অনলাইন শপিং এখন আমাদের হাতের নাগালে। যেকোনো সময় আমরা যেকোনো কিছুর অর্ডার করে নিমিষেই হাতে পেয়ে যাই। অনলাইনে কেনাকাটা সহজলভ্য হলেও প্রায়ই কিছু দুর্ঘটনা ঘটে যায়। সম্প্রতি এমন এক ঘটনাই ঘটেছে কলম্বিয়ান এক নারীর সঙ্গে।
অনলাইনে অর্ডার করলেন এয়ার ফ্রায়ার, পেলেন টিকটিকি
অনলাইন ডেস্ক

স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা- এর প্রতিবেদনে জানা গেছে, কলম্বিয়ার অধিবাসী সোফিয়া সেরানো নামে এক নারী অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজনে একটি এয়ার ফ্রায়ার অর্ডার করেছিলেন। পার্সেলটি হাতেও পেয়েছিলেন কিন্তু সেটি খোলার পর ভিতরে যা পেয়েছিলেন, তাতে চমকে ওঠেন তিনি। অর্ডার করা এয়ার ফ্রায়ারের পরিবর্তে বক্সের ভিতরে একটি বিশাল টিকটিকি পান তিনি।
সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা শেয়ার করে পোস্ট করেন এক্সে। বক্সের একটি ছবি পোস্ট করে তিনি বলেছেন, ‘আমি অ্যামাজনে একটি এয়ার ফ্রায়ার অর্ডার করেছিলাম। একজন ডেলিভারি ম্যান সেটি দিয়েও যান। আমি জানি না এটি অ্যামাজনের দোষ, নাকি ডেলিভারি ম্যানের দোষ।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, এত বড় টিকটিকি দেখে তিনি অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। টিকটিকিটি ‘স্প্যানিশ রক লিজার্ড’ নামে পরিচিত। তবে এ ঘটনায় অ্যামাজন এখনো কোনো সমাধান দিতে পারেনি।
এদিকে সোফিয়ার দেওয়া পোস্টটি রাতারাতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে ভাইরাল হয়ে যায়। ৪১ লাখেরও বেশি ভিউ পেয়েছে ভিডিওটি।
একজন লিখেছেন, ‘আমার সঙ্গে এমনটি ঘটলে আমি মরে যাব। অন্যদিকে ছোট্ট প্রাণীটির জন্যও আমার মায়া হচ্ছে।’ অন্য একজন বলেছেন, ‘এখন নতুন একটি ভয়ে থাকতে হবে।’
সূত্র : এনডিটিভি
সম্পর্কিত খবর

