেসারের হাতে উঠেছে মর্যাদাপূর্ণ ‘স্যার গ্যারফিল্ড সোবার্স ট্রফি’।

ভারতের পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে এই পুরস্কার জিতলেন বুমরাহ। তার আগে জিতেছেন রাহুল দ্রাবিড় (২০০৪), শচীন টেন্ডুলকার (২০১০), রবিচন্দ্রন অশ্বিন (২০১৬) ও বিরাট কোহলি (২০১৭ ও ২০১৮)। ৩১ বছর বয়সী পেসার ভারতের চার কিংবদন্তির পাশে বসতে পুরস্কার জিততে পেছনে ফেলেছেন ট্রাভিস হেড, জো রুট ও হ্যারি ব্রুককে।

আরো পড়ুন
ওয়ান্ডারার্সকে উড়িয়ে নক আউট পর্বে বসুন্ধরা কিংস

ওয়ান্ডারার্সকে উড়িয়ে নক আউট পর্বে বসুন্ধরা কিংস

 

সোনায় মোড়ানো এক বছর কাটিয়েছেন বুমরাহ।

২০২৪ সালে ১৩ টেস্টে ৭১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। যা গেল বছরের সর্বোচ্চ। দুইয়ে থাকা ইংল্যান্ডের পেসার গাস অ্যাটকিনসনের চেয়ে ১৯ উইকেট বেশি ৩১ বছর বয়সী পেসারের। ভারতীয় পেসার গত বছরের উইকেটে রেকর্ডও গড়েছেন।
টেস্ট ইতিহাসের এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে কম বোলিং গড়ে ৭০ উইকেট নেওয়া বোলার তিনি। গত বছর ১৪.৯১ গড়ে উইকেট নিয়েছেন তিনি।

আরো পড়ুন
টেস্টে প্রথমবার বর্ষসেরা বুমরাহ

টেস্টে প্রথমবার বর্ষসেরা বুমরাহ

 

এক পঞ্জিকাবর্ষে ৭০ উইকেট নেওয়া বিশ্বের ১৭তম বোলার বুমরাহ। আর ভারতীয়দের মধ্যে চতুর্থ। তার আগে এই কীর্তি গড়েছেন কপিল দেব, অনিল কুম্বলে ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

২০-এর কম গড়ে ২০০ টেস্ট উইকেট নেওয়া বিশ্বের প্রথম বোলারের রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। 

দীর্ঘদিন পিঠের চোটে ভোগা বুমরাহ ২০২৩ সালের আগস্টে মাঠে ফিরে ব্যাটারদের শিরদাঁড়া দিয়ে শীতল পানি নামিয়েছেন। সর্বশেষ বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজই তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। দল হিসেবে ভারত প্রতিপক্ষদের কাছে ধরাশায়ী হলেও অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের ‘যম’ হয়ে দাঁড়ান বুমরাহ। ৩-১ ব্যবধানে হারা সিরিজে ৩২ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হন তিনি। তার আগে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে ১৯ উইকেট নেন বুমরাহ।

আরো পড়ুন
নেইমারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল আল হিলালের

নেইমারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল আল হিলালের

 

২০২৪ সালে দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইসিসির কোনো ট্রফি জিতেছে ভারত। দ্বিতীয়বারের মতো সেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতাতে অনন্য অবদান রেখেছেন বুমরাহ। টুর্নামেন্টে ১৫ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টসেরাও হয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে মেয়েদের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন অ্যামেলিয়া কার। ‘র‍্যাচেল হেহো ফ্লিন্ট ট্রফি’ জেতা প্রথম নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটার এই অলরাউন্ডার। সেরার লড়াইয়ে হারিয়েছেন শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু, দক্ষিণ আফ্রিকার লরা উলভার্ট, অস্ট্রেলিয়ার অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডকে। 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বাটলারের বিরুদ্ধে মেয়েদের যত অভিযোগ

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
বাটলারের বিরুদ্ধে মেয়েদের যত অভিযোগ
খেলোয়াড় আর কোচের মাঝে এখন শক্ত এক দেয়াল। ছবি : বাফুফে

নেপালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলা চলাকালীন সময় কোচ পিটার বাটলার ও বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। মাঠের বাইরের এমন দ্বন্দ্বের পরও অবশ্য দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন হলেও দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব মিটে যায়নি। কোচ বাটলার দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পাওয়ায় এবার সেই দ্বন্দ্ব আরো চরমে উঠেছে।

এতটাই যে, ইংলিশ কোচ দায়িত্বে থাকলে গণ-অবসর নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন সাবিনা খাতুন-মনিকা চাকমরা।

কোচ বাটলারের বিরুদ্ধে সাবিনা-মাসুরা পারভীদের লিখিত অভিযোগ নিচে তুলে ধরা হলো-

পাকিস্তানের বিপক্ষে কোচের সিনিয়র ফুটবলারদের বাদ দেয়া একাদশ যে ভুল ছিল, সেটা সবাই দেখেছে। কারণ ওই ম্যাচ আমরা হারতে হারতে কোনরকমে ড্র করেছিলাম। ভারতের বিপক্ষে আমাদের চাপে তিনি একাদশ বদলাতে বাধ্য হয়েছিলেন এবং সিনিয়র সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দল ভারতকে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হয়েছিল।

এটাই প্রমাণ করে আমরাই সঠিক ছিলাম। কিন্তু ওই ম্যাচে নামার আগেই জানতাম কোচের বিরুদ্ধে একরম বিদ্রোহ এই একাদশ তৈরী হয়েছিল। আমরা যদি ব্যর্থ হই, বাফুফে কর্তারা এবং দেশের মানুষের কাছে আমরা ভিলেন হয়ে যেতাম। ওই ম্যাচেই আমাদের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যেত।
এটা বুঝেও আমরা ঝুঁকি নিয়েছিলাম দেশের হয়ে লড়াই করার জন্য দেশের জন্য আমাদের এই লড়াই ও আবেগ, ভালোবাসার মূল্য ফুটবল ফেডারেশন থেকে আশা করেছিলাম।
সেটা হয়নি। বরং সাফ থেকে ফেরার পর যা হলো, তার জন্য আমরা মোটেই প্ৰস্তুত ছিলাম না। এই বিতর্কিত ব্যক্তির সঙ্গে আরও দুই বছরের চুক্তি নবায়ন করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। এই সিদ্ধান্তে মেয়েদের দাবি-দাওয়াকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করা হয়েছে।
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে বাটলারকে কেন আমরা কোচ হিসেবে চাই না? সেটা জানাতেই আমাদের আজকের প্রয়াশ।

১. খেলোয়াড়দের সঙ্গে নেপালে ঘটে যাওয়া এতো এতো ঘটনার পরও কোচ পারতেন বিষয়টি সেখানেই সমাধান করতে। সাফ জিতে আসার পরপরই তিনি পারতেন আমাদের সঙ্গে বসতে। সেটা না করে বরং আমাদের ইগনোর করেছেন প্রতিনিয়ত। 

সত্যি বলতে আমরা অবাক হয়েছিলাম এবং অপেক্ষায় ছিলাম যে উনি কখন মিটিং ডাকবেন। কিন্তু ডাকেননি। বাংলাদেশে এসে বাফুফের এক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমাদের ইস্যু নিয়ে কোচের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ওনাকে ওনার ব্যবহার আচার সম্পর্কে সতর্ক হতে বলেন। আমাদের প্রশ্ন হলো ওনাকে কেন সতর্ক করতে হবে, ওনার নিজের কি কোনো জ্ঞানবুদ্ধি নেই যে ওনার কি করা উচিৎ, কি করা উচিৎ নয়?

