আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটারও বুমরাহ

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটারও বুমরাহ
ভারতের পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে বর্ষসেরা হয়েছেন বুমরাহ। ছবি : ক্রিকইনফো

সময়টা যখন জাসপ্রিত বুমরাহর তখন সেরার স্বীকৃতি ধরা দেবে, সেটাই স্বাভাবিক। গতকাল বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পুরস্কার পাওয়া বুমরাহ আজ আরো বড় স্বীকৃতি পেয়েছেন। প্রথমবারের মতো বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছেন। ২০২৪ সালের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে ভারতীয় পেসারের হাতে উঠেছে মর্যাদাপূর্ণ ‘স্যার গ্যারফিল্ড সোবার্স ট্রফি’।

ভারতের পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে এই পুরস্কার জিতলেন বুমরাহ। তার আগে জিতেছেন রাহুল দ্রাবিড় (২০০৪), শচীন টেন্ডুলকার (২০১০), রবিচন্দ্রন অশ্বিন (২০১৬) ও বিরাট কোহলি (২০১৭ ও ২০১৮)। ৩১ বছর বয়সী পেসার ভারতের চার কিংবদন্তির পাশে বসতে পুরস্কার জিততে পেছনে ফেলেছেন ট্রাভিস হেড, জো রুট ও হ্যারি ব্রুককে।

আরো পড়ুন
ওয়ান্ডারার্সকে উড়িয়ে নক আউট পর্বে বসুন্ধরা কিংস

ওয়ান্ডারার্সকে উড়িয়ে নক আউট পর্বে বসুন্ধরা কিংস

 

সোনায় মোড়ানো এক বছর কাটিয়েছেন বুমরাহ।

২০২৪ সালে ১৩ টেস্টে ৭১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। যা গেল বছরের সর্বোচ্চ। দুইয়ে থাকা ইংল্যান্ডের পেসার গাস অ্যাটকিনসনের চেয়ে ১৯ উইকেট বেশি ৩১ বছর বয়সী পেসারের। ভারতীয় পেসার গত বছরের উইকেটে রেকর্ডও গড়েছেন।
টেস্ট ইতিহাসের এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে কম বোলিং গড়ে ৭০ উইকেট নেওয়া বোলার তিনি। গত বছর ১৪.৯১ গড়ে উইকেট নিয়েছেন তিনি।

আরো পড়ুন
টেস্টে প্রথমবার বর্ষসেরা বুমরাহ

টেস্টে প্রথমবার বর্ষসেরা বুমরাহ

 

এক পঞ্জিকাবর্ষে ৭০ উইকেট নেওয়া বিশ্বের ১৭তম বোলার বুমরাহ। আর ভারতীয়দের মধ্যে চতুর্থ। তার আগে এই কীর্তি গড়েছেন কপিল দেব, অনিল কুম্বলে ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

২০-এর কম গড়ে ২০০ টেস্ট উইকেট নেওয়া বিশ্বের প্রথম বোলারের রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। 

দীর্ঘদিন পিঠের চোটে ভোগা বুমরাহ ২০২৩ সালের আগস্টে মাঠে ফিরে ব্যাটারদের শিরদাঁড়া দিয়ে শীতল পানি নামিয়েছেন। সর্বশেষ বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজই তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। দল হিসেবে ভারত প্রতিপক্ষদের কাছে ধরাশায়ী হলেও অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের ‘যম’ হয়ে দাঁড়ান বুমরাহ। ৩-১ ব্যবধানে হারা সিরিজে ৩২ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হন তিনি। তার আগে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে ১৯ উইকেট নেন বুমরাহ।

আরো পড়ুন
নেইমারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল আল হিলালের

নেইমারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল আল হিলালের

 

২০২৪ সালে দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইসিসির কোনো ট্রফি জিতেছে ভারত। দ্বিতীয়বারের মতো সেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতাতে অনন্য অবদান রেখেছেন বুমরাহ। টুর্নামেন্টে ১৫ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টসেরাও হয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে মেয়েদের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন অ্যামেলিয়া কার। ‘র‍্যাচেল হেহো ফ্লিন্ট ট্রফি’ জেতা প্রথম নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটার এই অলরাউন্ডার। সেরার লড়াইয়ে হারিয়েছেন শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু, দক্ষিণ আফ্রিকার লরা উলভার্ট, অস্ট্রেলিয়ার অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডকে। 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বাটলার থাকলে গণ-অবসরের হুমকি মেয়েদের