নাগপুরে এখনো কারফিউ চলছে, আটক ৬৫
বিবিসি

ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে হিন্দু-মুসলিম সহিংসতার দুই দিন পর এখনো কারফিউ জারি রয়েছে। সহিংসতার অভিযোগে এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬৫ জনকে। অন্যদিকে যে শহরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ইতিহাস নেই, সেখানে কিভাবে এরকম একটা ঘটনা ঘটে গেল, সেটাই ভেবে পাচ্ছে না উভয় সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষ।
সংবাদ সংস্থা এএনআই ও পিটিআই জানিয়েছে, নাগপুর শহরের ১০টি থানা এলাকায় এখনো কারফিউ জারি করে রেখেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্র উদ্ধৃত করে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, মূল চক্রান্তকারীকে হিসেবে ফাহিম খান নামের এক স্থানীয় রাজনৈতিক নেতার উসকানিমূলক ভাষণের একটি ভিডিও পাওয়া গেছে। তার ভিত্তিতেই বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে।
নারী পুলিশের ওপরে হামলা
এদিকে পুলিশের দায়ের করা এফআইআরের উদ্ধৃতি দিয়ে এএনআই জানিয়েছে, ‘পুলিশ সদস্যদের দিকে পাথর আর পেট্রল বোমা ছোঁড়ার পরই বিক্ষোভটি সহিংস হয়ে ওঠে।
এ ছাড়া অন্ধকারের সুযোগ নারী পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় এবং তাদের গায়ে হাত দেওয়া হয়। অশালীন অঙ্গভঙ্গিও করা হয় নারী পুলিশ সদস্য-কর্মকর্তাদের কয়েকজনের উদ্দেশে—এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই।
নাগপুর শহরে যা দেখল বিবিসি
সোমবার রাতের সহিংসতার পর কেমন আছে শহর—তা দেখতে নাগপুরের নানা এলাকায় ঘুরেছেন বিবিসি সংবাদদাতা ভাগ্যশ্রী রাউত। তিনি জানিয়েছেন, যেসব এলাকায় সহিংসতা হয়েছিল, সেখানে এখন পরিস্থিতি শান্ত।
কোনো দোকানের জানালা ভেঙে ঝুলছে। আবার কোথাও পাথর আর ইঁটের টুকরা জড়ো করে রাখা আছে। যেসব গাড়ি বা বাইক আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে জনতা, সেইসব গাড়ির কঙ্কাল পড়ে আছে রাস্তার পাশে। এর মধ্যে বসেই শহরের কয়েকজন সাধারণ মানুষ বিবিসিকে বলেছেন, নাগপুর শহর আগে কখনো এরকম সাম্প্রদায়িক সহিংসতা দেখেনি।
কী বলছেন সাধারণ মানুষ?
ভাগ্যশ্রী রাউত কথা বলেছেন হিন্দু ও মুসলিম—দুই সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে। মুসলমান প্রধান একটি এলাকার বাসিন্দা পেশায় উকিল রাকেশ দাভরিয়া বলছিলেন, ‘এই শহরের জন্য এটা আশ্চর্যজনক দৃশ্য, কিছু বুঝতেই পারছি না। দোকান খোলা আছে অথচ খদ্দের নেই। সবাই কি সেদিন দেশের আইনকানুন ভুলে গিয়েছিল? ভাইয়ের সঙ্গে ভাইয়ের সম্পর্ক ভুলে গেল সবাই?’
তিনি আরো বলেন, ‘৪০০ বছর আগে এক সম্রাট না হয় কিছু একটা করেছিলেন। কিন্তু আমরা তো থাকি বর্তমানে। আমার মুসলমানদের সঙ্গে ব্যবসা করি। আমাদের বাচ্চারা ওদের বাচ্চাদের সঙ্গে পড়াশোনা করে। তো তাদের ক্ষতি করে তো আমরা নিজেদেরই ক্ষতি করছি।’
আবার চিটনিস পার্কের কাছে দোকান মালিক আব্দুল খালেক তো কথা বলতে বলতে কেঁদেই ফেললেন। তিনি বলছিলেন, ‘আমি তো আমার জীবনেও এরকম কোনো ঘটনা দেখিনি। আমাদের শহরে তো এরকম ঘটনা হয় না। দেশের অন্যান্য শহরে যাই হোক না কেন এখানে কোনো প্রভাব পড়ে না কখনো। সেদিন রাতের সহিংসতার পর থেকে আমার দোকান বন্ধ। রোজা রাখার পরে সন্ধ্যায় মসজিদে গিয়েছিলাম। ফেরার সময়ে দেখি চারদিকে সহিংসতা শুরু হয়ে গেছে।’
কুণ্ডা যাদব নামের এক বাসিন্দা বিবিসিকে জানান, সহিংসতার সময়ে বাড়িতে শুধু নারীরাই ছিলেন। তাদের বাড়িতে পাথর ছোঁড়া হয়েছে, কাঁচের বোতল ছোঁড়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম ওই সময়টায়।’