২. বাংলাদেশের মহিলা ফুটবলে এই ঘটনা একেবারেই প্রথম। একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কোচ ভুলে যান যে তাঁর হাতে ৫টা পরিবর্তন আছে! সাফের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে আমরা যখন ১-০ গোলে হারার পথে, তখন হেড কোচ সানজিদাকে নামানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু নামানোর সময় দেখেন খেলোয়াড় বদলের কাগজ তার কাছে নেই। আগে তিনটা পরিবর্তন করায় সঙ্গে থাকা তিনটি কাগজই শেষ হয়ে গেছে! তখন ম্যাচের ৯৫ মিনিট চলে। যেখানে বাংলাদেশ ১-০ গোলে পিছিয়ে রয়েছে। তখনও বাংলাদেশের হাতে ২টা খেলোয়াড় পরিবর্তনের অপশন ছিলো, কিন্তু কাগজ ছিলো না। ব্যপারটা খুবই লজ্জাজনক ও হাস্যকর। এতো বড় ডিগ্রিধারী কোচের থেকে এটা আশা করা যায় না।


৩. ওই ম্যাচেই কৃষ্ণাকে নামানোর আগ মূহুর্তে এক সহকারী কোচ তাঁর জার্সির নাম্বার জিজ্ঞেস করলে আরেকজন টিমমেট বলে দেয়। কৃষ্ণা তখনও সেভগার্ড পড়ায় ব্যাস্ত থাকায় দ্বিতীয়বার আবার জিজ্ঞেস করেন জার্সি নাম্বার। আবারও অন্য টিমমেট বলে দেওয়ায় কোচ রেগে কৃষ্ণার দিকে তেড়ে আসেন। মামুলি জার্সি নাম্বার না বলায় এরকম আচরণ কোনো কোচের পক্ষে সম্ভব কিনা আমাদের জানা নেই । 

৪. কেবল মাঠ নয়, মাঠের বাইরেও প্রতিনিয়ত কোচ আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। আমাদের নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করেন। দলের অভ্যন্তরে খেলোয়াড়দের মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়রের কথা বলে বিভাজনের সৃষ্টি করেছেন। মেয়েদের পোশাক-আশাক নিয়ে কথা বলতে ছাড়েননি। বডি শেমিংও করেছেন। মেয়েদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেন, বাজে মন্তব্যও করেন কোচ। আমাদের বিরুদ্ধে কোচ সবসময় শৃঙক্ষলাভঙ্গের অভিযোগ করেন। এটা যে ডাহা মিথ্যা কথা, তার বড় প্রমাণ হলো, অতীতের কোন কোচ মেয়েদের শৃঙক্ষলা নিয়ে কখনো কোন প্রশ্ন তুলতে পারেননি । পিটাররে এরকম উল্টাপাল্টা আরচণের বিষয়গুলো সহকারী কোচর্ও জানেন। কিন্তু তারা চাকুরি যাওয়ার ভয়ে মুখ খোলেন না ৷ 


৫. আমাদের সঙ্গে কোচ যা যা ঘটিয়েছেন, তা জানিয়ে আমরা বাফুফের মাননীয় সভাপতির কাছে গত বুধবার একটি চিঠি দিয়েছি। যে চিঠিতে আমরা লিখেছি- আমরা একটি জটিল বিষয় আপনার নজরে আনতে লিখছি। কোচ পিটারের আচরণ দলের মধ্যে মারাত্মক উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, যা একটি বিষাক্ত পরিবেশ তৈরী করেছে ক্যাম্পে। এটা আমাদের খেলোয়াড়দের মানসিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ করছে। গত ছয় মাসে, পিটারের কাছ থেকে আমাদের অনেক গালিগালাজ শুনতে হয়েছে। আমাদের মানসিক হয়রানি এবং উৎপীড়নের একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছেন কোচ। তার কারণে ক্যাম্পে একটি আতঙ্ক বিরাজ করছে। খেলোয়াড়রাও তাতে ভীষণ অসম্মানিত এবং হতাশার মধ্যে সময় কাটাচ্ছে। খেলোয়াড়রা, বিশেষ করে দলের সিনিয়র সদস্যরা, ধারাবাহিক বৈষম্য এবং অন্যায় আচরণের শিকার হচ্ছেন। কোচের এসব আচরণ কেবল অবমাননাকর নয়, দলগতভাবে পারফরম করার ক্ষেত্রেও বাধা সৃষ্টি করেছে। এটা মানতে হবে যে, কোচিংয়ে শুধুমাত্র কৌশল এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকলেই হয় না বরং পারস্পরিক সম্মান, বিশ্বাস এবং সমর্থনের পরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষমতাও কোচের থাকতে হয়। দুর্ভাগ্যবশত, কোচ পিটারের নেতৃত্বে, খেলোয়াড়রা বিচ্ছিন্ন এবং হতাশাগ্রস্ত বোধ করে, যা একটি বাজে সংস্কৃতি তৈরি করেছে। 

