<p>ইউক্রেনের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় গত সোমবার। এদিন একটি বড় রুশ আক্রমণ প্রতিহত করার সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ইউক্রেন জানিয়েছে। দেশটির সামরিক বাহিনী বলেছে, এই মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বিমান হাতে পাওয়ার পর এ ধরনের প্রথম ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।</p> <p>ক্যাপ্টেন ওলেক্সি মেস একজন সেরা ইউক্রেনীয় পাইলট ছিলেন। এই মিশনে তার কল সাইন ছিল ‘মুনফিশ’। মুনফিশের মৃত্যু ইউক্রেনের জন্য একটি বড় ক্ষতি। কারণ তিনি এমন কয়েকজন পাইলটদের মধ্যে একজন ছিলেন, যারা পরবর্তীতে নতুন কেনা এফ-১৬ চালানোর জন্য প্রশিক্ষিত। এ দুর্ঘটনার পর গতকাল বৃহস্পতিবার এই পাইলটকে দাফন করা হয়। ইউক্রেনে বহুল প্রতীক্ষিত এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করার কয়েক সপ্তাহ পরেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটল।  </p> <p>ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ড ফেসবুকে জানিয়েছে, পাইলট ওলেক্সি মেস সোমবার একটি যুদ্ধ মিশনে মারা গেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ওলেক্সি ইউক্রেনীয়দের মারাত্মক রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের হাত থেকে আমাদের বাঁচিয়েছেন। দুর্ভাগ্যবশত সেটা তার নিজের জীবনের মূল্য দিয়ে।’ সিএনএন ২০২৩ সালে প্রতিবেদনে করেছিল, পাইলট ওলেক্সি মেস এফ-১৬ মিশনের জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল।</p> <p>ইউক্রেনীয় জেনারেল স্টাফ বৃহস্পতিবার ফেসবুকে বলেছেন, ‘রুশ লক্ষ্যবস্তুর কাছে যাওয়ার সময় যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয় এবং বিমানটির পাইলট মারা যান।’ রাশিয়া সেদিন জ্বালানি খাতকে লক্ষ্য করে ২০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘এফ-১৬ তার উচ্চ দক্ষতা প্রদর্শন করেছে এবং চারটি রাশিয়ান ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।’ </p> <p>বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিমানটির সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর এটি পরবর্তী লক্ষ্যের দিকে যাচ্ছিল। পরে জানা যায়, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট মারা গেছেন।’</p> <p>এদিকে একজন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘সোমবারের দুর্ঘটনাটি রুশ আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে না, তবে পাইলটের ত্রুটি থেকে শুরু করে যান্ত্রিক ব্যর্থতার সম্ভাব্য কারণগুলো এখনো তদন্ত করা হচ্ছে।’ তবে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী বিশ্বাস করে না যে বিমানটি পাইলটের ভুলের কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে।</p> <p>ইউক্রেন তার নতুন নৌবহরের আকার সম্পর্কে বিশদ জানায়নি। যদিও তাদের একটি উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে এ ঘটনায়। টাইমস অব লন্ডন একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ইউক্রেনের কাছে ছয় এ ধরনের যুদ্ধবিমান ছিল। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি গত ৪ আগস্ট বলেছিলেন, ইউক্রেনের কাছে এফ-১৬ বা পর্যাপ্ত যুদ্ধবিমান চালানোর জন্য পর্যাপ্ত  প্রশিক্ষিত পাইলট ছিল না। </p> <p>সূত্র : রয়টার্স</p>