সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিলেন নুরুল হাসান সোহান। তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতেই আজ জয়ে ফিরেছে ধানমণ্ডি স্পোর্টস ক্লাব। টুর্নামেন্টের তৃতীয় জয় পাওয়ার ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৯৭ রানে হারিয়েছে ধানমণ্ডি।
বড় জয় পাওয়ার ম্যাচে শুরুটা ভালো ছিল না ধানমণ্ডির।
প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারায় দলটি। বিপদটা আরো বাড়ে ওপেনিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করা হাবিবুর রহমান ব্যক্তিগত ৪৫ রানে রান আউট হলে। এতে ৭৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ধানমণ্ডি।
সেখান থেকে দলকে ২৭৭ রানের সংগ্রহ এনে দেন সোহান।
তাকে অবশ্য যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম। স্পিনার পরিচয়কে কিছু সময়ের জন্য আড়ালে রেখে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এতে পঞ্চম উইকেটে ১১৩ রানে জুটি গড়ার সুযোগ পান সোহান।
সঙ্গী আউট হলেও নিজের সহজাত খেলায় কোনো পরিবর্তন আনেননি সোহান। শেষ পর্যন্ত ১৩১ বলে ১৩২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন তিনি। ১৩ চার ও ৪ ছক্কার ইনিংসে পরে ম্যাচসেরাও হয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
২৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮০ রানেই অলআউট হয় শাইনপুকুর। প্রতিপক্ষকে অল্পতে অলআউট করতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন ব্যাটিংয়ের সময় ৪০ রান করা সানজামুল। তার ৪ উইকেটের বিপরীতে ৩ উইকেট নিয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি।
শাইপুকুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছেন রহিম আহমেদ।
সাদমানের সেঞ্চুরিতে হ্যাটট্রিক জয় অগ্রণী ব্যাংকের
সোহানের মতো অপরাজিত সেঞ্চুরি করেছেন সাদমান ইসলামও। তার সেঞ্চুরিতে আজ হ্যাটট্রিক জয় পেয়েছে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। ৭ উইকেটের টানা তৃতীয় জয়টি এসেছে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে।
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে ২৬১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন দুই ওপেনার সাদমান-ইমরানুজ্জামান। ৫২ রানের জুটি গড়েন দুজনে। দ্বিতীয় উইকেটে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ৮৬ রানের জুটি গড়ে দলের জয়ের কাজটা আরো সহজ করেন সাদমান। ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে ৬২ রান করেন অধিনায়ক ইমরুল। পরে দ্রুত ফিরে যান ১৫ রান করা অমিত হাসানও।
পরে মার্শাল আইয়ুবকে নিয়ে জয়ের কাজ সারেন সাদমান। মার্শালের ৩৪ রানের বিপরীতে ১১৫ রানে অপরাজিত থাকেন বাঁহাতি ওপেনার। ম্যাচসেরার ইনিংসটি সাজান ১১ চার ও ২ ছক্কায়। তার সেঞ্চুরিতে অমিত মজুমদারের ৮১ রানের ইনিংসটি ম্লান হয়। অমিতের মতো ফিফটি করে ২৬০ রানের সংগ্রহ এনে দেওয়া আসাদুল্লা আল গালিবের ইনিংসটিও কাজে আসেনি রূপগঞ্জের। অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে ৩ টি করে উইকেট নিয়েছেন রুয়েল মিয়া ও তাইবুর রহমান।
টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে গুলশান
লক্ষ্যটা খুব একটা বড় ছিল না পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের জন্য। কিন্তু ২২২ রান তাড়া করতে নেমেও বড় হারই দেখতে হয়েছে তাদের। ১৬৪ রানে অলআউট হওয়ায় গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ৫৭ রানের জয় পেয়েছে।
গুলশানকে দুই শর ওপরে স্কোর এনে দেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। ওপেনিংয়ে নেমে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন বাঁহাতি ব্যাটার। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করেছেন ইফতিখার হোসেন ইফতি। প্রতিপক্ষের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তৌফিক আহমেদ।