৬. আমরা কোন অবস্থাতেই দলে বিভাজন চাই না। তাই বিভাজন সৃষ্টি করা কোচকেও আমাদের প্রয়োজন নেই। কোচ পিটার দলের কিছু জুনিয়র ফুটবলারকে গুটি হিসেবে ব্যবহার করে দলের অভ্যন্তরে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছেন। কিছু মেয়েদের ব্যবহার করে মিথ্যাচারও করছেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন, আমরা সিনিয়ররা নাকী জুনিয়র মেয়েদের চাপ দিচ্ছি যাতে তার অধীনে অনুশীলনে অংশ না নেয়। আমরা পরিস্কার জানাতে চাই, আমাদের পক্ষ থেকে কাউকে কোন প্রকার চাপ প্রয়োগ করা হয়নি। ভালোমন্দের বিচার করার বয়স-জ্ঞান ক্যাম্পে থাকা প্রতিটি মেয়ের হয়েছে। সুতরাং সবাই নিজ নিজ সিদ্ধান্তেই তাদের অবস্থান বেছে নিয়েছে।

পরিশেষে বলতে চাই, আমরা আশা করছি বাফুফের মাননীয় সভাপতি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে আশু সমাধানের ব্যবস্থা নেবেন। এর আগ পর্যন্ত আমরা পিটারের অধীনে কোন ট্রেনিং ক্যাম্পে অংশ নেবো না। যেহেতু গত অক্টোবরের পর কোন ফুটবলারের সঙ্গে বাফুফে কোন চুক্তি নবায়ন করেনি, তাই আইনত বাফুফে আমাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রাখে না। তারপরও যদি সেরকম কিছু করার সিদ্ধান্ত হয় এবং পিটার বাটলারকেই রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্তে বাফুফে অনড় থাকে, তবে আমরা একযোগে পদত্যাগ করতে বাধ্য হব। ভেবে নিব, দেশের নারী ফুটবলে আমাদের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে।

সবাইকে ধন্যবাদ

মন্তব্য

খাজা-স্মিথের টেস্টটা নিজের করে নিয়েছেন ইংলিসও

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
খাজা-স্মিথের টেস্টটা নিজের করে নিয়েছেন ইংলিসও
অভিষেকে সেঞ্চুরি পেয়েছেন ইংলিস। ছবি : ক্রিকইনফো

দেড় দিনেরও বেশি সময় অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারদের হাতে মার খেয়েছেন শ্রীলঙ্কার বোলাররা। নির্দিষ্ট করে বললে ডাবল সেঞ্চুরিয়ান উসমান খাজা ও দুই সেঞ্চুরিয়ান স্টিভেন স্মিথ-জশ ইংলিসের বল বাউন্ডারি থেকে কুড়িয়ে আনতে আনতে ক্লান্ত হন শ্রীলঙ্কার ফিল্ডাররা। দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে তাই কিছুটা কষ্ট প্রতিপক্ষকে দিতে পারতেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা।

তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন দিমুথ করুণারত্নে-অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসরা।

কোনো উইকেট না হারিয়ে সামান্যতম হতাশা ফিরিয়ে দিতে পারত তারা। উল্টো নিজেরাই ৪৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে শ্রীলঙ্কা। দিন শেষে দিনেশ চান্ডিমালের ৯ রানের বিপরীতে ১৩ রানে অপরাজিত আছেন কামিন্দু মেন্ডিস।