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
বাটলার থাকলে গণ-অবসরের হুমকি মেয়েদের
বাফুফে ভবনে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বাংলাদেশের মেয়েদের কথা বলার মুহূর্ত। ছবি : সংগৃহীত

অনেক দিন ধরেই কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে আসছে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। তার অধীনে না খেলার বিষয়টি বলে আসছিলেন সাবিনা খাতুন-মাসুরা আক্তাররা। কিন্তু বাফুফে সেই বাটলারকেই ২ বছরের জন্য আবার কোচ করেছে।

নতুন মেয়াদে দায়িত্ব পেয়ে বাংলাদেশে এসে তাই অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন কোচ বাটলার।

কিন্তু তার জিম সেশনে অংশ নেননি জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়। ইংলিশ কোচের অধীনে কোনো ক্যাম্প করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এমনকি বাটলারকে কোচ হিসেবে দায়িত্বে রাখলে একযোগে অবসর নেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন সাবিনা-মনিকা চাকমারা।

আজ বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে মাসুরা পারভীন বলেছেন, ‘আমরা একবারও বলিনি অনুশীলন করব না।

আমরা বলেছি, ওই কোচের সঙ্গে অনুশীলন করব না। আমরা বলেছিলাম, উনার শিডিউলে অনুশীলন দেশি কোচরা করাক। উনি যেহেতু আসছেন, বিশ্রামে থাকুক। সভাপতি ফিরলে আমরা আলোচনায় বসব।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিষয়ে মাসুরা বলেছেন, ‘আমরা যেহেতু ফেসবুকে অ্যাক্টিভ থাকি, আমাদের কাছে ফোন থাকে। আমাদের কারো কাছে প্রমাণের, বলার কিছু নেই। আমরা ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত জানিয়েছি, এই কোচের অধীনে অনুশীলন করব না। এত কিছু ভেঙে বলা সম্ভব না। এই কোচের সঙ্গে কাজ করব না।

কোচ চেঞ্জ করলে আমরা অনুশীলন করব।’

অধিনায়ক সাবিনা বলেছেন, ‘একটা বিষয়ই বলার, নিজেদের প্রমাণের কিছু নেই। ব্যাপারটা আত্মসম্মানের। (এরপর আবেগপ্রবণ হয়ে যান সাবিনা)। আমরা দেশের জন্য খেলি। সেই তাদের নিয়ে কটূক্তি করছে, মেয়েদের জন্য এটা অসম্ভব।’

বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়ে কৃষ্ণা রাণী সরকার বলেছেন, ‘আমাদের সমস্যা কিন্তু সাফের আগে থেকেই সমস্যা চলছিল। এটা নিয়ে আমাদের কিরণ আপা ও সাবেক প্রেসিডেন্টককে বলা হয়েছে। সাফে যাওয়ার আগে বলেছিলেন, কোচ চেঞ্জ করা হবে। এখানকার স্থানীয় কোচেরা সবই জানেন, কিন্তু এখন মুখ খুলছেন না। এখন আমাদের যদি খেলা ধরে রাখতে হয় তাহলে এই কাজ ছাড়া উপায় নেই।’

মন্তব্য

ম্যাচের নায়ক নাঈম হলেও ভক্তের হৃদয় জিতেছেন মিরাজ

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
ম্যাচের নায়ক নাঈম হলেও ভক্তের হৃদয় জিতেছেন মিরাজ
স্বপ্নের ক্রিকেটার মিরাজকে পেয়ে জড়িয়ে ধরেছেন ভক্ত। ছবি : মীর ফরিদ, মিরপুর থেকে

মিরপুরে আজ দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন নাঈম শেখ। রংপুর রাইডার্স ও খুলনা টাইগার্সের ম্যাচের নায়ক তাই নিঃসন্দেহে বাঁহাতি ব্যাটার। ব্যাটে চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি হাঁকিয়ে নাঈম দর্শক-সমর্থকদের বিমোহিত করলেও এক ভক্তের হৃদয় জয় করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

তা না হলে একের পর এক বিতর্কিত ঘটনায় সমালোচিত হওয়া এবারের বিপিএলের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী ডিঙিয়ে মিরাজকে স্পর্শ করার এমন দুঃসাহস দেখাতেন না ওই দর্শক।

