<p>জাপানের পরিবহন মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার মোটর জায়ান্ট টয়োটার সদর দপ্তরে অভিযান চালিয়েছে। ত্রুটিপূর্ণ সুরক্ষা ডেটা নিয়ে কেলেঙ্কারির কারণে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।</p> <p>প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা নিরাপত্তা সনদ পরীক্ষার জন্য ভুল বা হেরফের করা ডেটা সরবরাহের জন্য ক্ষমা চেয়েছে। এই কেলেঙ্কারিটি জাপানের গাড়ি শিল্পকে নাড়া দিয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী হোন্ডা, মাজদা ও সুজুকিও ত্রুটিপূর্ণ ডেটা জমা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে।</p> <p>টয়োটা ২০২৩ সালে এক কোটি ১০ লাখেরও বেশি যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রি করেছে। তবে তারা বলেছে, ইতিমধ্যে রাস্তায় থাকা যানবাহনের সুরক্ষার ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। সেই সঙ্গে কম্পানিটি তাদের তিনটি গাড়ির মডেল—করোলা ফিল্ডার, করোলা অ্যাক্সিও ও ইয়ারিস ক্রসের উৎপাদন স্থগিত করেছে।</p> <p>টয়োটার চেয়ারম্যান আকিও টয়োডা গ্রাহক ও গাড়ি নিয়ে উৎসাহীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার এক দিন পরে এই অভিযান চালানো হয়। তিনি গভীরভাবে মাথা নত করেন এবং কয়েক সেকেন্ডের জন্য অবস্থানটি ধরে রাখেন।</p> <p>টয়োডা বলেছেন, ‘আমরা সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়াটিকে অবহেলা করেছি এবং প্রথমে যথাযথ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ না নিয়ে আমাদের গাড়িগুলো ব্যাপকভাবে উৎপাদন করেছি।’</p> <p>বিবিসি জানিয়েছে, জাপানি গাড়ি নির্মাতা হোন্ডা, মাজদা ও সুজুকিতেও একই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। হোন্ডা বলেছে, এটি শব্দ ও ইঞ্জিনের শক্তি সম্পর্কিত পরীক্ষায় ভুল খুঁজে পেয়েছে। তবে তারা জোর দিয়ে বলেছে, তাদের যানবাহন চালানো নিরাপদ। এ ছাড়া মাজদা কিছু গাড়ির চালান বন্ধ করে দিয়ে বলেছে, তারা তাদের সরবরাহকারীদের খরচ বহন করবে। তবে সংস্থাটি গাড়িগুলো প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করছে না বলেও জানিয়েছে। বিষয়টি সুজুকির একটি গাড়ির মডেলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যা আর উৎপাদিত হচ্ছে না।</p> <p>এর আগে গত ডিসেম্বরে টয়োটা মালিকানাধীন গাড়ি নির্মাতা ডাইহাৎসু তার সব কারখানা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ করে রাখে। তারা স্বীকার করে, তারা নিরাপত্তা পরীক্ষায় মিথ্যা বলেছে। কিছু গাড়ি টয়োটা ব্র্যান্ডিং দিয়ে বিক্রি হয়েছে। ডাইহাতসু চার শতাধিক সরবরাহকারীকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল।</p>