গল টেস্টে প্রতিপক্ষের করা প্রথম ইনিংসের ৬৫৪ রানে পিষ্ট হওয়া শ্রীলঙ্কা নিজেদের ইনিংস শুরু করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায়।

দলীয় ও ব্যক্তিগত ৭ রানে ম্যাথিউ কুনেম্যানের শিকার হন ওপেনার ওশাদা ফার্নান্দো। সতীর্থর দেখা দেখি সমান ৭ রানে ফেরেন আরেক ওপেনার করুণারত্নেও। দলীয় ১৫ রানে ২ উইকেট হারানো দলে হাল ধরতে এসে রান দ্বিগুণ হতেই ফিরে যান অভিজ্ঞ ম্যাথুসও। পরে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬১০ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শেষ করেছে স্বাগতিকেরা।

এর আগে প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও রাজত্ব করেন খাজা-স্মিথ। তাদের সঙ্গে পরে যোগ দেন অভিষিক্ত ইংলিসও। ২ উইকেটে ৩৩০ রান নিয়ে দিন শুরু করতে নামা খাজা-স্মিথ আজ যখন আলাদা হন তখন তাদের জুটির রান দাঁড়ায় ২৬৬। যা এশিয়ার মাটিতে যেকোনো উইকেট জুটিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ। আর তৃতীয় উইকেট অবশ্যই সর্বোচ্চ।

আরো পড়ুন
বাটলার থাকলে গণ-অবসরের হুমকি মেয়েদের

বাটলার থাকলে গণ-অবসরের হুমকি মেয়েদের

 

প্রথম দিন অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে ১০০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করা স্মিথ আজ আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ১৪১ রান করে। ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১২ চার ও ২ ছক্কায়। স্মিথ আউট হলেও খাজার ব্যাটের শাসন চলতেই থাকে। যখন থামল ততক্ষণে রেকর্ড গড়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিটা যে শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথম কোনো অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারের। ২৩২ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১৬ চার ও ১ ছক্কায়।

শুধু স্মিথ-খাজার নয়, গল টেস্ট ইংলিসেরও। অভিষেক টেস্ট ইনিংস খেলতে নেমে যে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দিয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। অভিষেকে সেঞ্চুরি পাওয়া অস্ট্রেলিয়ার ২১তম ব্যাটার তিনি। দুর্দান্ত সেঞ্চুরিটা আবার গ্যালারিতে বসেই দেখেছেন তার বাবা-মা। একজন ক্রিকেটারে জন্য যা সত্যিই স্মরণীয় এক মুহূর্ত। এমন টেস্টটি তাই ইংলিসের না হয়ে পারেই না। ১০ চার ও ১ ছক্কায় ১০২ রানে থেমেছেন তিনি।

আরো পড়ুন
ম্যাচের নায়ক নাঈম হলেও ভক্তের হৃদয় জিতেছেন মিরাজ

ম্যাচের নায়ক নাঈম হলেও ভক্তের হৃদয় জিতেছেন মিরাজ

 

অস্ট্রেলিয়ার ৬ উইকেটে ৬৫৪ রানের বিশাল সংগ্রহে ৪৬ রানের অবদান রেখেছেন অ্যালেক্স ক্যারিও। এশিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ সংগ্রহ। প্রতিপক্ষের হয়ে ৩ টি করে উইকেট নিয়েছেন দুই স্পিনার প্রবাত জয়াসুরিয়া ও জেফ্রি ভ্যান্ডারসে।

মন্তব্য

বাটলার থাকলে গণ-অবসরের হুমকি মেয়েদের

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
বাটলার থাকলে গণ-অবসরের হুমকি মেয়েদের
বাফুফে ভবনে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বাংলাদেশের মেয়েদের কথা বলার মুহূর্ত। ছবি : সংগৃহীত

অনেকদিন ধরেই কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে আসছেন বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। তার অধীনে না খেলার বিষয়টি বলে আসছিলেন সাবিনা খাতুন-মাসুরা আক্তাররা। কিন্তু বাফুফে সেই বাটলারকেই ২ বছরের জন্য আবার কোচ করেছে।

