<p>থাইল্যান্ডে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে প্রাণ হারিয়েছেন ৯ জন। আক্রান্তের সংখ্যাটা ভয় ধরানোর মতো। সেই ভয়েই সম্ভবত ‘সেলফ আইসোলেশনে’ চলে গেছেন থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন। এটা নিয়ে কোনো বিতর্কের দানা বাঁধেনি। কিন্তু বিতর্ক শুরু হলো যখন জানা গেল একা নন, ২০ জন বান্ধবীকে নিয়ে দক্ষিণ জার্মানির পাঁচ তারা স্পা হোটেলে অবস্থান করছেন তিনি।</p> <p>সরকারি সূত্রে খবর, বাভারিয়ার বিলাসবহুল পুরো হোটেলটিই বুক করে নিয়েছেন রাজা। আপাতত ওটাই তাঁর অস্থায়ী ঠিকানা। </p> <p>এই খবর জানাজানি হওয়ার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার বন্যা। থাইল্যান্ডে রাজার নিন্দা করলে ১৫ বছরের জেল হতে পারে কিন্তু সেই নিয়মের ধার ধারছেন না কেউই। অধিকাংশেরই প্রশ্ন, করোনা সংক্রমণে দেশ যখন বিপন্ন, তখন রাজা কী ভাবে এমন বিলাসবহুল হোটেলে, বান্ধবী নিয়ে রাজকীয় চাল দেখাতে পারেন! বিশেষ করে রাজার বান্ধবীদের মধ্যে ১১৯ জন ইতিমধ্যেই সংক্রামিত, তাঁদের প্রত্যেককে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের নিয়ে গৃহবন্দি হয়েছেন রাজা। তাতে কি সংক্রমণের আশঙ্কা থাকছে না? </p> <p>অবশ্য এ ব্যাপারে এখনও মুখ খোলেননি রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন!</p>