<p>বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই আরো এক নতুন দুর্যোগের প্রহর গোনা শুরু হয়েছে ভারতের গুজরাট রাজ্যে। আরব সাগরের ওপর একটি গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। যেটি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া ভবন। শুক্রবার আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি অবস্থান করছে রাজ্যের কচ্ছ জেলা ও সংলগ্ন এলাকায়। সেটি ক্রমে উত্তর-পূর্ব আরব সাগরের পশ্চিম দিকে সরবে। তারপর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে। তারপর সেটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম বরাবর উপকূল ধরে এগোবে আগামী দুই দিন ধরে।</p> <p>আবহাওয়া ভবন আরো জানিয়েছে, যদি গভীর নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তাহলে সেটির নাম রাখা হবে ‘আসনা’। পাকিস্তান এই নামের প্রস্তাব দিয়েছে। শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপটি। ফলে শুক্রবার থেকেই দেশের পশ্চিম উপকূলে ভারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। রাজ্যের সাতটি জেলায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া ভবন। তার মধ্যে রয়েছে, কচ্ছ, জামনগর, মোরবী, দেবভূমি দ্বারকা, পোরবন্দর।</p> <p>এদিকে রাজ্যজুড়ে বন্যা পরিস্থিতির জেরে ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৬। মধ্যে বৃষ্টির কারণে দেয়াল চাপা পড়ে তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে পানিতে ডুবে এবং গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।</p> <p>অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় কচ্ছ জেলার মাণ্ডবীতে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৩৮১ মিলিমিটার। ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে দ্বারকা, গান্ধীধাম, ভুজ, লাখপতে। কচ্ছ অঞ্চলে ১৭৭ শতাংশের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। তারপর রয়েছে সৌরাষ্ট্র অঞ্চল। সেখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১২৪ শতাংশ। দক্ষিণ গুজরাটে ১১১ শতাংশ। এ ছাড়া পূর্ব-মধ্য গুজরাটে ১০৫, উত্তর গুজরাটে ৮৭ শতাংশ বৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে।</p> <p>সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা</p>