নতুন মেয়াদে দায়িত্ব পেয়ে বাংলাদেশে এসে তাই অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন কোচ বাটলার।

কিন্তু তার জিম সেশনে অংশ নেননি জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়। ইংলিশ কোচের অধীনে কোনো ক্যাম্প করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এমনকি বাটলারকে কোচ হিসেবে দায়িত্বে রাখলে একযোগে অবসর নেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন সাবিনা-মনিকা চাকমারা।

মেয়েরা অনুশীলন করবেন, তবে দেশি কোচের অধীনে।

আজ বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে মাসুরা পারভীন বলেছেন, ‘আমরা একবারও বলিনি অনুশীলন করব না। আমরা বলেছি, ওই কোচের সঙ্গে অনুশীলন করব না। আমরা বলেছিলাম, উনার শিডিউলে অনুশীলন দেশি কোচরা করাক। উনি যেহেতু আসছে, বিশ্রামে থাকুক।
সভাপতি ফিরলে আমরা আলোচনায় বসব।’

মেয়েরা অনুশীলনের চেয়ে বেশি সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে মনোযোগী থাকেন এমন অভিযোগ করেছিলেন বাটলার। তার সেই অভিযোগের বিষয়ে মাসুরা বলেছেন, ‘আমরা যেহেতু ফেসবুকে এক্টিভ থাকি, আমাদের কাছে ফোন থাকে। আমাদের কারো কাছে প্রমাণের, বলার কিছু নেই। আমরা ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত জানিয়েছি, এই কোচের অধীনে অনুশীলন করব না।

এতকিছু ভেঙে বলা সম্ভব না। এই কোচের সঙ্গে কাজ করব না। কোচ চেঞ্জ করলে আমরা অনুশীলন করব।’

খেলোয়াড়দের নিয়ে বাটলার কটুক্তি করায় তা মেনে নিতে পারছেন না সাবিনা। নিজেদের আত্মসম্মানে আঘাত করেছে এমনটা জানিয়ে  অধিনায়ক বলেছেন, ‘একটা বিষয়ই বলার, নিজেদের প্রমাণের কিছু নেই। ব্যাপারটা আত্মসম্মানের। (এরপর আবেগপ্রবণ হয়ে যান সাবিনা)। আমরা দেশের জন্য খেলি। সেই তাদের নিয়ে কটুক্তি করছে, মেয়েদের জন্য এটা অসম্ভব।’

বাটলারকে সম্মানের সঙ্গে বিদায় জানিয়ে দেশের হয়ে আবারও লড়তে চান সাবিনা। তিনি বলেছেন, ‘পেশাদারিত্ব আমাদের ধর্ম। এটা আমাদের মেনে চলতেই হবে। ব্যাপার হচ্ছে, মেয়েদের প্রমাণ করার কিছু নেই। সবকিছু বলে বলে বোঝানো যায় না। আমরা কিছু একটা নিয়ে বার বার অভিযোগ করছি বিধায় কিছু একটা আছে সেখানে। আমরা এই জায়গায় কমফোর্টেবল না। উনি প্রোফাইল ভারি কোচ সেটা নিয়ে সন্দেহ নেই। আপনাদের কাছে কি মনে হয়, কোচ এবং আমাদের উভয় দিকে কি সফট কর্নার থাকবে? অবশ্যই থাকবে না। আমরা কোচকে সম্মান জানিয়ে নিজেদের সম্মান নিয়ে এখান থেকে যেতে চাই।’

বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়ে কৃষ্ণা বলেছেন, ‘আমাদের সমস্যা কিন্তু সাফের আগেই থেকে সমস্যা চলছিল। এটা নিয়ে আমাদের কিরণ আপা ও সাবেক প্রেসিডেন্টককে বলা হয়েছে। সাফে যাওয়ার আগে বলেছিল, কোচ চেঞ্জ করা হবে। এখানকার স্থানীয় কোচেরা সবই জানে, কিন্তু এখন মুখ খুলছে না। এখন আমাদের যদি খেলা ধরে রাখতে হয় তাহলে এই কাজ ছাড়া উপায় নেই।’