যেন ভালোবাসার মানুষকে ছুঁইতে তিনি শাস্তি পেতেও রাজি। শাস্তি পাবেন, এমনটা জানার পরেও তাই খেলা চলাকালীন সময় অধিনায়ক মিরাজকে স্পর্শ করতে মাঠে ঢুকে পড়েন সেই দর্শক।

33
মিরাজের সেই ভক্তকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাচ্ছেন পুলিশ-নিরাপত্তারক্ষীরা। ছবি : কালের কণ্ঠ, মিরপুর থেকে 

খুলনার বোলিং ইনিংসের ১১তম ওভারে মাঠে ঢুকে পড়েন সেই দর্শক।

বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনির করা ওভারটির সময় স্প্রিন্টারদের মতো দৌড়ে গিয়ে স্বপ্নের ক্রিকেটারকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। মিরাজও ভক্তের শরীরে দুই হাত দিয়ে আগলে ধরেন। ভক্ত-খেলোয়াড়ের এমন আনন্দঘন মুহূর্তেই হাজির নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশ। পরে কয়েকজন মিলে সেই ভক্তকে মাঠের বাইরে নিয়ে যান।

আরো পড়ুন
রংপুরকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল খুলনা

রংপুরকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল খুলনা

 

ভক্তের এমন ভালোবাসার দিনে ম্যাচও জিতেছে মিরাজের দল। ৪৬ রানের জয়ে প্লে-অফের আশাও বাঁচিয়ে রেখেছে খুলনা। এ জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান সেঞ্চুরিয়ান নাঈমের। তার অপরাজিত ১১১ রানের ইনিংসেই ২২০ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল খুলনা। পরে সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭৪ রানে থেমে যায় রংপুর।

বিপিএলের ইতিহাসে সেঞ্চুরি পাওয়া বাংলাদেশের দশম ব্যাটার নাঈম। ১৭৯.০৩ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৮ ছক্কা ও ৭ চারে।

মন্তব্য

রংপুরকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল খুলনা

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
রংপুরকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল খুলনা
সেঞ্চুরি করার পথে রিভার্স সুইপ নাঈমের। ছবি : মীর ফরিদ, মিরপুর থেকে

লক্ষ্যটা বড় হওয়ায় ইনিংসের শুরুতেই বড় জুটি এনে দিতে হতো রংপুর রাইডার্সের দুই ওপেনারকে। সেটা পারেননি তৌফিক খান-সৌম্য সরকার। ফলে ম্যাচের ফল যা হওয়ার কথা তা-ই হয়েছে। খুলনা টাইগার্সের কাছে ৪৬ রানে হেরেছে রংপুর।

আরো পড়ুন
নাঈমের সেঞ্চুরিতে খুলনার বিশাল পুঁজি

নাঈমের সেঞ্চুরিতে খুলনার বিশাল পুঁজি

 

বিপিএলে টানা চতুর্থ হার রংপুরের। অথচ টুর্নামেন্টের প্রথম ৮ ম্যাচে টানা জয়ে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছিল তারা। আজ গ্রুপের শেষ ম্যাচে জয়ের জন্য ২২১ রানের বিশাল লক্ষ্য পায় রংপুর। কিন্তু তাড়া করতে নেমে ৩৬ রানেই ২ উইকেট হারায় তারা।

তবে অপর প্রান্ত আগলে ধরে থাকেন ওপেনার সৌম্য। মাঝে সতীর্থদের সঙ্গে বেশ কটি ছোট ছোট জুটি গড়ে দলকে জয়ের আশা দেখাচ্ছিলেন তিনি।

তবে সতীর্থরা সৌম্যর সঙ্গে বড় জুটি গড়তে না পারায় জয়ের আশা ক্ষীণ হয়ে আসতে থাকে। যার ফলে শেষে শুধু পরাজয়ের ব্যবধানটাই কমাতে পারেন বাংলাদেশি ওপেনার।

এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলেন ৭৪ রানের ইনিংস। ১৫৪.১৬ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি সাজান ৫ ছক্কা ও ৬ চারে। খুলনার সেরা বোলার মুশফিক হাসান। গোড়ালির চোট কাটিয়ে প্রায় ৯ মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে নেমে ২৪ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন এই পেসার।

আরো পড়ুন
শুধু স্বপ্নই পূরণ করেননি, রেকর্ডও গড়েছেন খাজা

শুধু স্বপ্নই পূরণ করেননি, রেকর্ডও গড়েছেন খাজা

 