শান্তিচুক্তির পরও উত্তপ্ত মণিপুর
অনলাইন ডেস্ক

মার ও জোমি আদিবাসীদের সংঘর্ষে আরো একবার উত্তপ্ত হলো ভারতের মণিপুর রাজ্য। চুরাচান্দপুর জেলায় চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই মারদের এক নেতার ওপর হামলাকে কেন্দ্র করে অশান্তি শুরু হয়। সেই আবহে মঙ্গলবার রাতে ফের দুই আদিবাসী গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে জেলার বিস্তীর্ণ অংশজুড়ে। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, সোমবার এলাকায় কারফিউ জারি হওয়ার পরই বৈঠকে বসেছিলেন মার ও জোমিদের প্রতিনিধিরা। দীর্ঘ বৈঠকের পর দুই পক্ষে শান্তিচুক্তিও হয়। কিন্তু তার ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই ফের সংঘর্ষ বাধে।
স্থানীয় সূত্রে জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত থেকে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে চুরাচান্দপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা।
গত রবিবার সন্ধ্যায় চুরাচান্দপুরের জেনহাঙে ভিকে মন্টেসরি স্কুল চত্বরের ভেতর মারদের সংগঠন মার ইনপুইয়ের সাধারণ সম্পাদক রিচার্ড মারের ওপর হামলা চালায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতিরা।
অভিযোগ, রিচার্ডের গাড়িতে ধাক্কা মেরেছিল আরেকটি গাড়ি। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিবাদ শুরু হয়। বিবাদ বাড়তে বাড়তে এক পর্যায়ে রিচার্ডের ওপর হামলা চালানো হয়।
রিচার্ডের ওপর হামলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রতিবাদে রাস্তায় নামে মাররা। পরিস্থিতি সামাল দিতে সোমবার সকাল থেকে ওই জেলায় ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার (বিএনএসএস) ১৬৩ ধারা জারি করা হয়। চুরাচান্দপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক জানিয়ে দেন, নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকাকালীন অনুমতি ছাড়া কোনো মিছিল, সমাবেশের আয়োজন করা যাবে না। কেউ লাঠি, পাথর বা কোনো রকমের অস্ত্রও বহন করতে পারবে না।
২০২৩ সাল থেকেই কুকি ও মেইতেইদের দ্বন্দ্বে অশান্ত মণিপুর। রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পর পরিস্থিতি খানিক নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো বিক্ষিপ্ত অশান্তি চলছে রাজ্যজুড়ে। চলতি মাসের শুরুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ‘অবাধ চলাচল’ নির্দেশের প্রতিবাদে মণিপুরের কুকি অধ্যুষিত এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। গত ১৩ মার্চ ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলেও কুকিরা জানিয়ে দেয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ তারা মানবে না৷ কুকিদের দাবিদাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা ‘অবাধ চলাচলের’ বিরোধিতা করে যাবে।

কেনেডি হত্যা সম্পর্কিত চূড়ান্ত নথি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র
অনলাইন ডেস্ক

মার্কিন জাতীয় আর্কাইভ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত নথির চূড়ান্ত দলিল প্রকাশ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার এই দলিল প্রকাশ করে। মৃত্যুর ৬০ বছরেরও বেশি সময় পরেও ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে উসকে দিয়েছে এই মামলাটি।
আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণের পর জানুয়ারিতে জেএফকে হত্যাকাণ্ডের সব অবশিষ্ট রেকর্ড প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে জানুয়ারিতে ক্ষমতাগ্রহণ করেন ট্রাম্প। তার জারি করা একটি নির্বাহী আদেশ অনুসরণ করে কেনেডি হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত নথি প্রকাশ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শুধু কেনেডিই নয়, কেনেডির ভাই, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল রবার্ট এফ কেনেডি এবং নাগরিক অধিকার নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের হত্যার সঙ্গে সম্পর্কিত অবশিষ্ট নথিগুলো অসম্পাদিতভাবে প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আর্কাইভস তাদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশ অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ডের নথি সংগ্রহের অংশ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধকরণের জন্য পূর্বে আটকে রাখা সব নথি বা দলিল প্রকাশ করা হয়েছে।’
জাতীয় আর্কাইভস গত কয়েক দশক ধরে ১৯৬৩ সালের নভেম্বরে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কেনেডির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত লাখ লাখ পৃষ্ঠার রেকর্ড প্রকাশ করেছে, কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের অনুরোধে হাজার হাজার নথি আটকে রাখা হয়েছিল।
ওয়ারেন কমিশন যারা প্রেসিডেন্টেকে গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে তদন্ত করেছিল। ওয়ারেন কমিশন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে অত্যন্ত দক্ষ একজন শ্যুটার সাবেক মেরিন লি হার্ভে ওসওয়াল্ড একাই এই কাজ করেছিলেন।
১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর টেক্সাসের ডালাসে নিহত হন জনএফ কেনেডি। কেনেডি হত্যার দুই দিন পর, ১৯৬৩ সালের ২৪ নভেম্বর একটি কাউন্টি কারাগারে স্থানান্তরিত হওয়ার সময়, ওসওয়াল্ডকে একজন ক্লাবের মালিক জ্যাক রুবি গুলি করে হত্যা করে।
ইতোমধ্যে প্রকাশিত অনেক রেকর্ডই ছিল অপ্রচলিত গোয়েন্দা তথ্য। যার মধ্যে রয়েছে এফবিআই এজেন্টদের কাছ থেকে পাওয়া অসংখ্য তথ্য অনুসরণ করে এমন প্রতিবেদন যা কোনো ফলাফল দেয়নি।
সূত্র : এএফপি