খেলোয়াড়দের নিয়ে বাটলার কটূক্তি করেন এমন অভিযোগ তুলে কৃষ্ণা আরও বলেছেন, ‘আমরা মাঠে খুবই মানসিক চাপে থাকি। বিশেষ করে উনি হচ্ছে আমাদের অঙ্গভঙ্গি...খুব সকালে উঠতে হয় আমাদের, একটু ক্যাজুয়াল থাকতেই পারি। কিন্তু উনি আমাদের নিয়ে কটুক্তি করে। যেটার কারণে আমরা হতাশ হয়ে যাই।’

নেপালে দ্বিতীয়বার নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের সময় বাটলার জানিয়েছিলেন, খেলোয়াড়রা শৃঙ্খল নন। কোচের সেই অভিযোগের বিষয়ে মারিয়া মান্দা বলেছেন, ‘আমরা যদি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতাম তাহলে এত বছর ধরে বয়সভিত্তিক, জাতীয় দলে খেলে আসতে পারতাম না।’

মন্তব্য

ম্যাচের নায়ক নাঈম হলেও ভক্তের হৃদয় জিতেছেন মিরাজ

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
ম্যাচের নায়ক নাঈম হলেও ভক্তের হৃদয় জিতেছেন মিরাজ
স্বপ্নের ক্রিকেটার মিরাজকে পেয়ে জড়িয়ে ধরেছেন ভক্ত। ছবি : মীর ফরিদ, মিরপুর থেকে

মিরপুরে আজ দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন নাঈম শেখ। রংপুর রাইডার্স ও খুলনা টাইগার্সের ম্যাচের নায়ক তাই নিঃসন্দেহে বাঁহাতি ব্যাটার। ব্যাটে চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি হাঁকিয়ে নাঈম দর্শক-সমর্থকদের বিমোহিত করলেও এক ভক্তের হৃদয় জয় করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

তা না হলে একের পর এক বিতর্কিত ঘটনায় সমালোচিত হওয়া এবারের বিপিএলের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী ডিঙিয়ে মিরাজকে স্পর্শ করার এমন দুঃসাহস দেখাতেন না ওই দর্শক।

যেন ভালোবাসার মানুষকে ছুঁইতে তিনি শাস্তি পেতেও রাজি। শাস্তি পাবেন, এমনটা জানার পরেও তাই খেলা চলাকালীন সময় অধিনায়ক মিরাজকে স্পর্শ করতে মাঠে ঢুকে পড়েন সেই দর্শক।

33
মিরাজের সেই ভক্তকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাচ্ছেন পুলিশ-নিরাপত্তারক্ষীরা। ছবি : কালের কণ্ঠ, মিরপুর থেকে 

খুলনার বোলিং ইনিংসের ১১তম ওভারে মাঠে ঢুকে পড়েন সেই দর্শক।

বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনির করা ওভারটির সময় স্প্রিন্টারদের মতো দৌড়ে গিয়ে স্বপ্নের ক্রিকেটারকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। মিরাজও ভক্তের শরীরে দুই হাত দিয়ে আগলে ধরেন। ভক্ত-খেলোয়াড়ের এমন আনন্দঘন মুহূর্তেই হাজির নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশ। পরে কয়েকজন মিলে সেই ভক্তকে মাঠের বাইরে নিয়ে যান।

আরো পড়ুন
রংপুরকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল খুলনা

রংপুরকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল খুলনা

 

ভক্তের এমন ভালোবাসার দিনে ম্যাচও জিতেছে মিরাজের দল। ৪৬ রানের জয়ে প্লে-অফের আশাও বাঁচিয়ে রেখেছে খুলনা। এ জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান সেঞ্চুরিয়ান নাঈমের। তার অপরাজিত ১১১ রানের ইনিংসেই ২২০ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল খুলনা। পরে সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭৪ রানে থেমে যায় রংপুর।

বিপিএলের ইতিহাসে সেঞ্চুরি পাওয়া বাংলাদেশের দশম ব্যাটার নাঈম। ১৭৯.০৩ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৮ ছক্কা ও ৭ চারে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