এ জয়ে শেষ চারে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা আরো উজ্জ্বল হয়েছে খুলনার।

১২ পয়েন্টে বর্তমানে ৪ নম্বরে তারা। শেষ ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে জিতলেই কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত হবে তাদের। খুলনার এই জয়ে বড় অবদান নাঈম শেখের। তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতেই ২২০ রানের সংগ্রহ পায় খুলনা। বিপিএলের ইতিহাসে বাংলাদেশের দশম ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি পাওয়া নাইম ৬২ বলে ১১১ রানের অপরাজিত ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৮ ছক্কা ও ৭ চারে।

মন্তব্য

শুধু স্বপ্নই পূরণ করেননি, রেকর্ডও গড়েছেন খাজা

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
শুধু স্বপ্নই পূরণ করেননি, রেকর্ডও গড়েছেন খাজা
ডবল সেঞ্চুরির উদযাপন করছেন খাজা। ছবি : ক্রিকইনফো

স্বপ্ন পূরণের খুব কাছে গিয়েও ডাবল সেঞ্চুরিটা পাননি উসমান খাজা। বলছি, ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৯৫ রানে অপরাজিত থাকার ইনিংসের কথা। সিডনি টেস্টে সেদিন ক্যারিয়ারের প্রথম ডবল সেঞ্চুরি করার দুর্দান্ত সুযোগই ছিল তার সামনে।

কিন্তু বেরসিক বৃষ্টি তা হতে দিল না।

তৃতীয় দিন পুরোটা নিজের পেটে পুড়ে নেওয়ার পর চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনও দুই দলের ক্রিকেটারদের ড্রেসিংরুমে থাকতে বাধ্য করে। দলের চিন্তা করে তাই অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ইনিংস ঘোষণা করে দিলেন। এতে ৫ রানের আক্ষেপ রয়েই গেল খাজার। সেই বছরেরই মার্চে ভারতে বিপক্ষে ১৮০ রানে আউট হয়ে যেন হতাশাটা আরো বাড়ে তার।

দুই বছর পর সেই আক্ষেপ এবার মেটালেন খাজা। সেটিও রেকর্ড গড়ে। গল টেস্টে পাওয়া তার ক্যারিয়ারের প্রথম ডবল সেঞ্চুরিটা আরেক দিক থেকে অস্ট্রেলিয়ার জন্যও প্রথম। প্রথম অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার হিসেবে শ্রীলঙ্কা মাটিতে ডবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন বাঁহাতি ব্যাটার।

এর আগের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা ছিল জাস্টিন ল্যাঙ্গারের। ২০০৪ সালে কলম্বোয় ১৬৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সাবেক বাঁহাতি ওপেনার।

ক্যারিয়ারের গোধূলিলগ্নে এসে কীর্তিটা গড়েছেন খাজা। ৩৮ বছর বয়সে সেঞ্চুরি করায় রেকর্ড বইয়ের পুরনো পাতাও এখন সামনে আসছে। অজিদের হয়ে তার চেয়ে বেশি বয়সে সেঞ্চুরি করেছেন একজন ব্যাটার।

আর সেই ব্যাটার হচ্ছে সর্বকালের অন্যতম সেরা। অনেকে অবশ্য স্যার ডন ব্র্যাডম্যানকে সেরাই মানেন। ১৯৪৬ সালে সিডনিতে ২৩৪ রানের ইনিংস খেলার দিন ব্র্যাডম্যানের বয়স ছিল ৩৮ বছর ১০৮ দিন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষ সেই ডবল সেঞ্চুরির পর অবশ্য বয়সের রেকর্ডটা আরো বাড়িয়ে নেন ভারতে বিপক্ষে। ১৯৪৮ সালে ২০১ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন ৩৯ বছর ১৪৯ দিনে।

তবে টেস্টে সবচেয়ে বেশি ডবল সেঞ্চুরির রেকর্ডটা এরিক রোয়ানের। ১৯৫১ সালে হেডিংলিতে ২৩৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রেকর্ডটা গড়ার দিন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারের বয়স ছিল ৪২ বছর ৬ দিন। ডবল সেঞ্চুরি করেই থামেননি খাজা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সব মিলিয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। ২৩২ রানে যখন ফিরলেন ততক্ষণে পেছনে পরে গেছে মাইকেল স্লাটারের ২১৯ রানের ইনিংস। ১৯৯৫ সালে ঘরের মাঠ ওয়াকায় খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ব্যাটার।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