জীবাশ্ম জ্বালানির গুরুতর প্রভাব, কোথায় দাঁড়িয়ে বিশ্বের উষ্ণায়ন?
ডয়চে ভেলে

বিশ্ব আবহাওয়া দপ্তর বা ডাব্লিউএমও-এর তথ্য বলছে, ২০২৪ ছিল উষ্ণতম বছর। জলবায়ু পরিবর্তনই তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ। গত ১২ মাসের হিসেবও খুব একটা আশাব্যাঞ্জক নয়।
১৮৫০ থেকে ১৯০০ সালের তুলনায় গত এক বছরে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা এক দশমিক ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (দুই দশমিক ৭৮ ফারেনহাইট) বেশি থেকেছে।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুসারে সরকারগুলো বিশ্বের উষ্ণায়নকে শিল্পযুগের আগের পর্যায়ের তুলনায় দুই ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে রাখার অঙ্গিকার করেছিল। একইসঙ্গে তারা উষ্ণায়নের মাত্রাকে এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রির নিচে রাখতে চেষ্টা চালাবে বলেও জানিয়েছিল।
ডাব্লিউএমও বার্ষিক রিপোর্টে প্যারিসের লক্ষ্যমাত্রা না ছাড়ালেও উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ আছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে দীর্ঘমেয়াদী উষ্ণায়ন এক দশমিক ৩৪ থেকে এক দশমিক ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে।
জীবাশ্ম জ্বালানির প্রভাব গুরুতর
জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে তৈরি কার্বন ডাই অক্সাইড আমাদের ক্ষতির পরিমাণ বাড়াচ্ছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।
ডাব্লিউএমও-এর প্রধান সেলেস্টে সাউলোর মতে, এই নতুন তথ্য আমাদের জীবন, অর্থনীতি এবং সর্বোপরি পৃথিবীর জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের। ডাব্লিউএমও-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ এর তাপমাত্রার পরিবর্তনের পিছনে শৈত্য প্রবাহ লা নিনা থেকে উষ্ণ প্রবাহ এল নিনোতে পরিবর্তনই দায়ি। যদিও গবেষকদের মতে হাওয়ার উষ্ণতা বৃদ্ধি আসলে একটা বড় পরিবর্তনের অংশ মাত্র।
এই উষ্ণায়নের প্রভাব পড়ছে সামুদ্রিক ইকোসিস্টেমে।
পরিবেশ-বান্ধব জ্বালানি কি পারবে পৃথিবীকে রক্ষা করতে?
২০২৩-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের সামগ্রিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৩০ শতাংশ সৌর ও বায়ু শক্তির সাহায্যে তৈরি হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কথা বললেও সে দেশে সৌরশক্তির ব্যবহার বাড়ছে। গত বছরের তথ্য অনুযায়ী সৌরশক্তি দিয়ে দেশের সাত শতাংশ বিদ্যুৎ প্রয়োজন মিটতে পারে। পরিবেশ বান্ধব শক্তি ব্যবহারের ব্যয় বিগত কয়েক বছরে অনেক কমেছে। তা সত্ত্বেও চিন্তিত বিশ্বের বৈজ্ঞানিকরা।
ডাব্লিউএমও-এর রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরে যুক্তরাজ্যের জাতীয় আবহাওয়া ও জলবায়ু দপ্তরের প্রধান বিজ্ঞানী স্টিফেন বেলচার জানিয়েছেন, ‘পৃথিবীর শরীর ভাল নেই।’ তিনি আরো জানান এই পরিস্থিতিতেই সাবধান না হলে বন্যা বা খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভবনা ক্রমশই বাড়বে।