<p>জাপানের মধ্যাঞ্চলের ফুকুই উপকূলীয় এলাকার সমুদ্র সৈকতে সাঁতারুদের ওপর হামলা চালাচ্ছে ডলফিন। তবে একজন বিশেষজ্ঞ এ ঘটনার জন্য একটি নিঃসঙ্গ ও হতাশাগ্রস্ত ডলফিনকে দায়ি করেছেন। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি ও বিবিসি।</p> <p>ডলফিন কামড়ানোর ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সৈকতে যারা আসবেন, তাদের ডলফিন থেকে দূরে থাকার জন্য অনুরোধ করছে মধ্য জাপানের কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সুরুগা কোস্টগার্ডের মতে, এই বছর এখন পর্যন্ত ১৮ জন সাঁতারু ফুকুই অঞ্চলের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে কামড় খেয়েছেন। এর আগের দুই বছর এ ধরনের ঘটনার সংখ্যা হাতে গোনা।</p> <p>বিবিসি জানিয়েছে, মিহামার কাছে ২০২৩ সালে ছয় ব্যক্তি ডলফিনের কামড়ে আহত হন। এক জনের পাঁজরের হাড় ভেঙে যায়। ২০২২ সালে এক ব্যক্তি আহত হয়েছিলেন।</p> <p>কোস্টগার্ড কর্মকর্তা শোইচি তাকুচি এএফপিকে বলেছেন, বেশিরভাগ কামড় ছিল ছোটখাটো। কিন্তু সাম্প্রতিক একটি ঘটনায় একটি শিশুর ২০ থেকে ৩০টি সেলাই লাগে।</p> <p>সুইশোহামা সৈকতে ‘ডায়মন্ড বিচ’ নামেও পরিচিত। স্থানীয় একটি পর্যটন সমিতি সবাইকে সতর্ক করেছে। তারা তাদের ওয়েবসাইটে সতর্কতা জারি এবং লোকেদের প্রাণীদের কাছে না যাওয়ার বা স্পর্শ না করার পরামর্শ দিয়েছে।</p> <p>অ্যাসোসিয়েশন অনলাইনে সতর্ক করে বলেছে, ‘ডলফিন সাধারণত শান্ত প্রাণী। তবে তারা আপনাকে ধারালো দাঁত দিয়ে কামড় দিয়ে রক্তপাত ঘটাতে পারে। আপনাকে পানির নীচে টেনে নিয়ে যেতে পারে এবং সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে আপনার জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারে।’ </p> <p>কোস্টগার্ড জানিয়েছে, এই ঘটনার পিছনে একটি বা একাধিক ডলফিন দায়ি কিনা তা স্পষ্ট নয়। একজন বিশেষজ্ঞ অবশ্য মনে করছেন, একটি ডলফিনই ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে। মিহামার পাশের শহর সুরাগায় গত বছর এক ব্যক্তির আঙ্গুলের আঘাত থেকে পাওয়া ‘ডরসাল ফিনের’ সঙ্গে গত বছর ফুকুই প্রদেশের তীরে আড়াই মিটার লম্বা ডলফিনের ডরসাল ফিন মিলে যায়।</p> <p>ইউনিভার্সিটির সিটোলজির অধ্যাপক তাদামিচি মরিসাকা ব্রডকাস্টার এনএইচকেকে বলেছেন, ‘এটি সম্ভবত একই ডলফিনের কাজ। তবে আমার ধারণা, সে মানুষকে আহত করতে চাচ্ছে না। অন্যান্য ডলফিনের সঙ্গে যেভাবে যোগাযোগ করে, সেভাবে সে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে।’</p> <p>শার্ক বে ডলফিন রিসার্চ প্রজেক্টের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ও জীবতত্ত্ববিদ ড. সায়মন অ্যালেন বলেন, ‘বটলনেক ডলফিন খুবই সামাজিক প্রাণী এবং তারা শারীরীক সংস্পর্শের মাধ্যমে তাদের এই মনোভাব প্রকাশের চেষ্টা চালায়। খুব সম্ভবত এই ডলফিনটিকে তার সম্প্রদায় থেকে একঘরে করা হয়েছে। এ জন্য সে মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করছে।’</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>