<p>পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে গত ২২ জুলাইয়ের নির্বাচনে পিএমএল-এনের হামজা শেহবাজ ১৭৯ ভোট পেয়ে বিতর্কিতভাবে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছিলেন। অথচ ১৮৬ ভোট পেয়েও পাত্তা পাচ্ছিলেন না পিটিআইয়ের চৌধুরী পারভেজ এলাহী। </p> <p>মূলত আইন সভার ডেপুটি স্পিকারের বিতর্কিত রায়ে গত শুক্রবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ক্ষমতা দখল করতে পারেনি ইমরান খানের দল। তবে গতকাল মঙ্গলবার পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টে ডেপুটি স্পিকারের সেই বিতর্কিত রায়কে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, চৌধুরী পারভেজ এলাহী পাকিস্তানের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।</p> <p>আজ বুধবার সকালে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ইসলামাবাদের আইওয়ান-ই-সদরে মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী পারভেজ এলাহীকে শপথবাক্য পাঠ করান। পাঞ্জাবের গভর্নর বালিঘুর রেহমান মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এলাহীকে শপথবাক্য পাঠ করাতে অস্বীকার করার পর তাকে লাহোর থেকে ইসলামাবাদে ছুটে যেতে হয়।</p> <p>সুপ্রিম কোর্টের এই রায় পাকিস্তানের রাজনীতির এক নতুন মোড়ের সূচনা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। গতকাল প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল, বিচারপতি ইজাজ-উল-আহসান এবং বিচারপতি মুনিব আখতারকে নিয়ে গঠিত পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ মামলার রায় ঘোষণা করে জানিয়েছেন, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর হামজা শেহবাজ শরিফ নন, সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর চৌধুরী পারভেজ এলাহী পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।</p> <p>মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার মধ্যে এলাহীর শপথের ব্যবস্থা করার জন্য পাঞ্জাবের গভর্নরকে বলেছিলেন পাক সুপ্রিম কোর্ট। তবে পাঞ্জাবের গভর্নর শেষ পর্যন্ত রাজি হননি। অবশেষে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ইসলামাবাদে তাকে শপথ পড়ান।</p> <p>এ ব্যাপারে প্রয়োজনে প্রেসিডেন্টকে হস্তক্ষেপ করতে আগেই ‘পরামর্শ’ দিয়েছে তিন বিচারপতির বেঞ্চ। এই রায় হামজার বাবা তথা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের কাছে বড় ধাক্কা। পিএমএল (এন)-এর প্রধান সহযোগী পাকিস্তান পিললস পার্টির (পিপিপি) প্রধান তথা সাবেক পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিও এর ফলে অস্বস্তিতে পড়লেন বলে মনে করা হচ্ছে।</p> <p>৩৭১ সদস্যের পাঞ্জাব প্রাদেশিক আইন সভায় ২২ জুলাইয়ের ভোটাভুটিতে হামজা পেয়েছিলেন ১৭৯টি ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী পিটিআই নেতা এলাহী ১৮৬টি ভোট পেয়েছিলেন। কিন্তু আইন সভার ডেপুটি স্পিকার দোস্ত মাজারি পাকিস্তান মুসলিম লিগ কায়েদ-ই-আজম (পিএমএল-কিউ)-এর ১০ সদস্যের ভোট নাকচ করে দেন। এরপর তিনি হামজাকে ৩ ভোটে জয়ী ঘোষণা করেন। সুপ্রিম কোর্টে ডেপুটি স্পিকারের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল ইমরানের দল। </p> <p>যদিও শাসক দলের জোট পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এই সিদ্ধান্তকে আইনের জয় বলে অভিহিত করেছে। আজ বুধবার তারা 'থ্যাংকস গিভিং ডে' পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।</p> <p>সূত্র : দ্য ডন</p>