<p>রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে রবিবার জাপানের হিরোশিমায় জি৭ শীর্ষ সম্মেলন শেষ হয়েছে। সম্মেলনের শেষে জারি করা একটি বিবৃতি উদ্ধৃত করে জাপানের সংবাদ সংস্থা কিয়োডো জানিয়েছে, অংশগ্রহণকারীরা কিয়েভের প্রতি ‘অটুট সমর্থন’ প্রকাশ করেছে। এ ছাড়াও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা হুমকিমুক্ত ও পরমাণুমুক্ত বিশ্ব অর্জনের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন।</p> <p>ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও এই সম্মেলনে অংশ নেন। তিনি শনিবার একটি ফরাসি সরকারি বিমানে হিরোশিমা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া তার দেশে যুদ্ধ শুরুর পর তিনি প্রথম জাপান সফর করছেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায়ও বসবেন জেলেনস্কি। এ ছাড়াও তিনি হিরোশিমাতে একটি বক্তৃতা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যা ১৯৪৫ সালে মার্কিন পারমাণবিক বোমায় বিধ্বস্ত দুটি শহরের মধ্যে একটি।</p> <p>সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, রবিবারের অধিবেশন চলাকালীন উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর কিছু নেতাও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় জেলেনস্কি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থনের জন্য আবেদন করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে অনেক উন্নয়নশীল দেশ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মস্কোর আগ্রাসনের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া এড়িয়ে গেছে। তাদের মধ্যে কিছু রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল।</p> <p>ইউক্রেনের নেতা হিরোশিমা সফরের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও একটি পৃথক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। এর আগে কিয়েভ ইউক্রেনীয় পাইলটদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ওড়ানোর প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বাইডেন প্রশাসনের অনুমোদনের অনুরোধ করে।</p> <p>শনিবার জি৭ নেতারা একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন, যেখানে তারা ইউক্রেনকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যতক্ষণ না জাতি রাশিয়ার ‘অবৈধ’ আগ্রাসনের মুখোমুখি হয়।</p> <p>জেলেনস্কি একই দিনে ইতালি, ব্রিটেন, ভারত, ফ্রান্স ও জার্মানির নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন।</p> <p>এ ছাড়াও অভাবের ঝুঁকি ও ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা সংকট মোকাবেলায় সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার গুরুত্বের ওপর শীর্ষ সম্মেলনে জোর দেওয়া হয়েছে। কৃষ্ণ সাগরের শস্যচুক্তির সর্বাধিক সম্ভাব্য ও মসৃণ কার্যক্রম নিশ্চিত করতে দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।</p> <p>সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি</p>